আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি (ইংরেজি: International Olympic Committee) খেলাধুলাকেন্দ্রিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের লৌজানে এলাকায় অবস্থিত। পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ ২৩ জুন, ১৮৯৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম সভাপতি হিসেবে ছিলেন দিমেত্রিওস ভাইকেলাস। বতর্মানে এর সদস্য সংখ্যা হিসেবে রয়েছে বিশ্বের ২০৫টি দেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি। তবে, ২০১০ সাল থেকে কুয়েত জাতীয় অলিম্পিক কমিটির উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করায় তারা এখন সদস্য নয়।

কমিটি ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি
নীতিবাক্যসাইটিয়াস, আলটিয়াস, ফরটিয়াস
গঠিত২৩ জুন ১৮৯৪; ১৩০ বছর আগে (1894-06-23)
ধরনক্রীড়া সংস্থা
সদরদপ্তরসুইজারল্যান্ড লোজান, সুইজারল্যান্ড
সদস্যপদ
২০৫টি দেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি, ৩২টি দেশ সম্মানিত সদস্য
দাপ্তরিক ভাষা
ফরাসী, ইংরেজি এবং স্বাগতিক দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
সভাপতি
জার্মানি থমাস বাখ
ওয়েবসাইটwww.Olympic.org

অলিম্পিক

সম্পাদনা

প্রাচীন গ্রিসে দেবতাদের বাসভূমি হিসেবে স্বীকৃত অলিম্পাস পাহাড়ের পাদদেশে গ্রিক দেবতাদের সম্মানার্থে যে খেলাধুলার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হতো তা অলিম্পিক গেমস নামে পরিচিত। খ্রিস্ট-পূর্ব ৭৭৬ অব্দ হতে ৩৯৬ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালে এ খেলা প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে ১৮৯৬ সালে ফ্রান্সের ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ'র উদ্যোগে আধুনিক অলিম্পিক গেমস পুনরায় প্রচলিত হয়।

ক্রীড়া আয়োজন

সম্পাদনা

আইওসি বা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ানুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে। এ ক্রীড়া প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিক গেমস্ বলতে মূলতঃ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ক্রীড়ানুষ্ঠানকে বুঝায়। পাশাপাশি শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া এবং গ্রীষ্মকালীন যুব অলিম্পিকশীতকালীন যুব অলিম্পিক ক্রীড়া অণুষ্ঠানও পরিচালিত করে সংস্থাটি।

১৮৯৬ সালে গ্রিসের এথেন্সে ১ম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এবং ১৯২৪ সালে ফ্রান্সের চ্যামোনিক্সে ১ম শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া আসর বসেছিল। ২০১০ সালে সিঙ্গাপুরে ১ম গ্রীষ্মকালীন যুব অলিম্পিক এবং ২০১২ সালে ইন্সব্রুকে ১ম শীতকালীন যুব অলিম্পিক ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত একই সালে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতো। ঐ বছরের পর আইওসি'র সিদ্ধান্তক্রমে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ক্রীড়ার দু'বছর পর ১৯৯৪ সালে পুনরায় শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মূল কারণ ছিল নাম বিভ্রাট, প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা, বছরের দূরত্ব এবং সর্বোপরি অর্থনৈতিক ঘাটতি মোকাবেলায় আইওসি'র সক্ষমতা অর্জন করা। মূলতঃ আর্থিক আয় বৃদ্ধি পায় অলিম্পিক ক্রীড়া অণুষ্ঠানের বছরগুলোয়।

তন্মধ্যে ১৯১৩ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে এবং ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে এ ক্রীড়া আয়োজন স্থগিত রাখা হয়েছিল।

রূপরেখা প্রণয়ন

সম্পাদনা
 
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং এ সভাপতি হিসেবে চীরভাস্বর হয়ে আছেন পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ।

২৩ জুন, ১৮৯৪ সালে অলিম্পিক গেমসকে পুণরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে একটি পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার রূপরেখা প্রণয়ন করেন। ব্যারন আশাবাদী ছিলেন যে, এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, যোগাযোগ এবং শান্তির সুমহান বাণী প্রতিষ্ঠিত হবে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধান সংস্থা হিসেবে আইওসি বিভিন্ন দেশের স্থানীয় প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষের সাথে ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে আলোচনায় অগ্রসর হয়। এছাড়াও, সংস্থাটি কপিরাইট, ট্রেডমার্কসহ অন্যান্য বিষয়াদিও অলিম্পিক গেমসের সাথে সম্পৃক্ত রাখতে সচেষ্ট হয়।

অলিম্পিক লোগো, অলিম্পিক পতাকা, নীতিবাক্য, মতাদর্শ, সঙ্গীত - এগুলোর সকলই আইওসি'র স্বত্ত্ব হিসেবে থাকবে ও পরিচালিত হবে। তথ্য হিসেবে ধারণ বা রেকর্ড, সরাসরি সম্প্রচার, পুণঃপ্রচার এবং বিপণনও সংস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অন্যান্য সংস্থা যদি আইওসি-কে সহযোগিতা করে তাহলে তারা অলিম্পিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছেন বলে ধরে নেয়া হবে। সভাপতি এর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ও দায়িত্বশীল হবেন। পাশাপাশি সহযোগী সদস্যগণও নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

অলিম্পিক বাজারজাতকরণ

সম্পাদনা

১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে ক্রমশঃ দেউলিয়ার দিকে নিপতিত হওয়া আইওসি তাদের একটি বিভাগকে ক্রীড়া বিষয়কে উপজীব্য করে বাজারজাতকরণ এবং সংগঠনকে খসড়াভাবে সহায়তার লক্ষ্যে অগ্রসর হয়।[] ১৯৯৮ সালে ঐ বিভাগের একজন নির্বাহী সদস্য হিসেবে মাইকেল পেইন আইওসি'র প্রথম বাজারজাতকরণ পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।[][]

আইওসিতে ২০ বছর যাবৎ সম্পৃক্ত অবস্থায় পেইন সংস্থাটিকে আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় করেন। তিনি বাজারজাতকরণ পরিকল্পনায় সফলতা অর্জন করে সংস্থাকে মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের তহবিলে দাঁড় করান।[][][][]

রাজস্ব আহরণ

সম্পাদনা

অলিম্পিক আন্দোলনকে বেগবান করতে পাঁচটি প্রধান পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে রাজস্ব আহরিত হয়। আইওসি ক্রীড়া সম্প্রচার সম্পর্কীয় চুক্তি এবং টিওপি-এর মাধ্যমে এটি পরিচালনা করে। অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটি অভ্যন্তরীণ সম্প্রচার, টিকেটিং এবং বৈধভাবে বিতরণের জন্য স্বাগতিক দেশকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। অলিম্পিক আন্দোলনে $৪ বিলিয়নেরও অধিক অর্থ যা €২.৫ বিলিয়ন সমপরিমাণ, সাম্প্রতিককালে (২০০১-২০০৪) সংগৃহীত হয়েছে।

উপার্জিত অর্থ থেকে কিছু অর্থ অলিম্পিক আন্দোলনের সাথে জড়িত সংস্থাকে প্রদান করা হয়। প্রদেয় অর্থ পরবর্তীকালে অলিম্পিক গেমসসহ বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গণে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সংক্রান্ত খাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আনুমানিক ৮% অর্থ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে অর্থসংগ্রহের জন্য কারিগরী ও প্রশাসনিক খাতে ব্যয় করে।

প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য

সম্পাদনা
সদস্যের নাম দেশ থেকে পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ
মারিও লুক্কেসি-পাল্লি ইতালী রাজতন্ত্র ১৮৯৪ ১৮৯৪
দেমিত্রিয়োস ভাইকেলাস গ্রিস রাজতন্ত্র ১৮৯৪ ১৮৯৭ সভাপতি (১৮৯৪-১৮৯৬)
আর্থার রাসেল, ২য় ব্যারন এম্পথিল গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড ১৮৯৪ ১৮৯৮
আলেক্সি দ্য বুটোস্কি রুশ সাম্রাজ্য ১৮৯৪ ১৯০০
লিওনার্দ এ. কাফ   নিউজিল্যান্ড ১৮৯৪ ১৯০৫
চার্লস হার্বার্ট গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড ১৮৯৪ ১৯০৬
জোস বেঞ্জামিন জুবিয়র   আর্জেন্টিনা ১৮৯৪ ১৯০৭
ফেরেঙ্ক কেমেনি   হাঙ্গেরি ১৮৯৪ ১৯০৭
আর্নেস্ট ক্যালট   ফ্রান্স ১৮৯৪ ১৯১৩ কোষাধ্যক্ষ (১৮৯৪-১৮৯৫)
ভিক্টর ব্যাল্ক সুইডেন ও নরওয়ে ১৮৯৪ ১৯২১
উইলিয়াম মিলিগ্যান স্লোয়েন যুক্তরাষ্ট্র ১৮৯৪ ১৯২৪
ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ   ফ্রান্স ১৮৯৪ ১৯২৫ সাধারণ সম্পাদক (১৮৯৪-১৮৯৬), সভাপতি (১৮৯৬-১৯২৫)
জিরি স্ট্যানিস্ল্যাভ গুথ-জার্কোভস্কি বোহেমিয়া ১৮৯৪ ১৯৪৩

নির্বাহী পরিষদ

সম্পাদনা

আইওসি নির্বাহী পরিষদ ১৫ সদস্যবিশিষ্ট হয়ে থাকে। তন্মধ্যে - ১ জন সভাপতি, ৪ জন সহ-সভাপতি এবং বাকী ১০ জন সদস্যরূপে নির্বাচিত হন। সকল সদস্যদের গোপন ভোটের মাধ্যমে তাদের রায় ও মতামতের প্রতিফলন ঘটান। গণতান্ত্রিক পন্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচন করা হয়। আইওসি নির্বাহী পরিষদ প্রশাসনিক এবং অন্যান্য বিষয়াদিতে যাবতীয় দায়ভার নিয়ে থাকেন।

আইওসি সভার অধিবেশনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত মধ্য থেকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। একজন সভাপতি একাধারে আট বছরের জন্য নির্বাচিত হতে পারেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত আরো চার বছরের জন্য নবায়ণ করা যাবে। বর্তমান সভাপতি হিসেবে আট বছর মেয়াদকালের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখ থেকে ক্ষমতাসীন আছেন জার্মানির থমাস বাখ। তিনি ২য় মেয়াদে অতিরিক্ত সময়ের জন্য ২০২১ সালে পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সাবেক সভাপতি জোয়াও এন্টোনিও সামারাঞ্চ আজীবন সম্মানিত সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সভাপতির তালিকা

সম্পাদনা

আইওসি'র সভাপতি হিসেবে এ পর্যন্ত ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

ক্রমিক নং সভাপতি দেশের নাম জন্ম-মৃত্যু তারিখ কার্যভার গ্রহণ দায়িত্ব হস্তান্তর সংক্ষিপ্ত বিবরণ
১। ডিমেত্রিয়াস ভিকেল্যাস গ্রিস রাজতন্ত্র ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৩৫

২০ জুলাই, ১৯০৮
১৮৯৪ ১৮৯৬
২। পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ   ফ্রান্স ১ জানুয়ারি, ১৮৬৩

২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭
১৮৯৬ ১৯২৫ সবচেয়ে দীর্ঘদিন সভাপতি ছিলেন
(২৯ বছর)
গোদফ্রয় দ্য ব্লোনে    সুইজারল্যান্ড ২৫ জুলাই, ১৮৬৯

১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭
১৯১৬ ১৯১৯ (ভারপ্রাপ্ত)
৩। হেনরী দ্য ব্যালেত-ল্যাতুঁর   বেলজিয়াম ১ মার্চ, ১৮৭৬

৬ জানুয়ারি, ১৯৪২
১৯২৫ ১৯৪২ কার্যকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন
৪। জোহানেস সিগ্রফ্রিড এডস্ট্রোম   সুইডেন ২১ নভেম্বর, ১৮৭০

১৮ মার্চ, ১৯৬৪
১৯৪২ ১৯৫২
৫। এভেরী ব্রুন্ডেজ   যুক্তরাষ্ট্র ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৭

৮ মে, ১৯৭৫
১৯৫২ ১৯৭২ এ পর্যন্ত একমাত্র ইউরোপীয় বহির্ভূত সদস্যরূপে সভাপতি হিসেবে ছিলেন
৬। লর্ড কিলানিন   আয়ারল্যান্ড ৩০ জুলাই, ১৯১৪

২৫ এপ্রিল, ১৯৯৯
১৯৭২ ১৯৮০
৭। জোয়াও এন্টোনিও সামারাঞ্চ   স্পেন ১৭ জুলাই, ১৯২০

২১ এপ্রিল, ২০১০
১৯৮০ ২০০১ সবচেয়ে দীর্ঘদিন সভাপতির তালিকায় ২য় ছিলেন
(২১ বছর)
৮। জ্যাকুয়েস রগ   বেলজিয়াম ২ মে, ১৯৪২

বর্তমান
২০০১ ২০১৩ ২য় বেলজিয়ান হিসেবে এ আসনে রয়েছেন
৯। থমাস বাখ   জার্মানি ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৩

বর্তমান
২০১৩ ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়সীমা বরাদ্দ

প্রদেয় সম্মাননা

সম্পাদনা

অলিম্পিক গেমসে পদক বিজয়ী প্রতিযোগীদেরকে স্বর্ণপদক, রৌপ্যপদক এবং ব্রোঞ্জপদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও, আওসি কর্তৃক অন্যান্য সম্মাননা প্রদানেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

  • দৌড়বিদ হিসেবে যিনি ক্রীড়াক্ষেত্র অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শনসহ ক্রীড়ায় অবদান রাখেন তাদেরকে আইওসি প্রেসিডেন্টস ট্রফি প্রদান করা হয়।
  • অলিম্পিক ক্রীড়া বিষয়ে বিশেষ ক্রীড়াশৈলী আচরণ ও মনোভাব প্রদর্শনের জন্য দৌড়বিদগণ পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ পদক পান।
  • অলিম্পিক আন্দোলনকে জোড়ালো ও বেগবান রাখার ভূমিকায় সক্রিয় প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থাকে অলিম্পিক কাপ প্রদান করা হয়।
  • ব্যক্তিগত পর্যায়ে অলিম্পিক আন্দোলনে অসাধারণ ভূমিকা প্রদর্শনের জন্য অলিম্পিক সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

প্রকাশনা

সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অলিম্পিক রিভিউ এবং রেভ্যু অলিম্পিক শিরোনামে ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হচ্ছে।[]

বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা

সম্পাদনা

জাতীয় অলিম্পিক কমিটি হিসেবে বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এর সদর দফতর ঢাকায়। বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা বা বিওএ ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়া অলিম্পিক সংস্থা-সহ ১৯৮০ সালে এটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির স্বীকৃতি পায়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "IOC Marketing Supremo: Smile, Beijing"। china.org.cn। ৬ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  2. "How the IOC took on Nike in Atlanta"Sports Business Journal DailySports Business Journal। ১১ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  3. "London Bid 'Has Improved'"sportinglife.com। ১৫ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  4. "Boost for London's Olympic Bid"RTÉ Sport। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  5. Campbell, Struan (২২ অক্টোবর ২০০৮)। "Payne – London 2012 to tap fountain of youth"। Sportbusiness.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  6. "Olympic Review and Revue Olympique"AAFLA। ৫ এপ্রিল ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০০৬ 
  7. "Bangladesh Olympic Association (BAN), collection: 3 March, 2012"। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৮ 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা