নূরুল ইসলাম সুজন
মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন (৫ জানুয়ারি ১৯৫৬)[১] বাংলাদেশের পঞ্চগড়-২ সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[২]
এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন | |
---|---|
বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৬ জানুয়ারি ২০১৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | মুজিবুল হক মুজিব |
পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ | |
পূর্বসূরী | মোজাহার হোসেন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পঞ্চগড় | ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | নিলুফার ইসলাম শাম্মী আকতার মনি (বি. ২০২১) |
সম্পর্ক | সিরাজুল ইসলাম (ভাই) |
সন্তান | ৩ |
পিতামাতা | এমাজউদ্দি আহম্মেদ এবং কবিজান বেছার |
পেশা | আইনজীবী |
জন্ম ও পারিবারিক জীবন
নূরুল ইসলাম সুজন ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘির মহাজনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এমাজউদ্দি আহম্মেদ ও কবিজান বেছারের দ্বিতীয় সন্তান। তার বড় ভাই এডভোকেট মোঃ সিরাজুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড় হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নিলুফার ইসলাম অসুস্থতায় ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৩] ৫ জুন ২০২১ সালে তিনি দিনাজপুরের বিরামপুরের শাম্মী আকতার মনিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।[৪]
শিক্ষাজীবন
মো: নূরুল ইসলাম সুজন ময়দানদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ময়নাদীঘি বি এল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজ হতে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[৫] তিনি আইনের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ডাকসুর বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
কর্মজীবন
নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।[৬] তিনি ঢাবির সিনেট সদস্য ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবন
তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম অংশগ্রহণ করেন নূরুল ইসলাম সুজন। অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম পরাজিত হন। পঞ্চগড়-২ আসনে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মোজাহার হোসেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সুজন। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হন। [৭] ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তথ্যসূত্র
- ↑ "মাননীয় মন্ত্রী"। mor.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০২।
- ↑ "47-member new cabinet announced"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৮।
- ↑ "মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সব আনন্দ বিষণ্ণতায় ম্লান"। পূর্ব পশ্চিম। ১০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ হিলি, হালিম আল রাজী (১০ জুন ২০২১)। "বিয়ে করেছেন রেলমন্ত্রী"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২১।
- ↑ "মন্ত্রী হলেন নুরুল ইসলাম, পঞ্চগড়ে আনন্দ মিছিল"। NTV Online। ২০১৯-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "২২ বছর পর পঞ্চগড় পাচ্ছে মন্ত্রী রেলমন্ত্রী হচ্ছেন সুজন"। ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Md. Nurul Islam Sujan"। Amarmp (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |