সিডনি লুমেট (২৫শে জুন, ১৯৪২ - ৯ই এপ্রিল, ২০১১) একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক। ৫০টিরও বেশি ছবিতে তার অবদান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে টুয়েলভ অ্যাংরি মেন, সার্পিকো, ডগ ডে আফটারনুন, নেটওয়ার্ক ও দ্য ভার্ডিক্ট। এই সবগুলো ছবির জন্যই তিনি সেরা পরিচালক হিসেবে অস্কার মনোনয়ন লাভ করেছিলেন। অবশ্য একবারও সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিততে পারেননি। ২০০৫ সালে তাকে আজীবন অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সিডনি লুমেট
২০০৭ টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিডনি লুমেট
জন্ম(১৯২৪-০৬-২৫)২৫ জুন ১৯২৪
ফিলাডেলফিয়া, পেন্সিল্‌ভেনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু৯ এপ্রিল ২০১১(2011-04-09) (বয়স ৮৬)
নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার
কর্মজীবন১৯৩৯–২০১১
দাম্পত্য সঙ্গীরিতা গাম (১৯৪৯–১৯৫৪)
গ্লোরিয়া ভ্যান্ডারবিল্ট (১৯৫৬–১৯৬৩)
গেইল জোন্স (১৯৬৩–১৯৭৮)
ম্যারি গিম্বেল (১৯৮০–২০১১)
পিতা-মাতারারুচ লুমেট, ইউজেনিয়া ভার্মুস
কিশোর বয়সে সিডনি লুমেট

কর্মজীবন

সম্পাদনা

লুমেট পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র টুয়েলভ অ্যাংরি মেন (১৯৫৭)। ছবিটি সমালোচনামূলক সফলতা অর্জন করে এবং লুমেট নিজেকে একজন দক্ষ পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেন। তিনি মঞ্চের উপাদানগুলো চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম আদালতের বিচারপতি সোনিয়া সোতোমেয়র এই চলচ্চিত্র দেখার সময়কে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে উল্লেখ করেন। তিনি সে সময়ে আইন বিষয়ে কর্মজীবন শুরুর কথা ভাবছিলেন। তিনি বলেন, "এই ছবিটি আমাকে ভাবতে শিখায় যে আমি ঠিক পথেই আছি।"[] এই চলচ্চিত্র নিয়ে অর্ধেকের বেশি মন্তব্য আসে থিয়েটার থেকে।[]

পরিচালিত কিছু চলচ্চিত্র

সম্পাদনা

রটেন টম্যাটোস-এ রেটিং এর নিম্ন ক্রমানুসারে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছবির নাম দেয়া হল ও পাশে রেটিং উল্লেখ করা হল:

  • ১৯৫৭ - টুয়েলভ অ্যাংরি মেন (১০০%)
  • ১৯৭৫ - ডগ ডে আফটারনুন (১০০%)
  • ১৯৮২ - দ্য ভার্ডিক্ট (৯৬%)
  • ১৯৮১ - প্রিন্স অফ দ্য সিটি (৯৩%)
  • ১৯৭৬ - নেটওয়ার্ক (৯০%)
  • ১৯৮৮ - রানিং অন এম্প্‌টি (৯০%)
  • ২০০৭ - বিফোর দ্য ডেভিল নোস ইউ আর ডেড (৮৮%)
  • ১৯৯০ - কিউ অ্যান্ড এ (৮১%)
  • ১৯৮৬ - দ্য মর্নিং আফটার (৭৩%)

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. সেম্পল, কার্ক (১৭ অক্টোবর ২০১০)। "The Movie That Made a Supreme Court Justice"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৮ 
  2. বোলস, স্টিভেন ই.। International Dictionary of Films and Filmmakers। দ্য গেল গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা