শাল্লা উপজেলা

সুনামগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা

শাল্লা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

শাল্লা
উপজেলা
মানচিত্রে শাল্লা উপজেলা
মানচিত্রে শাল্লা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৭′৩৫″ উত্তর ৯১°১৫′০″ পূর্ব / ২৪.৬২৬৩৯° উত্তর ৯১.২৫০০০° পূর্ব / 24.62639; 91.25000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসুনামগঞ্জ জেলা
আয়তন
 • মোট২৬০.৮৫ বর্গকিমি (১০০.৭১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মোট১,১৩,৭৪৩
 • জনঘনত্ব৪৪০/বর্গকিমি (১,১০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩০০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯০ ৮৬
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

সম্পাদনা

এই উপজেলার উত্তরে দিরাই উপজেলা, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলাহবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলাআজমিরীগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলাকিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

সম্পাদনা

শাল্লা উপজেলায় বর্তমানে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শাল্লা থানার আওতাধীন।[]

ইউনিয়নসমূহ:

জনসংখ্যার উপাত্ত

সম্পাদনা

জনসংখ্যা ১১৮৯০৪ জন।ধর্মীয় জনসংখ্যার দিক থেকে শতকরা ৫২শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং ৪৮শতাংশ ইসলাম ধর্মের অনুসারী।

পুরুষ ৫৯১৫১ জন।

মহিলা ৫৯৭৫৩ জন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫%।

জন সংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৫৬ জন।

মোট ভোটার সংখ্যা। ৬৩১৯৬ জন।

পুরুষ ভোটার ৩১৩৯৭ জন।

মহিলা ভোটার ৩১৭৯৯ জন।

শিক্ষা

সম্পাদনা

শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৮ টি।

বেসরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয় ৫০ টি।

কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৪ টি।

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ০৩ টি।

উচ্চ বিদ্যালয় (সহ পাঠ) ০৭ টি।

উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) ০১ টি।

দাখিল মাদ্রাসা ০২ টি।

কলেজ (সহ পাঠ) ০২ টি।

শিক্ষার হার ৪৪%।

অর্থনীতি

সম্পাদনা

শাল্লা উপজেলার অর্থনীতি মূলতঃ কৃষি নির্ভর।প্রতি বছর এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়।হাওড় এলাকা হওয়ায় এখানে সারা বছরই প্রচুর মাছ ধরা পড়ে।এইসব ধান ও মাছ এই অঞ্চল সহ সারাদেশে বিক্রি করা হয়।যা শাল্লার অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইতিহাস

সম্পাদনা

শাল্লা উপজেলার সঠিক বয়স নির্ধারন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দেশের হাওর বেষ্টিত এ উপজেলাটি ১৯১৯ সালে কালনী নদীর তীরবর্তী শাল্লা গ্রাম নামক স্থানে নৌ-পুলিশ থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।পরে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে প্রশাসনিক থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে কালের বিবর্তনে ও কালনী নদীর প্রবল স্রোতে ভাঙ্গনের ফলে থানা ভবনের অবকাঠামো বিলুপ্ত হওয়ায় উপজেলার মধ্যবর্তী ঘুঙ্গিয়ারগাঁও নামক স্থানটি (বর্তমান উপজেলা সদর) তৎকালীন জ্ঞানী -গুণীজনেরা নির্বাচন করেন এবং এখানেই থানাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। পরে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে এ থানাটি উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। শাল্লার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য উপাত্ত পাওয়া না গেলেও কথিত আছে যে শাল্লা অতীতে একটি ছোট বাজারের মত ছিল।সেখানে শাহনূর নামে একজন আউলিয়া বাস করতেন।তার নামানুসারে প্রথমে বাজারটির নাম দেওয়া হয়েছিল শাহাগন্জ বাজার।ঐ আউলিয়া সবসময় আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করতেন।তার নামের প্রথম অক্ষর "শা" এবং আল্লাহ শব্দের "ল্লা" একত্রে মিলিত হয়ে পরবর্তীতে শাল্লা নামে জায়গাটি সারাদেশে পরিচিতি লাভ করে।

শাল্লা উপজেলার মানুষের বসবাসের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও এ অঞ্চলের কিছু প্রাচীন নিদর্শন যেমন- চব্বিশা গ্রামের খালিশা হাটি,বড় হাটি, কাকুড়া হাটি ও গোদীর বাঁক ইত্যাদি থেকে বুঝা যায় এখানে পূর্বে উপজাতী খাসিয়াদের বসবাস ছিল। এর কিছুটা প্রমাণ হিসেবে উপজেলার খল্লি গ্রামের পূর্ব দিকে দুটি মাটির টেক/ঢিবি সহ আরও কিছু সংখ্যক ঢিবিই উপজাতীদের বসবাস সম্পর্কে সত্যতা বহন করে। আর সেই হিসেবে এ অঞ্চলে মানুষের বসবাসের বয়স আনুমানিক এক হাজার বৎসর।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে শাল্লা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫ 
  2. "ইউনিয়নসমূহ - শাল্লা উপজেলা"shalla.sunamganj.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা