মধুপুর হল ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দেওঘর জেলার  পৌরসভা সহ একটি শহর। জলবায়ুর গুণে টিলায় ভরা পাহাড়িয়া মধুপুর একটি স্বাস্থ্যকর স্থান। []এছাড়াও, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা শহর। যার মধ্যে রয়েছে নদী, শ্যামল বন রাজী, পাহাড়ের মতো মনোরম দৃশ্য, যা দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে আছে। পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এক আকর্ষণীয় স্থান।

মধুপুর
Madhupur
ᱢᱟᱫᱷᱩᱯᱩᱨ
मधुपुर ঝাড়খণ্ড-এ অবস্থিত
मधुपुर
मधुपुर
ঝাড়খণ্ডে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৬′ উত্তর ৮৬°৩৯′ পূর্ব / ২৪.২৬° উত্তর ৮৬.৬৫° পূর্ব / 24.26; 86.65
জেলাদেওঘর
রাজ্যঝাড়খণ্ড
देश ভারত
উচ্চতা২২৮ মিটার (৭৪৮ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৫৫,২৩৮
ভাষা
 • প্রচলিতহিন্দি, সাঁওতালি
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
ডাক সূচক সংখ্যা815353
টেলিফোন কোড06438
যানবাহন নিবন্ধনJH 15
ওয়েবসাইটhttps://deoghar.nic.in/

ইতিহাস

সম্পাদনা

মধুপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন কয়লা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হত যা বাষ্প ইঞ্জিনের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হত।

ঐতিহাসিকভাবে, অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন, বিশেষ করে বাংলার, যারা মধুপুরে একটি বাড়ির মালিক ছিলেন এবং যখনই পারেন সেখানে দীর্ঘকাল বসবাস করতেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছোট ছেলে, উমা প্রসাদ মুখার্জি, তাঁর ভ্রমণ বইয়ের জন্য বিখ্যাত লেখক সেখানে সময় কাটিয়েছিলেন

ভৌগোলিক পরিস্থিতি

সম্পাদনা
Cities, towns and locations in the Deoghar, Dumka and Jamtara districts in Santhal Pargana Division
M: Municipality, CT: census town, R: Rural/ Urban centre, D: Dam,
Owing to space constraints in the small map, the actual locations in a larger map may vary slightly

অবস্থান

সম্পাদনা

মধুপুরের  ভৌগোলিক অবস্থান হল- ২৪.২৫° উত্তর, ৮৬.৬৫° পূর্ব। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এটির গড় উচ্চতা ২২৮ মিটার (৭৪৮ ফুট)। অজয় নদের দুটি উপনদী পাথরো এবং জয়ন্তী দ্বারা মধুপুর বেষ্টিত। এদের উৎস অজয় নদ গঙ্গা তথা ভাগীরথীর নদীর উপনদী, যেটি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় কাটোয়ায় মিশেছে।

জনসংখ্যা

সম্পাদনা

২৩ টি ওয়ার্ড সম্বলিত মধুপুর পৌরসভায় ভারতের ২০১১ খ্রিস্টাব্দের  আদমশুমারি অনুসারে, মোট জনসংখ্যা ১,৯০,৭৪৮ জন, তন্মধ্যে ৯৯,১৮৯ (৫২%) জন পুরুষ এবং ৯১,৫৫৯ (৪৮%) জন মহিলা। জনসংখ্যার ভিত্তিতে, মধুপুর দেওঘর জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ৩৪তম স্থানে রয়েছে।

০ হতে ৬ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা হল ৭৮৪৮ যা  মধুপুরের মোট জনসংখ্যার ১৪.২১ শতাংশ। মধুপুরে  সাক্ষর জনসংখ্যা হল ১,০২,৫৩৯ জন। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যা অনুপাতে সাক্ষরতার হার হল ৬৬ শতাংশ। সেই দিক থেকে, মধুপুর সাক্ষরতায়  দেওঘর জেলার মধ্যে দ্বিতীয় এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য  ৯১তম স্থানে রয়েছে। মধুপুরে, পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার প্রায় ৬১% এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ৩৯%।

শিক্ষা

সম্পাদনা

মধুপুরে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে

কলেজ
  • মধুপুর কলেজ, ঝাড়খণ্ড
বিদ্যালয় -
  • কারমেল স্কুল,  মধুপুর - সিআইএসসিই  
  • মধুস্থলী বিদ্যাপীঠ - সিআইএসসিই
  • মহেন্দ্র মুনি সরস্বতী শিশু বিদ্যা মন্দির - সিবিএসই
  • মাদার্স ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি - সিবিএসই
  • কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় - সিবিএসই
  • শালোম স্কুল - সিবিএসই
  • নালন্দা একাডেমি - সিবিএসই
  • সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় - জেএসি
  • এমএলজি হাই স্কুল - জেএসি
  • শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি উচ্চ বিদ্যালয় - জেএসি
  • আঁচি দেবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় - জেএসি

স্বাস্থ্যসেবা

সম্পাদনা
  • অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস, দেওঘর
  • মহকুমা হাসপাতাল, মধুপুর

পর্যটন

সম্পাদনা

মধুপুরের বিখ্যাত হিন্দু মন্দির দুটি হল-

  • মা পাথরোল কালী মন্দির-   এটি মধুপুর শহর থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে অবস্থিত। মধুপুরের প্রাচীনতম এবং পবিত্র মন্দিরগুলির মধ্যে একটি, যা প্রায় ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শতাব্দী আগে রাজা দিগ্বিজয় সিং দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
  • বুধেশ্বরী মন্দির - মধুপুর থেকে প্রায় ২৮ কিমি দূরত্বে বুরহাই গ্রামের কাছে পাথরো নদীর তীরে অবস্থিত। মা বুধেশ্বরী নামে পরিচিত মা কালীর মূর্তি একটি শক্ত খণ্ডের পাহাড়ের উপরে স্থাপন করা হয়েছে।

পাহাড়ের দৃশ্য খুবই মনোরম। অগ্রহায়ণ মাসে (নভেম্বর-ডিসেম্বর) নবান্ন মেলার প্রাক্কালে বিপুল সংখ্যক লোক পূজার কারণে সেখানে মিলিত হয়। দিন শেষ হলে মেলা শেষ হয়। মাঘ মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এখানে মেলা বসে।

ধর্মীয় তাৎপর্য ছাড়াও, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে। বাকুলিয়া জলপ্রপাত, উসরি জলপ্রপাত এবং রামকৃষ্ণ মিশন ইত্যাদি স্থানও এগুলির অন্যতম। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসগুলিতে মধুপুরের আবহাওয়া খুবই মনোরম এবং এই সময়টি তাই ভ্রমণের সেরা সময।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Special Survey Report of Madhupur" (পিডিএফ)। অক্টো ৪, ১৯৭৮।