কোচবিহার

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার একটি পৌরসভা

কোচবিহার বা কুচবিহার হল পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার জেলা সদর ও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। কোচবিহারের উত্তরপূর্বে আসাম রাজ্য এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ

কোচবিহার
কুচবিহার
শহর
কোচবিহার রাজবাড়ি
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাকোচবিহার
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসককোচবিহার পৌরসভা
আয়তন
 • মোট৮.১৯ বর্গকিমি (৩.১৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৭৭,৯৩৫
 • জনঘনত্ব৯,৫০০/বর্গকিমি (২৫,০০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি, রাজবংশী
সময় অঞ্চলভারত মান সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
ডাক সূচক সংখ্যা৭৩৬১০১
দূরভাষ সংখ্যা+৯১ ৩৫৮২
যানবাহন নিবন্ধনWB-64/63
লোকসভা কেন্দ্রকোচবিহার
বিধানসভা কেন্দ্রকোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, নাটাবাড়ি
ওয়েবসাইটwww.coochbeharmunicipality.com/front.php

জনসংখ্যার উপাত্ত

সম্পাদনা

ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুচ বিহার শহরের জনসংখ্যা হল ২৮,২২,৭৮০।[] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৭৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭% | এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

দর্শনীয় স্থান

সম্পাদনা

কোচবিহার রাজবাড়ি

সম্পাদনা

কোচবিহার রাজবাড়ি (অপর নাম ভিক্টর জুবিলি প্যালেস) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার শহরের একটি দর্শনীয় স্থান। ১৮৮৭ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের রাজত্বকালে ইংল্যান্ডের বাকিমহাম প্যালেসের আদলে এই রাজবাড়িটি তৈরি হয়েছিল।

কোচবিহার রাজবাড়ি ইষ্টক-নির্মিত। এটি ক্ল্যাসিক্যাল ওয়েস্টার্ন শৈলীর দোতলা ভবন। প্রাসাদের একতলায় বিলিয়ার্ড রুম, গ্রন্থাগার, অতিথিশালা, ভোজনকক্ষসহ ২৪টি কক্ষ। দ্বিতলে ১৫টি শয়নকক্ষ, ৩টি বৈঠকখানা, ৪টি তোশাখানা, ১১টি স্নানঘরসহ মোট ৪০টি কক্ষ রয়েছে। দক্ষিণ দিকের ঘরগুলিতে রাজা-রানি থাকতেন। দ্বিতলে নাচঘরও ছিল বলে জানা যায়। এই প্রাসাদে প্রকাশ্য সিঁড়ি ছাড়াও একাধিক গোল সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়িগুলি কোনওটি কাঠের, কোনওটি লোহার। বেশ কিছু সিঁড়ি গম্বুজের মধ্যে উঠে গিয়েছে। প্রাসাদের পিছন দিকে ছিল পাকশালা। সামনে বারান্দা লাগোয়া সুন্দর পোর্টিকো। গোটা রাজাপ্রাসাদ জুড়ে ছিল মেহগনি কাঠের আসবাবপত্র। প্রাসাদ নির্মাণের সময় প্রাথমিকভাবে এটি ত্রিতল ছিল। ১৮৯৭ সালের ১২ জুন কোচবিহারে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এর ত্রিতল ভেঙে যায়। প্রাসাদের অলংকরণে বেশ কিছু জায়গায় পোড়ামাটির অলংকরণ রয়েছে। একে বাফ কালার টেরাকোটা বলা হয়। অলংকরণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি।

 
কোচবিহার রাজবাড়ির সম্মুখভাগে বাড়ির প্রকৃত রং

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সম্পাদনা
  • সুনীতি একাডেমী
  • মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুল
  • রামভোলা হাইস্কুল
  • এ.বি.এন. শীল কলেজ
  • উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  • কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়
  • তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয়
  • মহারানী ইন্দিরা দেবী বালিকা বিদ্যালয়
  • ইউনিভার্সিটি বি. টি এন্ড ইভিনিং কলেজ
  • কোচবিহার কলেজ
  • জামালদাহ তুলসী দেবী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • উচলপুকুরী কৃষক উদ্যোগ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
  • তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ন মেমোরিয়াল হাই স্কুল

পরিবহন

সম্পাদনা
 
২০১৯ সালে নিউ কোচবিহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন

কোচবিহার সড়কপথ, রেলপথ এবং অকাশপথে পারিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। কোচবিহার বিমানবন্দর কলকাতায় দৈনিক উড়ান পরিষেবা প্রদান করে।[]

নিউ কোচবিহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন শহরের সঙ্গে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইগুয়াহাটির যোগাযোগ রক্ষা করে। ২০১৮ সাল অনুযায়ী এটি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল অঞ্চলের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৭, ২০২০ 
  2. "Cooch Behar back on West Bengal's aviation map"The Times of India। ২০২৩-০২-২২। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-০১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা