কালীগঞ্জ উপজেলা, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলার একটি উপজেলা

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Mahedi181 (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৭:২০, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (→‎শিক্ষা: সংশোধন)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

কালিগঞ্জ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।

কালিগঞ্জ
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°২৭′১০″ উত্তর ৮৯°২′৩৫″ পূর্ব / ২২.৪৫২৭৮° উত্তর ৮৯.০৪৩০৬° পূর্ব / 22.45278; 89.04306 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাসাতক্ষীরা জেলা
আয়তন
 • মোট৩৩৩.৭৯ বর্গকিমি (১২৮.৮৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা []
 • মোট৩,২৫,৬৩৫
 • জনঘনত্ব৯৮০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৮৭ ৪৭
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান

উত্তরে দেবহাটা উপজেলা,দক্ষিণে শ্যামনগর উপজেলা,পূর্বে আশাশুনি উপজেলা, পশ্চিমে ভারত অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকা

কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন আছে।এর কোন পৌরসভা নেই। ইউনিয়ন সমূহ হচ্ছে -

  1. কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন
  2. বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন
  3. চাম্পাফুল ইউনিয়ন
  4. দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন
  5. কুশুলিয়া ইউনিয়ন
  6. নলতা ইউনিয়ন
  7. তারালী ইউনিয়ন
  8. ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন
  9. মথুরেশপুর ইউনিয়ন
  10. ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন
  11. রতনপুর ইউনিয়ন
  12. মৌতলা ইউনিয়ন

ইতিহাস

কালীগঞ্জ এর কোন সঠিক ইতিহাস আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে এই এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে সতীশ চন্দ্র মিত্রর একটি বইয়ের উপর নির্ভর করতে হয় যা যশোহর খুলনার ইতিহাসের উপর রচিত। এই গ্রন্থে নামকরণ বিষয়ে কালিগঞ্জকে একটি আধুনিক নাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।রাজা প্রতানের পতনের পর বাজিতপর পরগনা নদীয়ার রাজার হস্তগত হয় বলে ‍‌উল্লেখ করা আছে। তারপর চাঁপড়ার রাজা কৃষ্ণরাম এই পরগনা খরিদ করেন(১৭০৫-১৭২৯)। পরবতীর্তে তা কালক্রমে কলিকাতার দর্পনারায়ন ঠাকুরের হস্তে যায়। তদ্ববংশীয় কানাইলাল ঠাকুর নারায়ন পুরে কালি প্রতিষ্টা করেন। উক্ত কালী থেকে কালক্রমে কালিগঞ্জ হয় বলে গ্রন্থে উল্লেখিত আছে। এই ইতিহাস ব্যতীত বাইরে আর কোন উৎস পাওয়া যায়নি।

মুক্তিযুদ্ধে কালীগঞ্জ

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কালীগঞ্জ ৯নং সেক্টরের অধীনে ছিল। বসন্তপুর, খানজিয়া, পিরোজপুর, নাজিমগঞ্জ, দুদলি এবং উকশা এলাকাগুলোতে পাক-হানাদারদের সাথে মুক্তিবাহিনীর একাধিক সংঘর্ষ যংঘটিত হয়। ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বার কালীগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত

কালিগঞ্জ এর মোট জনসংখ্যা ৩,২৫,৬৩৫জন।

শিক্ষা

এখানে বর্তমানে শিক্ষার হার শতকরা ৪৭ জন (১৫ বছরের উর্দ্ধে)|পুরুষ শতকরা ৫৪ জন এবং মহিলা শতকরা ৪১ জন।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-

কালীগঞ্জ সরকারী কলেজ

নলতা কলেজ

কালীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কালীগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

চম্পা ফুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়

ডঃ মুজিব রুবি উচ্চ বিদ্যালয়


অর্থনীতি

লোনাপানির মাছমিঠা পানির মাছ উভয় প্রকার মাছের চাষকৃত ঘের চোখে পড়ে।

নদ-নদী

  1. ইছামতি নদী
  2. কাকশিয়ালী নদী
  3. কালিন্দী নদী
  4. যমুনা নদী

দর্শনীয় স্থান

  1. নলতা পাক রওজা শরীফ
  2. প্রবাজপুর শাহী মসজিদ
  3. ড্যামরাইল নবরত্ন মন্দির
  4. কালিগঞ্জ বিজ্র
  5. কালিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
  6. ছোট মিঞার দরবার শরীফ
  7. সাত্তার মোড়লের খামার বাড়ি
  8. দুই সতিনীর দীঘি
  9. মদিনা পীরের দরগা
  10. বিক্রম আদিত্যের দুর্গ
  11. প্রতাপাদিত্য এর বাগান

কৃতী ব্যক্তিত্ব

বিবিধ

আরও দেখুন

তথ্যসুত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে কালিগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ