হাজীগঞ্জ উপজেলা
হাজীগঞ্জ বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
হাজীগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে হাজীগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৫′৩৬.০০০″ উত্তর ৯০°৪৯′৪৮.০০০″ পূর্ব / ২৩.২৬০০০০০০° উত্তর ৯০.৮৩০০০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চাঁদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৮৯.৯০ বর্গকিমি (৭৩.৩২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩,২৭,৩৬৭ |
• জনঘনত্ব | ১,৭০০/বর্গকিমি (৪,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৩ ৪৯ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাহাজীগঞ্জ উপজেলার উত্তরে কচুয়া উপজেলা ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা, দক্ষিণে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে শাহরাস্তি উপজেলা, পশ্চিমে মতলব দক্ষিণ উপজেলা ও চাঁদপুর সদর উপজেলা।
আয়তন
সম্পাদনাহাজীগঞ্জ উপজেলার আয়তন ১৮৯.৯০ বর্গ কিলোমিটার (৪৬,৯২৬ একর)।[২]
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাহাজীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এ উপজেলায় সর্বমোট ১৪৭টি মৌজা ও গ্রাম রয়েছে।
ইতিহাস
সম্পাদনাহাজীগঞ্জ থানা ১৮১৮ সালে স্থাপিত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হাজীগঞ্জ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,৩০,৪৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৫৬,৯৪৪ জন এবং মহিলা ১,৭৩,৫৩৩ জন। মোট পরিবার ৬৫,৬৯৭টি।[২] এখানে মুসলমান ধর্মের অনুসারি ৯২.০৪%, হিন্দু অথবা সনাতন ধর্মের অনুসারি ৭.৮% এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারি ০.১৬%।
শিক্ষা
সম্পাদনা২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হাজীগঞ্জ উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬০.৬%।[২]
অর্থনীতি
সম্পাদনাহাজিগঞ্জ বর্তমানে চাঁদপুরের অন্যতম অর্থনীতিক এলাকা বলে বিবেচিত হচ্ছে।তারপেছনে সব চেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ডাকাতিয়া নদী। হাজিগঞ্জ বড়মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়েউঠেছে সুবিশাল বাজার। এছাড়াও এখানে হামিদিয়া জুটমিল সহ অনেক কল কারখানা রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- আল্লামা সাইয়্যিদ আবিদ শাহ আল-মাদানী
- বিশ্ব মুফতি আল্লামা শাহ ইসহাক
- শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী আবু সাঈদ
- আবদুর রব মিঞা, ভাষা আন্দোলনের সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ।
- অ্যাডঃ জাফর মাঈনউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য।
- সাদেক বাচ্চু - বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম খলঅভিনেতা।[৩]
- ড. মোঃ শাহ্ কামাল,সাবেক সিনিয়র সচিব।
- এম এ মতিন, সাবেক সংসদ সদস্য।
- আ. স. ম. মাহবুব-উল আলম, পৌর মেয়র ও রাজনীতিবিদ।
বিবিধ
সম্পাদনাবাংলাদেশ সংসদের চাঁদপুর-৫ আসন হাজীগঞ্জ এবং শাহরাস্তি উপজেলা নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য মে. জে. রফিকুল ইসলাম (অব.) বীর উত্তম (০১ নং সেক্টর কমান্ডার), যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য এই সম্মাননা পান।
ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন
সম্পাদনা- বড় মসজিদ
- ঐতিহাসিক সাদরা দরবার শরীফ
- বলাখাল জমিদার বাড়ি
- বড়কুল জমিদার বাড়ি (ভাগ্যিতা বাড়ি)
হযরত মাদ্দা খাঁ মাজার ও মসজিদ : হযরত মাদ্দা খাঁ মাজার চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত হাজীগঞ্জ উপজেলায় আলীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মাজার ।
ইতিহাস : হযরত মাদ্দা খাঁ, হযরত শাহজালাল সময় তার সাথী হিসেবে ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে আলীগঞ্জ এলাকায় এসেছিলেন। ঠিক কবে তিনি এসেছিলেন এবং মারা গিয়েছিলেন তার সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও অনুমানিক তার মৃত্যুর ৩৫০ বছর পর ১৭৩৮ সালে তার মাজারের পাশে একটি মসজিদ স্থাপিত হয় যার নাম মাদ্দা খাঁ মসজিদ। কারম্নকার্য খচিত কর্মকুশলতার অনন্য নিদর্শণ মসজিদের মূল গেইট, গেইটের সামনের অংশ কষ্টি পাথর দিয়ে কারুকার্যিত।
শহীদ স্মৃতি সমাধিস্থল, নাসিরকোট : শহীদ স্মৃতি সমাধিস্থল; চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত হাজীগঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ১০ মাইল উত্তর পশ্চিমে ইউনিয়নে১২নং দ্বাদশ গ্রামর নাসিরকোটে অবস্থিত।
ইতিহাস : নবাব সিরাজ-উদ দৌলার সময় কচুয়া থানার আলীয়ারায় ক্ষত্রীয় রাজা অযোধ্যারাম ছেদ্দা নিজেকে স্বাধীন নরপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা তাকে দমনের জন্য সেনাপতি নাসির খানকে প্রেরণ করেন । নাসির খান এখানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। যুদ্ধে ছেদ্দা পরাজিত ও নিহত হন । তাই নাসির খানের দুর্গের জন্যই এই গ্রামের নাম হয় নাসিরকোট (কোট অর্থ দুর্গ)। ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যে ৯ (নয়) জন প্রান হারান । তাদেরকে সমাধি করা হয় সাবেক১নং রাজারগাঁও (উ:) ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শহীদ স্মৃতি সমাধি স্থলে।
ঐতিহ্যবাহী খোদায় বিল এ খোদাইবিল নাম শুনলেই যে কেউই ভয় পেয়ে যান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় খোদাই বিল ছিল এক ভয়ানক, খোদাই বিলে চুরি ছিনতাই ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের মতো জঘন্য অপরাধের আস্তানা। খোদায় বিলের পশ্চিম সীমান্ত হল, জনতা বাজার লোধপাড়া, কাপাইকাপ, কীর্তনখোলা ,নাসিরকোট ও চেংগাতলী বাজার , পূর্ব সীমান্ত ভাটারা,চিলাছো, উত্তর সীমান্তে ছিল দেওদ্বন , ব্রাহ্মণগাও, চরপাড়া, দক্ষিণ সীমান্ত হল সাকছিপাড়া, বাজনা খাল, চাঁদপুর, বানিয়াকান্দি, সৈয়দপুর।
- দক্ষিণ অলিপুর মাজার
দক্ষিণ অলিপুর মাজার : দক্ষিণ অলিপুর মাজার; চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ গ্রামের ১নং ওলিপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক মাজার যা ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনে অবস্থিত।
ইতিহাস : ৩৬০ আউলিয়ার সর্দার বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী এর ৪০ তম বংশধর শাহ খলিলুর রহমানের এর নামানুসারে ১৮৯৫ সালে অলিপুর গ্রামে এই একটি মাজার প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর এই মাজারে বার্ষিক ওরশ ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি ২০১৭ সালে ১০০ তম ওরশ মাহফিল পালিত হয়। এ ওরশ মাহফিলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসে।
- হযরত শেখ সাহেব মাজার ধড্ডা
- নারায়ণ মন্দির
- লাল মিয়া (লালু দরবেশের)মাজার
- অলীপুর আলমগীরী মসজিদ
- ডাকাতিয়া নদী
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাসংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৪] | সংসদ সদস্য[৫][৬][৭][৮][৯] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬৪ চাঁদপুর-৫ | হাজীগঞ্জ উপজেলা এবং শাহরাস্তি উপজেলা | রফিকুল ইসলাম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে হাজীগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ http://www.bmdb.com.bd/person/150/
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |