লিথুয়ানিয়া

উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র

লিথুয়ানিয়া (/ˌlɪθjuˈniə/ (শুনুন); লিথুনীয় ভাষা: Lietuva;[lʲɪɛtʊˈvɐ]) উত্তর ইউরোপের একটি রাষ্ট্র।[] উত্তরের লাতভিয়াএস্তোনিয়ার সাথে লিথুয়ানিয়াও একটি বাল্টিক রাষ্ট্র এবং তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তম। ভিলনিয়াস দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী এবং এটি বেলারুশের সাথে সীমান্তে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।

লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্র

Lietuvos Respublika
লিয়েতুভোস্‌ রেস্পুব্লিকা
লিথুয়ানিয়ার জাতীয় পতাকা
পতাকা
লিথুয়ানিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: "Tautos jėga vienybėje"
"একতার মধ্যে দেশের শক্তি নিহিত"
জাতীয় সঙ্গীত: Tautiška giesmė
 লিথুয়ানিয়া-এর অবস্থান (কমলা) – on the ইউরোপ মহাদেশ-এ (তামাটে & সাদা) – the European Union-এ (তামাটে)  –  [ব্যাখ্যা]
 লিথুয়ানিয়া-এর অবস্থান (কমলা)

– on the ইউরোপ মহাদেশ-এ (তামাটে & সাদা)
– the European Union-এ (তামাটে)  –  [ব্যাখ্যা]

রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
ভিলনিয়াস
সরকারি ভাষালিথুয়ানীয়
সরকারসংসদীয় গণতন্ত্র
গীতানাস নওসেদা
ইনগ্ৰিদা সিমোনিতে
স্বাধীনতা 
• উল্লেখ্য
ফেব্রুয়ারি ১৪ ১০০৯
• রাজত্ব
জুলাই ৬, ১২৫৩
• পোল্যান্ডের সাথে ব্যক্তিগত ইউনিয়ন
ফেব্রুয়ারি ২, ১৩৮৬
• পোলীয়-লিথুয়ানীয় কমনওয়েল্‌থ ঘোষিত
১৫৬৯
• রাশিয়া দখল করে নেয়
১৭৯৫
• প্রথম সোভিয়েত দখলদারিত্ব
১৯৪০
• দ্বিতীয় সোভিয়েত দখলদারিত্ব
১৯৪৪
• স্বাধীনতা ঘোষিত
মার্চ ১১, ১৯৯০
• স্বীকৃত
সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৯১
• পানি (%)
1,35%
জনসংখ্যা
• 2017 আনুমানিক
2,810,865[] (137th)
• ঘনত্ব
৪৩/কিমি (১১১.৪/বর্গমাইল) (173rd)
জিডিপি (পিপিপি)2018 আনুমানিক
• মোট
$96.261 billion[]
• মাথাপিছু
$34,596[] (41st)
জিডিপি (মনোনীত)2018 আনুমানিক
• মোট
$54.352 billion
• মাথাপিছু
$19,534[] (49th)
জিনি (2015)নেতিবাচক বৃদ্ধি 37.9[]
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (2015)বৃদ্ধি 0.848[]
অতি উচ্চ · 37th
মুদ্রাLithuanian litas (Lt) (LTL)
সময় অঞ্চলইউটিসি+2 (EET)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+3 (EEST)
কলিং কোড370
ইন্টারনেট টিএলডি.lt1
  1. Also .eu, shared with other European Union member states.

লিথুয়ালিনয়া বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলে সুইডেনের বিপরীত তীরে অবস্থিত। এর উত্তর সীমান্তে লাটভিয়া, পূর্ব ও দক্ষিণে বেলারুশ, দক্ষিণ-পশ্চিমে পোল্যান্ড ও কালিনিনগ্রাদ ওবলাস্ত নামক রুশ ছিটমহল।

লিথুয়ানিয়া অরণ্য, নদী ও হ্রদে পরিপূর্ণ। জনসংখ্যার বেশির ভাগই জাতিগতভাবে লিথুয়ানীয় এবং রোমান ক্যাথলিক গির্জার সদস্য। এছাড়া এখানে রুশ ও পোলীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বাস করেন। কিছু কিছু লিথুয়ানীয় কালিনিনগ্রাদকে লিথুয়ানিয়ার অন্তর্গত দেখতে চান।

লিথুয়ানিয়া একসময় অনেক বড় একটি দেশ ছিল। বর্তমান বেলারুশ ও ইউক্রেনের অধিকাংশ এলাকা এর অধীনে ছিল। ১৯১৮ সালে একটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিলেও ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এটি দখলে নিয়ে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি সাম্যবাদী সরকারের অধীনে প্রায় ৪ দশক ধরে পরিচলিত হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েতদের পতনের পর দেশটি আবার স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯২ সালে দেশটিতে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

১৯৯০-এর দশকে দেশটি অর্থনীতি বিরাষ্ট্রীয়করণে মনোযোগ দেয়। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব সমস্যা ভয়াবহ রূপ লাভ করে। ২১শ শতকে এসে লিথুয়ানিয়া ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করেছে।

ইতিহাস

সম্পাদনা

রাজনীতি

সম্পাদনা

১৯৯২ সালে দেশটিতে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

সম্পাদনা

অর্থনীতি

সম্পাদনা

২০২২ সালে লিথুনিয়াতে বিদেশিদের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটির মাথাপিছু আয় ২৮ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি। যা সারা বিশ্বের মধ্যে ৪১ তম। বর্তমানে দেশটির জিডিপি ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

জনসংখ্যা

সম্পাদনা

লিথুয়ানিয়া জনসংখ্যা ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী ২.৮০১ মিলিয়ন। এদেশে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সংখ্যা বেশি।

সংস্কৃতি

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Statistikos departamentas" 
  2. "Lithuania"। International Monetary Fund। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. Lithuania. Imf.org.
  4. "The World Factbook — Central Intelligence Agency"www.cia.gov। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৮ 
  5. "2015 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৭ 
  6. Jones, Daniel (২০১১)। Roach, Peter; Setter, Jane; Esling, John, সম্পাদকগণ। Cambridge English Pronouncing Dictionary (18th সংস্করণ)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-15253-2 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা