মূর্তি (হিন্দুধর্ম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৮টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১১ নং লাইন:
|caption = বিভিন্ন দেবতার মূর্তির চিত্র
}}
'''মূর্তি''' ({{lang-sa|मूर्ति}}) [[হিন্দু]] ঐতিহ্যে দেবতা বা মর্ত্যের প্রতিমা বা বিগ্রহের জন্য সাধারণ শব্দ।<ref name=pkacharya/> [[হিন্দু মন্দির|হিন্দু মন্দিরে]] এটি প্রতীকী প্রতীক। [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মে]] মূর্তি হলহলো দেবতার আকৃতি, মূর্ত প্রতীক বা প্রকাশ।<ref name=Flueckiger2015>{{cite book |last1=Flueckiger |first1=Joyce Burkhalter |title=Everyday Hinduism |date=2015 |publisher=John Wiley & Sons |isbn=9781118528204 |page=77 |url=https://books.google.com/books?id=EBT1BgAAQBAJ&pg=PA86}}</ref> মূর্তিগুলো কিছু অ-আস্তিক [[জৈনধর্ম|জৈনধর্মের]] ঐতিহ্যেও মূর্তি পাওয়া যায়, যেখানে তারা জৈন মন্দিরগুলোর মধ্যে শ্রদ্ধেয় মর্ত্যের প্রতীক এবং মূর্তি আচার-উপাসনায় পূজিত হয়।<ref>John Cort (2011), Jains in the World, [[Oxford University Press]], {{ISBN|978-0199796649}}, pages 80-85</ref><ref>[http://www.philtar.ac.uk/encyclopedia/jainism/murti.html Murtipujakas], Overview of World Religions, University of Cumbria (2009)</ref> হিন্দুধর্মে মূর্তি নিজেই দেবতা নয়,<ref name="fowler412">Jeaneane D Fowler (1996), Hinduism: Beliefs and Practices, Sussex Academic Press, {{ISBN|978-1-898723-60-8}}, pages 41–45</ref> তবে এটি দেবতার আকৃতির রূপায়ন বা প্রকাশ।<ref name="Flueckiger20152">{{cite book|url=https://books.google.com/books?id=EBT1BgAAQBAJ&pg=PA86|title=Everyday Hinduism|date=2015|publisher=John Wiley & Sons|page=77|isbn=9781118528204|last1=Flueckiger|first1=Joyce Burkhalter}}</ref>
 
মূর্তি সাধারণত খোদাই করা পাথর, কাঠের কাজ, ধাতু ঢালাই বা মৃৎশিল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। প্রাচীন যুগের গ্রন্থে তাদের যথাযথ অনুপাত, অবস্থান এবং অঙ্গভঙ্গি বর্ণনা করে [[পুরাণ]], [[আগম (হিন্দুধর্ম)|আগম]] ও [[সংহিতা]]।<ref name="klausklost">[[Klaus Klostermaier]] (2010), ''A Survey of Hinduism'', State University of New York Press, {{ISBN|978-0-7914-7082-4}}, pages 264–267</ref> উগ্রের প্রতীক থেকে শুরু করে ধ্বংস, ভয় ও সহিংসতা ([[দুর্গা]], [[কালী]]), পাশাপাশি সৌম্য প্রতীক, আনন্দ, জ্ঞান ও সম্প্রীতি প্রকাশের জন্য ([[সরস্বতী]], [[লক্ষ্মী]]) বিভিন্ন মূর্তির অভিব্যক্তি বিভিন্ন [[হিন্দু]] ঐতিহ্যে পরিবর্তিত হয়। সৌম্য চিত্রগুলো হিন্দু মন্দিরে সবচেয়ে সাধারণ।<ref name=grao17/> হিন্দুধর্মে পাওয়া অন্যান্য মূর্তি রূপের মধ্যে রয়েছে [[শিবলিঙ্গ|লিঙ্গ]]।<ref name=stella179/>
 
[[চিত্র:Krishna Balarama12.jpg|thumb|[[বলরাম]] (বামে) ও [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] প্রস্তর মূর্তি, কৃষ্ণ-বলরাম মন্দির, [[বৃন্দাবন]], ভারত]]
মূর্তি কিছু হিন্দুদের কাছে ঐশ্বরিক, চূড়ান্ত বাস্তবতা বা [[ব্রহ্ম|ব্রহ্মের]] মূর্ত প্রতীক<ref name= klausklost /> ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে, তারা [[হিন্দু মন্দির]] বা বাড়িতে পাওয়া যায়, যেখানে তাদের প্রিয় অতিথি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং হিন্দুধর্মে [[পূজা (হিন্দুধর্ম)|পূজার]] অংশগ্রহণকারী হিসাবে পরিবেশন করা যেতে পারে।<ref name=willis96/> অন্যান্য অনুষ্ঠানে, এটি বার্ষিক উৎসবের মিছিলে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে এবং এগুলোকে উৎসবমূর্তি বলা হয়।<ref name=james726/> খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে [[পাণিনি]] প্রথমতম মূর্তির উল্লেখ করেছিলেন। তার আগে অগ্নিকায়ণ আচারের মাঠটি মন্দিরের টেমপ্লেট হিসেবে কাজ করত বলে মনে হয়েছিল।<ref>Subhash Kak, Time, space and structure in ancient India. Conference on Sindhu-Sarasvati Valley Civilization: A Reappraisal, Loyola Marymount University, Los Angeles, February 21 & 22, 2009. {{ArXiv|0903.3252}}</ref> মূর্তিকে বিগ্রহ বা প্রতিমা বলা হয়।<ref>{{cite web|title=pratima (Hinduism)|url=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/398379/pratima |publisher=Encyclopædia Britannica |access-date=21 August 2011}}</ref>
 
==ব্যুৎপত্তি ও নামকরণ==
[[চিত্র:Krishna Balarama12.jpg|thumb|[[বলরাম]] (বামে) ও [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] প্রস্তর মূর্তি, কৃষ্ণ-বলরাম মন্দির, [[বৃন্দাবন]], ভারত]]
মূর্তির আক্ষরিক অর্থ হল বস্তুগত উপাদান থেকে উৎপন্ন সুনির্দিষ্ট আকৃতি বা সীমাবদ্ধ কোনো কঠিন দেহ বা রূপ।<ref name=monier824/> এটি প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে মন, চিন্তা এবং অনবদ্য বিষয়গুলোর সাথে বৈপরীত্য করে। শব্দটি কোন মূর্ত, প্রকাশ, অবতার, ব্যক্তিত্ব, চেহারা, ছবি, মূর্তি বা দেবতার মূর্তিকেও নির্দেশ করে।<ref name=monier824>Monier Monier-Williams, Sanskrit English Dictionary, Oxford University Press, {{ISBN|978-81-208-3105-6}} (Reprinted in 2011), page 824</ref>
[[File:A murti of Parvati Ganesha in Maheshwar Hindu temple statues idols Madhya Pradesh 2015.jpg|thumb|[[মধ্য প্রদেশ|মধ্যপ্রদেশের]] মহেশ্বর মন্দিরে পার্বতী গণেশের মূর্তি।]]
২৫ ⟶ ২৬ নং লাইন:
<poem>
''সময়ের সূক্ষ্মতার জন্য, এটি তার বাস্তবতার প্রমাণ;
''এর কারণে সময় প্রদর্শিত হয়।''
''কারণ প্রমাণ ছাড়া, যে অনুমান প্রমাণ করতে হবে, তা গ্রহণযোগ্য নয়;''
''কিন্তু, যা নিজেই প্রমাণিত বা প্রমানিত, যখন কেউ তার অংশে বোঝে, প্রমাণের ভিত্তিতে পরিণত হয়, যার মাধ্যমে এটি নিজেকে চেতনায় নিয়ে আসে (প্রবর্তনমূলক ভাবে)।''
১৩২ ⟶ ১৩৩ নং লাইন:
[[File:Temple troglodytique dédié à Vishnou (Badami, Inde) (14146142420).jpg|thumb|ষষ্ঠ শতকের মূর্তি খোদাই, বাদামি গুহা, [[কর্ণাটক]]<ref>Alice Boner (1990), Principles of Composition in Hindu Sculpture: Cave Temple Period, Motilal Banarsidass, {{ISBN|978-81-208-0705-1}}, pages 89–95, 115–124, 174–184</ref><ref>George Michell (1988), The Hindu Temple: An Introduction to Its Meaning and Forms, University of Chicago Press, {{ISBN|978-0-226-53230-1}}, pages 98–100</ref>]]
 
প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থগুলো আধ্যাত্মিক পরিপ্রেক্ষিতে মূর্তির তাৎপর্য তুলে ধরে। [[বাস্তুসূত্র উপনিষদ]], যার তালপাতার পান্ডুলিপি ১৯৭০ সালে উড়িষ্যার প্রত্যন্ত গ্রামে আবিষ্কৃত হয়েছিল-চারটি [[ওড়িয়া ভাষায়ভাষা]]য় এবং একটি অপরিশোধিত [[সংস্কৃত ভাষায়ভাষা]]য়, তিনি দাবি করেন যে মূর্তি শিল্প তৈরির মতবাদ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং বিবর্তন, একটি "মহাজাগতিক সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি রূপের একটি রূপ" যা প্রকৃতিগতভাবে বিদ্যমান, এবং এটি একটি ভক্তকে চূড়ান্ত সর্বোচ্চ নীতি ([[ব্রহ্ম]]) নিয়ে চিন্তা করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।<ref name=aliceboner7>Alice Boner, Sadāśiva Rath Śarmā and Bettina Bäumer (2000), Vāstusūtra Upaniṣad, Motilal Banarsidass, {{ISBN|978-81-208-0090-8}}, pages 7–9, for context see 1–10</ref> এই লেখা, যার রচনার তারিখ অজানা কিন্তু সম্ভবত ১ম সহস্রাব্দের শেষের দিক থেকে, অ্যালিস বোনার এবং অন্যান্যরা, দর্শকদের উপর "অনুপ্রেরণামূলক, উচ্চতর এবং প্রভাবশালী প্রভাব" এবং "যোগাযোগের মাধ্যম" হিসেবে ছবির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেনসর্বোচ্চ সত্যের দৃষ্টি এবং অসীমের স্বাদ দেওয়ার জন্য যা অতিক্রম করে "।<ref name=aliceboner7/> এটি যোগ করে (সংক্ষেপিত):
 
{{Quote|''চিত্তের মনন থেকে আনন্দ বৃদ্ধি পায়, আনন্দের বিশ্বাস থেকে, বিশ্বাস থেকে অবিচল ভক্তি, এমন ভক্তির মধ্য দিয়ে উচ্চতর বোঝাপড়া (পারবিদ্যা) যেটি [[মোক্ষ|মোক্ষের]] রাজকীয় পথ। ছবির নির্দেশনা ছাড়া, ভক্তের মন বিপথগামী হতে পারে এবং ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে। ছবি মিথ্যা কল্পনা দূর করে। (... .) এটা Rষিদের মনে আছে (ঋষিদের), যারা প্রত্যক্ষ রূপের সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর সারমর্ম দেখার এবং বোঝার ক্ষমতা রাখে। তারা তাদের বিভিন্ন চরিত্র, [[দেবতা|ঐশ্বরিক]] ও [[অসুর]], সৃজনশীল এবং ধ্বংসাত্মক শক্তিকে তাদের চিরন্তন পারস্পরিক ক্রিয়াকলাপে দেখে। ঋষিদের এই দৃষ্টি, চিরন্তন দ্বন্দ্বের মহাজাগতিক শক্তির বিশাল নাটক, যা স্তপকরা (শিল্পিন, মুর্তি ও মন্দির শিল্পীরা) তাদের কাজের জন্য বিষয়বস্তু আঁকেন।''