চৌর্যতন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কিছু সম্প্রসারণ (কাজ চলবে)
সম্প্রসারণ (কাজ চলবে)
১ নং লাইন:
'''চৌর্যতন্ত্র''' এমন একটি সরকার ব্যবস্থা যার লক্ষ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দেশ ও দেশের নাগরিকদের সম্পদ হাতিয়ে নেয়া এবং ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করা। রাচনীতিবিদরারাজনীতিবিদরা এই ব্যবস্থা কায়েম করে এবং এর মধ্য দিয়ে দেশ ও দেশের নাগরিকদের সম্পদ লুটপাট করে। [[মোবুতু সেসে সেকো]] তার দীর্ঘ ৩২ বৎসর বছরের শাসনামলে [[কঙ্গো]] তথা [[জায়ার]] এ চৌর্যতন্ত্র কায়েম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বলাচৌর্যতান্ত্রিক হয়ব্যবস্থায় [[ভ্লাদিমিরশাসনক্ষমতা পুতিন]]অপবিন্যস্ত রাশিয়ায়করা চৌর্যতন্ত্রহয়। প্রতিষ্ঠাজাতীয় করেপ্রতিষ্ঠানগুলি নিজেরদুর্নীতি ক্ষমতার ডালপালালুটপাটের ব্যাপ্তযন্ত্রে করেছেন।পরিণত চৌর্য্যতন্ত্রহয়। সফলভাবেরাষ্ট্রপরিচালনার ব্যবহারক্ষেত্রে করেক্ষমতাধর [[মন্টিনিগ্রো]] এর রাষ্ট্রপতি [[মিলো দুকানোভিচ]] ২০১০ সালে পৃথিবীর ১০ জন শীর্ষ সম্পদশালী ব্যক্তির তালিকায় নিজের নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। চৌর্যতন্ত্র সফলভাবে পরিচালনার করার শর্ত হলো আইন পরিষদ, বিচার ব্যবস্থা,কিছু আমলাতন্ত্রব্যক্তিসেনাবাহিনিকেতাদের দক্ষতারপরিবারের সঙ্গেসদস্যদের কব্জাস্বার্থ করা।প্রাগ্রাধিকার চৌর্যতন্ত্রকেঅর্জ্জন সহজকরে ভাষায়যার চোরেরফলে রাজত্বতারা তথাজনগণের লুটপাটতন্ত্রসম্পদ বলালুট হয়েকরে থাকে।নিতে রাষ্ট্রের প্রধান নিজেই [[চোরের সর্দ্দার]] হিসাবে কাজসক্ষম করেন।হয়।<ref>[https://www.opengovpartnershipjournalofdemocracy.org/documentsarticles/counteringthe-kleptocracyrise-throughof-openkleptocracy-governmentlaundering-andcash-democraticwhitewashing-oversightreputations/|CounteringThe KleptocracyRise throughof OpenKleptocracy: GovernmentLaundering andCash, DemocraticWhitewashing Oversight]</ref><ref>[https://www.chathamhouse.org/2022/07/what-kleptocracy-and-how-does-it-work|Definition of a kleptocracyReputations]</ref>
 
চৌর্যতন্ত্র ও [[ধনিকতন্ত্র|ধনিকতন্ত্রের]] মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ধনিকতন্ত্রে সমাজের কিছু ধনী বা সম্পদশালী ব্যক্তি রাষ্ট্রক্ষমতা কার্যকরভাবে দখল করে থাকে। অ্যারিস্টোটল বলেছেন [[অভিজাততন্ত্র]] ও [[ধনিকতন্ত্র]] অভিন্ন নয়। চৌর্যতন্ত্রে রাজনীতিকরাই ধনিকতন্ত্রের হোতা। [[কাজাখস্তান|কাজাখস্তানের]] রাষ্ট্রপতির কন্যা দারিগা নাযারবায়েভা দেশটির সিনেটের প্রধান পদ দখল করে ছিলেন এবং রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। [[ফোর্বস]] ম্যাগাজিনের ২০১৩ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০১৩ সালে তার কুক্ষিগত সম্পদের পরিমাণ ৫৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।<ref>[https://eurasianet.org/kazakhstan-nazarbayev-wealth-ruling-dismays-transparency-campaigners|Kazakhstan]</ref>
 
বলা হয় [[ভ্লাদিমির পুতিন]] রাশিয়ায় চৌর্যতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নিজের ক্ষমতার ডালপালা ব্যাপ্ত করেছেন। চৌর্য্যতন্ত্র সফলভাবে ব্যবহার করে [[মন্টিনিগ্রো]] এর রাষ্ট্রপতি [[মিলো দুকানোভিচ]] ২০১০ সালে পৃথিবীর ১০ জন শীর্ষ সম্পদশালী ব্যক্তির তালিকায় নিজের নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। চৌর্যতন্ত্র সফলভাবে পরিচালনার করার শর্ত হলো আইন পরিষদ, বিচার ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও সেনাবাহিনীকে দক্ষতার সঙ্গে কব্জা করা। টাকা-পয়সা ও নানাবিধ সুযোগসুবিধা দিয়ে সমাজের নানা স্তরের মানুষের আনুগত্য নিশ্চিত করা হয়, যাদের মধ্যে রয়েছে অসামরিক ও সামরিক আমলা, বিচারপতি, সাংবাদিক, শিক্ষকসমাজ ইত্যাদি। চৌর্যতন্ত্রকে সহজ ভাষায় চোরের রাজত্ব তথা লুটপাটতন্ত্র বলা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রের প্রধান নিজেই [[চোরের সর্দ্দার]] হিসাবে কাজ করেন।<ref>[https://www.opengovpartnership.org/documents/countering-kleptocracy-through-open-government-and-democratic-oversight|Countering Kleptocracy through Open Government and Democratic Oversight]</ref> <ref>[https://www.chathamhouse.org/2022/07/what-kleptocracy-and-how-does-it-work|Definition of a kleptocracy]</ref>
 
== দেশ ও নাগরিকদের সম্পদের উৎস ==
== সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার কলাকৌশল ==
অবাধ দুর্নীতি জনগণের অর্থ ও সম্পদ লুটপাটের প্রধান কৌশল।<ref>[https://www.chathamhouse.org/2022/07/what-kleptocracy-and-how-does-it-work| Definition of a kleptocracy]</ref>
 
=== উচ্চমূল্যে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন===
=== প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রয়ের অর্থ ===
=== উন্নয়নপ্রকল্প অতি উচ্চমূল্যে বাস্তবায়ন===
=== ঋণখেলাপের মধ্য দিয়ে ব্যাংকে রক্ষিত জনগণের টাকা লুট করা ===
বাংলাদেশে কয়েকজন ধনী ব্যক্তি ধীরে ধীরে ব্যাংকখাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাকের ডগায় ঋণের নামে ব্যাংক থেকে জনগণের টাকা হাতিয়ে নেয়ার হয়।<ref>ঢাকা কুরিয়ার, ২৪মে ২০২৪ সংখ্যার সম্পাদকীয়</ref>
১৮ ⟶ ২২ নং লাইন:
=== বিদেশে অর্থপাচারের সুযোগ ===
=== সরকার ও ব্যবসায় সম্প্রদায়ের আঁতাত ===
চৌর্যতন্ত্র কায়েমের অন্যতম শর্ত হচ্ছে সরকার ও ব্যবসায় সম্প্রদায়ের মধ্যে আঁতাত। <ref>[https://www.journalofdemocracy.org/articles/the-rise-of-kleptocracy-laundering-cash-whitewashing-reputations| The Rise of Kleptocracy]</ref>
=== দুর্নীতির জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় না ===
=== প্রশাসনযন্ত্রের সমর্থন ===
২৫ ⟶ ২৯ নং লাইন:
=== দুনীর্তিদমন বিভাগের দুর্বলতা ===
== চৌর্যতন্ত্রের সুবিধাভোগী কয়েকজন শাসক ==
২০০৪ সালের জার্মানভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী এনজিও [[ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল]] আগের দুই দশকে চৌর্যতন্ত্রের মধ্যদিয়ে সম্পদশালী হওয়া দশজন রাষ্ট্রশাসকের একটি তালিকা প্রকাশ করে। তাদেরকে "নিশ্চিতভাবে বিশ্বের ১০ জন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদনের অবশ্য স্বীকার করে যে এই দুঃশাসকরা "প্রকৃতপক্ষে ঠিত কত টাকা আত্মসাৎ করেছে সে সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে।" এদের চুরিকরা অর্থসম্পদের প্রাক্কলিত পরিমাণ নিম্নরূপ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারে রূপান্তরিত):<ref>[Hodess, Robin; Inowlocki, Tania; Rodriguez, Diana; Wolfe, Toby, eds. (2004). Global Corruption Report 2004 (PDF). Sterling, VA: Pluto Press in association with Transparency International. p. 13. ISBN 074532231X.]</ref>
 
* Former Indonesian President Suharto ($15 billion to $35 billion)
৪১ ⟶ ৪৫ নং লাইন:
=== চৌর্যতন্ত্রীয় রাষ্ট্রে অর্থনীতির চেহারা ===
== চৌর্যতন্ত্র উৎখাতের সম্ভাবনা ==
রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে চৌর্যতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে তা উৎখাতের দায়িত্ব নাগরিকদের।<ref>[https://www.usaid.gov/anti-corruption/dekleptification| Dekleptification Guide]</ref> অনেক দেশে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে চৌর্যতন্ত্রের অবসান ঘটানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে লুটেরাদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালে ফ্রান্স সরকার ইকোয়েটোরিয়াল গিনির রাষ্ট্রপতি প্রেসিডেন্ট তেওদোরো ওবিয়াংয়ের এক পুত্র ও দেশের ভাইস প্রেসিডেণ্ট তেওদোরো ওবিয়াং ম্যাঙ্গু’র বিচার সম্পন্ন করেছে। তিনি বর্তমানে পলাতক। তাকে ৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে ও তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।<ref>[https://www.france24.com/en/france/20210728-french-court-upholds-guilty-verdict-on-fraud-charges-for-equatorial-guinea-s-vp| French court upholds guilty verdict on fraud charges for Equatorial Guinea's VP]</ref>
=== নাগরিকদের সচেতনতা ও দায়িত্ব ===
=== সুশীল সমাজের দায়িত্ব ===