সাবের হোসেন চৌধুরী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

সাবের হোসেন চৌধুরী (জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬১) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী
বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১১ জানুয়ারি ২০২৪ – ৫ আগস্ট ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীশাহাব উদ্দিন (মন্ত্রী)
উত্তরসূরীসৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (উপদেষ্টা)
ঢাকা-৯ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১০ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪
পূর্বসূরীখন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমাদ
ঢাকা-৬ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১২ জুন ১৯৯৬ – ১৫ জুলাই ২০০১
পূর্বসূরীমির্জা আব্বাস
উত্তরসূরীমির্জা আব্বাস
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি
কাজের মেয়াদ
৪ জুলাই ১৯৯৬ – ১৯ আগস্ট ২০০১
পূর্বসূরীআনিসুল ইসলাম মাহমুদ
উত্তরসূরীমোহাম্মদ আলী আসগর
বাংলাদেশের এলজিআরডি উপমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ১৫ জুলাই ২০০১
বাংলাদেশের নৌপরিবহন উপমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ – ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1961-09-10) ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬১ (বয়স ৬৩)
ফেনী, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাসস্থানসবুজমতি ভবন, ২৮৭/১২, ব্লক # সি (বিশ্বরোড), খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯
প্রাক্তন শিক্ষার্থীলন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী
ওয়েবসাইটsaberchowdhury.com

শৈশব ও কৈশোর

সম্পাদনা

সাবের হোসেন চৌধুরীর জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সালে। তার পিতৃ-ভিটা ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায়।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তিনি।[] তার সময়কালীন ২০০০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য পদ এবং টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন এবং বিশ্ব ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব তাঁকে আজীবন সদস্যপদ প্রদান করে।

রাজনীতি

সম্পাদনা

১৯৯৬ সালে ঢাকা-৬ নির্বাচনী আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি নৌপরিবহন উপমন্ত্রী হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। ২০০৩ সালের জানুয়ারি এবং অক্টোবর মাসে তিনি কারান্তরীণ থাকেন। ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তাঁকে আখ্যায়িত করে ‘বিবেকর বন্দী’ হিসেবে। সে সময় এই সংস্থাটি তার মুক্তির দাবীতে ‘আর্জেন্ট অ্যাকশন’ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রচারণা চালিয়েছিল।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন পুনর্বণ্টনের ফলে তার নির্বাচনী এলাকাটি হয় ঢাকা-৯ আসন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির শিরিন সুলতানাকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনঃরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন

সম্পাদনা

তিনি ১৬ অক্টোবর ২০১৪ সালে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ২৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।[] সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি তিন বছরের জন্য আইপিইউর প্রেসিডেন্ট হন।

প্রকাশক

সম্পাদনা

পুরস্কার

সম্পাদনা

১৭ অক্টোবর ২০১৭ সালে তিনি রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বন্ধুত্বের অর্ডার’ (Орден Дружбы ওর্দেন দ্রুঝবি)-এ ভূষিত হন। ইন্টার-পার্লামেন্টারি সম্পর্কের উন্নয়ন, রাশিয়ার ফেডারেল সভা ও আইপিইউ’র মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমঝোতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে এই পদক দেয়া হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সাবের হোসেনের প্রশ্ন, ক্রিকেট প্রশাসন কোন পথে?"প্রিয়.কম। ২০১৭-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০২ 
  2. "ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন"প্রিয়.কম। ২০২০-০৯-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০২ 
  3. "সাবের হোসেন চৌধুরী রাশিয়ার সর্বোচ্চ পদকে ভূষিত"দৈনিক যুগান্তর। ১৫ অক্টোবর ২০১৭। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯