হামিদ আলী

বাঙালি লেখক

হামিদ আলী বা মুহাম্মদ হামিদ আলী (জন্ম: ১৮৭৪ - ১৫ই ডিসেম্বর, ১৯৫৪) একজন বাঙালি কবি। তিনি রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক কবিদের মধ্যে একজন।

হামিদ আলী
জন্ম১৮৭৪
মৃত্যু১৫ ডিসেম্বর ১৯৫৪(1954-12-15) (বয়স ৭৯–৮০)
সুলতানপুর, পূর্ব পাকিস্তান
অন্যান্য নামমুহাম্মদ হামিদ আলী
পেশাশিক্ষক, কবি
পরিচিতির কারণকবি

হামিদ আলী ১৮৭৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের চট্টগ্রাম জেলার সুলতানপুরের কাজী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ছিল মুহাম্মদ হামিদ আলী। তার পিতার নাম উজির আলী।[] তারা ছিলেন চার ভাই ও এক বোন যার মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার বড় ভাই "আমীর আলী" একজন বিশিষ্ট আলেম ছিলেন। মেজু ভাই "মকবুল আলী" এন্ট্রাস পাস করে, জজকোর্টে চাকরি করতেন। কবি হামিদ আলী পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং কলকাতা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সহিত এফএম পাস করেন। তিনি চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেম "মাওলানা আব্দুল আলীর" কন্যা "আমেনা খাতুনকে" বিবাহ করেন।[]

কর্ম জীবন

সম্পাদনা

কবির কর্ম জীবন সম্পর্কে জানা যায় তিনি রাজনীতি সচেতন ছিলেন। মুসলিম লীগ সৃষ্টির গোড়া থেকেই তিনি জড়িত ছিলেন। পেশাগত দিক থেকে তিনি জীবনে শিক্ষকতাকেই বেছে এবং সারাজীবন তিনি শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি নোয়াখালী জিলা স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল এবং ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি ইংরেজি, আরবি, ফরাসি ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন।

কাব্যগ্রন্থ

সম্পাদনা

তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "ভ্রাতৃবিলাপ" ১৯০৩ সালে প্রকাশাতি হয়। ব্যক্তিগত শোকাচ্ছ্বাস থেকে তার কাব্যিক প্রয়াস উৎসারিত হয়। দুর্ঘটনা জনিত কারণে ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে তিনি যে আঘাত পান সেই আর্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কাব্যটিতে। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ "কাসেম বধ কাব্য" ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়। তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ "কবিতাকুঞ্জ" (১৯০৭)। এটি খন্ড কবিতার বই। তার চতুর্থ ও পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ যথাক্রমে "জয়নালোদ্ধার কাব্য" (১৯০৭) ও "সোহরাব বধ কাব্য" (১৯০৯) প্রকাশাতি হয়, দু'খানি জাতীয় আখ্যানমূলক কাব্য।

মৃত্যু

সম্পাদনা

কবি অবসর জীবন গ্রামের বাড়িতেই কাটিয়েছিলেন এবং নিজ গ্রাম সুলতানপুরে ১৯৫৪ সালের, ১৫ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পূর্বপুরুষদের কবরস্থান বুড়াপুকুর পাড়ে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. কবি লিখিত বংশ তালিকায় ঊর্ধ্বতন পুরুষ শেখ কুতুবউদ্দিন গৌরী এবং দশম বংশধর কবির পুত্রদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কোন সন তারিখ লেখা নাই। আর বংশ তালিকার নিচে লেখা আছে "দিজ দৌর ইজ নট দি গৌড় নিয়ার পান্ডুয়া বাট ইজ দি গৌড় নিয়ার গজনী। "সম্ভবতঃ তাঁদের ঊর্ধ্বতন পুরুষ গজনীর নিকট গৌড় থেকে কোনো এক সময় চট্টগ্রামে আসেন।তাঁদের বংশের খেতাব গৌড়ী বা শেখ।
  2. "মহাকবি হামিদ আলী"-আবু মোহাম্মদ কায়েস চৌধুরী। প্রকাশিত হয়েছে ২০০৬।