কিশোরগঞ্জ উপজেলা
কিশোরগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
কিশোরগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে কিশোরগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৪′২৪″ উত্তর ৮৯°১′৩১″ পূর্ব / ২৫.৯০৬৬৭° উত্তর ৮৯.০২৫২৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৬৪.৯৮ বর্গকিমি (১০২.৩১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৬১,০৬৯ |
• জনঘনত্ব | ৯৯০/বর্গকিমি (২,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৩% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৭৩ ৪৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
সম্পাদনাকিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রথমত থানা হিসাবে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। কথিত আছে যে- একসময় এখানে একটি প্রভাবশালী জমিদার পরিবার বাস করত এবং জমিদারের নাম ছিল কিশোরী মোহন রায়। সাধারণ লোকের ধারণা যে উপজেলার নামের উৎপত্তিতে "কিশোরী" নামের সাথে "গঞ্জ" শব্দটি যোগ হয়ে কিশোরীগঞ্জ হয়েছিল যা পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ নামে পরিবর্তিত হয়েছে।
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাকিশোরগঞ্জ উপজেলা নীলফামারী জেলাধীন পূর্বে অবস্থিত একটি উপজেলা। এ উপজেলার উত্তরে জলঢাকা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলা, পশ্চিমে নীলফামারী সদর উপজেলা ও সৈয়দপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাকিশোরগঞ্জ উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত:
- বড়ভিটা ইউনিয়ন
- পুটিমারী ইউনিয়ন
- নিতাই ইউনিয়ন
- বাহাগিলি ইউনিয়ন
- চাঁদখানা ইউনিয়ন
- কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন
- রনচন্ডি ইউনিয়ন
- গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন
- মাগুড়া ইউনিয়ন
ইউনিয়ন ২০০১ সন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কিশোরগঞ্জ ৫১ | ৫৬৫৯ | ১৮২৪১ | ১৬৯২৬ | ৩৩.৬৪ | ||||
বড়ভিটা ২৫ | ৫৫৩৩ | ১১৭৭৫ | ১১১১৪ | ৩৪.৯৩ | ||||
বাহাগিলি ১৭ | ৫৬৯৯ | ১১৮৭৪ | ১১৪১৬ | ৩০.৬৫ | ||||
পুঁটিমারী ৮৬ | ৫৯১৩ | ১৬২৩১ | ১৪৮৬৭ | ৩১.৮১ | ||||
নিতাই ৬৯ | ৫২৮৩ | ১৩০২৫ | ১২৩০৮ | ২৯.১৯ | ||||
চাঁদখানা ৩৪ | ৫৭০০ | ১৩৭০০ | ১২৪৪২ | ৩০.৪৭ | ||||
রনচন্ডী ৯৪ | ৫৬৯০ | ১৩২৪৯ | ১২৬৫২ | ৩২.২৮ | ||||
গরগ্রাম ৪৩ | ৫৬৭৯ | ১৪৩৯৭ | ১৩৬১৫ | ৩৮.৬২ | ||||
মাগুরা ৬০ | ৫৪৮৩ | ১৮২৮৯ | ১৭০৭১ | ৩২.২২ |
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা- মোটঃ ২,৬১,০৬৯ জন
- পুরুষঃ ১,৩০,৯৩১ জন
- মহিলাঃ ১,৩০,১৩৮ জন[২]
জলাশয় ও প্রধান নদী
সম্পাদনা- তিস্তা
- যমুনেশ্বরী
- বুল্লাই
- চেলওয়াল বিল ও বাফলার বিল উল্লেখযোগ্য।
- ধাইদান
- চারালকাটা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনাকলেজ ১০, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৯, মাদ্রাসা ৩০। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ:
- কিশোরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ (১৯৭২)
- বড়ভিটা স্কুল এন্ড কলেজ
- রণচন্ডী হাই স্কুল এন্ড কলেজ(১৯৬৫ এবং কলেজ ১৯৯৮)
- মাগুড়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৬)
- কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৯)
- শরীফাবাদ দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়।
- কিশোরগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- কিশোরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ
- ছিট রাজীব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৯৮)
- মুশা পুষনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ভেড়ভেড়ী জুম্মা পাড়া ডিএস দাখিল মাদ্রাসা
- সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ২২, লাইব্রেরি ২, সিনেমা হল ১, নাট্যমঞ্চ ১, নাট্যদল ১, খেলার মাঠ ২৭।
- এ উপজেলায় শিক্ষার হার ৫৪%।
মেলা
সম্পাদনা- চরকহাটি
- টটুয়ার মেলা উল্লেখযোগ্য
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনামসজিদ ৩৮০, মন্দির ৯৯, মাযার ২ টি।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ চান খোসালের তিন গম্বুজ জামে মসজিদ (ভেড়ভেড়ী, অষ্টাদশ শতাব্দী), পুঁটিমারীর মন্দির (পুঁটিমারী), নবগয়াধাম (বাহাগিলি), ভীমের মায়ের চুলা (কিশোরগঞ্জ সদর)
হাট বাজার
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য
- কিশোরগঞ্জ হাট,
- টেপার হাট,
- বড়ভিটা হাট,
- অবিলের বাজার ও হাট
- মাগুরার হাট ও
- গাড়াগ্রাম হাট
- কান্দুরার মোড়
- হাজিরহাট
- খোকার বাজার
- কালিকাপুর হাট
- নিতাই হাট
- বেলতলি বাজার
প্রধান ফল-ফলাদি
সম্পাদনা- আম
- কাঁঠাল
- পেয়ারা
- কলা
- লিচু
- পেঁপে
অর্থনীতি
সম্পাদনাএই উপজেলার অর্থনীতির শতকরা প্রায় ৭১ ভাগ কৃষিনির্ভর। বাকি ২৯ ভাগ বিভিন্ন পেশার উপর নির্ভরশীল। কিশোরগঞ্জ এর উর্বর ভূমি প্রধানত আলু, ধান, শাকসবজি, আদা, তামাক, গম ও ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কিশোরগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ১৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১২।