আবু ইসহাক
আবু ইসহাক (জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৯২৬ ইংরেজি; ১৫ কার্তিক, ১৩৩৩ বাংলা) তৎকালীন মাদারীপুর (বর্তমান শরীয়তপুর জেলা) নড়িয়া থানাধীন শিরঙ্গল গ্রামে, মৃত্যু: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩, ঢাকায়); তিনি একজন বাংলাদেশী গ্রন্থকার।[১] তিনি ১৯৪৬ সালে, মাত্র একুশ বছর বয়সে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস 'সূর্য দীঘল বাড়ী' এবং এটি প্রকাশ করা হয় ১৯৫৫ সালে কলকাতা থেকে,[১] এটি একটি সামাজিক উপন্যাস। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ও দেশের বাইরে আকিয়াব ও কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাইস-কনসাল ও ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আবু ইসহাক | |
---|---|
জন্ম | ১ নভেম্বর, ১৯২৬ শিরঙ্গল, নড়িয়া, মাদারীপুর মহকুমা |
মৃত্যু | ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | বাংলাদেশী লেখক |
পুরস্কার | একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার |
শিক্ষা জীবন
সম্পাদনাআবু ইসহাক ১৯৪২ সালে নড়িয়া থানার উপসী বিজারি তারাপ্রসন্ন ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ নিয়ে মেট্রিক এবং ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ১৯৪৪ সালে আই.এ পাশ করেন। ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবন শেষে তিনি আমলা পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং বিদেশে কূটনৈতিক পদে নিয়োজিত ছিলেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাআবু ইসহাক প্রথমে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। দেশবিভাগের পরে ১৯৪৯ সালে তিনি পুলিশ বিভাগে সহকারি পরিদর্শক হন এবং ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকায় এসে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক হন। পরের বছর বার্মার আকিয়াবে বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাসে ভাইস-কনসাল এবং ১৯৭৬ সালে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সেক্রেটারি পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৭৯ সালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার খুলনা বিভাগের প্রধান হয়ে ১৯৮৪ সালে অবসার গ্রহণ করেন।[২]
অভিধান প্রণেতা হিসেবেও আবু ইসহাকের একটি বিশিষ্ট পরিচয় আছে। তিনি সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান (২ খন্ড, ১৯৯৩, ১৯৯৮) রচনা করে বাংলা কোষগ্রন্থের পরিধিকে বাড়িয়ে তুলেছেন। তাঁর প্রণীত অভিধানের বিশেষত্ব হলো শব্দের শুধু অর্থ নয়, সব ধরনের প্রতিশব্দ বা সমর্থক প্রদান। তাঁর অভিধানে ‘অন্ধকার’ শব্দের ১২৭টি সমর্থক শব্দ আছে।
গ্রন্থ
সম্পাদনাউপন্যাস
সম্পাদনা- সূর্য দীঘল বাড়ি (১৯৫৫)[৩] - চলচ্চিত্ররূপ - ১৯৭৯[৪]
- পদ্মার পলিদ্বীপ (১৯৮৬, সামাজিক উপন্যাস)
- জাল (১৯৮৮, গোয়েন্দা উপন্যাস)
গল্প
সম্পাদনা- হারেম (১৯৬২)
- মহাপতঙ্গ (১৯৬৩)
- জোঁক
পুরস্কার
সম্পাদনা- বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২-৬৩)
- সুন্দরবন সাহিত্যপদক (১৯৮১)
- একুশে পদক (১৯৯৭)
- স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) ২০০৪[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "'সূর্য দীঘল বাড়ী' থেকে বর্তমানের কথাসাহিত্যে আবু ইসহাক"। দৈনিক যায়যায় দিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ০৩ মার্চ , ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১১। অজানা প্যারামিটার
|Author=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "ইসহাক, আবু - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২১।
- ↑ "Agunpakhi: Chronicle of a Life, Place and Time"। The Dailystar। Dhaka, Bangladesh। ১৪ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১। অজানা প্যারামিটার
|Author=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ "The red and green silver screen"। The Dailystar। Dhaka, Bangladesh। 04 February 2006। সংগ্রহের তারিখ 11 September 2011। অজানা প্যারামিটার
|Author=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ সূর্য-দীঘল বাড়ী|লেখক:আবু ইসহাক|প্রকাশক: নওরোজ সাহিত্য সম্ভার|ISBN 978-984-702-134-8
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আবু ইসহাক (ইংরেজি) - এ