ওতাগো ক্রিকেট দল
ওতাগো ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Otago cricket team বা Otago Volts) নিউজিল্যান্ডের অন্যতম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল। ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলটি ওতাগো, সাউথল্যান্ড ও উত্তর ওতাগো অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছে। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে দলটি ওতাগো ভোল্টস ডাকনামে পরিচিতি পাচ্ছে।[১] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ছয়টি প্রধান সংস্থার অন্যতম হিসেবে ওতাগো ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দলটির প্রধান পরিচালনাকারী সংস্থা হিসেবে রয়েছে।
কর্মীবৃন্দ | |
---|---|
অধিনায়ক | জ্যাকব ডাফি |
কোচ | রব ওয়াল্টার |
দলের তথ্য | |
রং | নীল স্বর্ণালী মেরুন |
প্রতিষ্ঠা | ১৮৬৪ |
স্বাগতিক মাঠ | ইউনিভার্সিটি ওভাল |
ধারণক্ষমতা | ৩,৫০০ |
ইতিহাস | |
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | ক্যান্টারবারি উইজার্ডস ১৮৬৪ সালে ডুনেডিন |
প্লাঙ্কেট শীল্ড জয় | ১৩ |
ফোর্ড ট্রফি জয় | ২ |
সুপার স্ম্যাশ জয় | ২ |
সিএলটি২০ জয় | ০ |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | ওতাগোক্রিকেট.কো.এনজেড |
ডুনেডিনভিত্তিক ইউনিভার্সিটি ওভালে ওতাগো ক্রিকেট দল অতিথি দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যে তাদের নিজেদের খেলাগুলোর অধিকাংশ খেলা আয়োজন করে। তবে, মাঝে-মধ্যে কুইন্সটাউনের ইভেন্টস সেন্টার, ইনভারকার্গিলের কুইন্স পার্ক গ্রাউন্ড ও আলেকজান্দ্রার মলিনিয়াক্স পার্কে খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দলটি প্রধানত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট, লিস্ট এ ক্রিকেট ও টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য প্রাদেশিক দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। এছাড়াও, অতীতে দলটি সফররত দলগুলোর বিপক্ষে খেলায় অংশ নিতো।
প্রথম-শ্রেণী, লিস্ট এ ও টুয়েন্টি২০ দলে ভোল্টসের বর্তমান অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন জ্যাকব ডাফি।[২] পারিবারিক মৃত্যুশোক ও ক্রমাগত আঘাতের শিকারে পরিণত হওয়া মার্ক ক্রেগের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।[৩] রব ওয়াল্টার দলের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন।
সম্মাননা
সম্পাদনা- প্লাঙ্কেট শীল্ড (১৩)
১৯২৪-২৫, ১৯৩২-৩৩, ১৯৪৭-৪৮, ১৯৫০-৫১, ১৯৫২-৫৩, ১৯৫৭-৫৮, ১৯৬৯-৭০, ১৯৭১-৭২, ১৯৭৪-৭৫, ১৯৭৬-৭৭, ১৯৭৮-৭৯, ১৯৮৫-৮৬, ১৯৮৭-৮৮
- ফোর্ড ট্রফি (২)
১৯৮৭-৮৮, ২০০৭-০৮
- সুপার স্ম্যাশ (২)
২০০৮-০৯, ২০১২-১৩
পরিসংখ্যান
সম্পাদনাদলীয় সর্বমোট
- সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ - ৬২৪ ব সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস, ন্যাপিয়ার, ২০০৬-০৭
- প্রতিপক্ষীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ - ৭৭৭ ব ক্যান্টারবারি, ক্রাইস্টচার্চ, ১৯৯৬-৯৭
- সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ - ৩৪ ব ওয়েলিংটন, ডুনেডিন, ১৯৫৬-৫৭
- প্রতিপক্ষীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ - ২৫ ব ক্যান্টারবারি, ক্রাইস্টচার্চ, ১৮৬৬-৬৭
ব্যাটিং[৪]
- ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ - ৩৮৫, বি সাটক্লিফ ব ক্যান্টারবারি, ক্রাইস্টচার্চ, ১৯৫২-৫৩
- মৌসুমে সর্বাধিক রান - ১০২৭, গ্লেন টার্নার, ১৯৭৫-৭৬
- খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বাধিক রান - ৬,১৪৮, সিডি কামিং, ২০০০ - ২০১০
প্রতি উইকেটে সেরা জুটি[৫]
- ১ম - ৩৭৩, বি সাটক্লিফ ও এল ওয়াট ব অকল্যান্ড, অকল্যান্ড, ১৯৫০-৫১
- ২য় - ২৫৪, কেজে বার্নস ও কেআর রাদারফোর্ড ব ওয়েলিংটন, ওয়ামারু, ১৯৮৭-৮৮
- ৩য় - ৩০৬, এসবি হেগ ও এনটি ব্রুম ব সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস, ন্যাপিয়ার, ২০০৯-১০
- ৪র্থ - ২৩৫, কেজে বার্নস ও আরএন হসকিন ব নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস, হ্যামিল্টন, ১৯৮৭-৮৮
- ৫ম - ২৬৬, বি সাটক্লিফ ও ডব্লিউএস হেগ ব অকল্যান্ড, ডুনেডিন, ১৯৪৯-৫০
- ৬ষ্ঠ - ১৬৫, জিএম টার্নার ও ডব্লিউকে লিস ব ওয়েলিংটন, ওয়েলিংটন, ১৯৭৫-৭৬
- ৭ম - ১৮২, বি সাটক্লিফ ও এডব্লিউ গিলবার্টসন ব ক্যান্টারবারি, ক্রাইস্টচার্চ, ১৯৫২-৫৩
- ৮ম - ১৬৫*, জেএন ক্রফোর্ড ও এজি একহোল্ড ব ওয়েলিংটন, ওয়েলিংটন, ১৯১৪-১৫
- ৯ম - ২০৮, ডব্লিউসি ম্যাকস্কিমিং ও বিই স্কট ব অকল্যান্ড, অকল্যান্ড, ২০০৪-০৫
- ১০ম - ১৮৪, আরসি ব্লান্ট ও ডব্লিউ হকসওয়ার্থ ব ক্যান্টারবারি, ক্রাইস্টচার্চ, ১৯৩১-৩২
বোলিং[৬]
- সেরা বোলিং - ৯/৫০, এএইচ ফিশার ব কুইন্সল্যান্ড, ডুনেডিন, ১৮৯৬-৯৭
- খেলায় সেরা বোলিং - ১৫/৯৪, এফএইচ কুক ব ক্যান্টারবারি, ক্রাইস্টচার্চ, ১৮৮২-৮৩
- মৌসুমে সর্বাধিক উইকেট - ৫৪, এসএল বুক, ১৯৭৮-৭৯
- খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বাধিক উইকেট - ৩৯৯, এসএল বুক, ১৯৭৩-৭৪ থেকে ১৯৯০-৯১
মাঠ
সম্পাদনাডুনেডিনভিত্তিক ইউনিভার্সিটি ওভালে দলটি তাদের খেলা আয়োজনে ব্যবহার করে থাকে। তবেএ, মাঝেমধ্যে ইনভারকার্গিলের কুইন্স পার্ক ও ওয়ামারুর হুইটস্টোন সেন্টেনিয়াল পার্কেও খেলা আয়োজন করা হয়। সাম্প্রতিক দশকগুলোয় অনেকগুলো খেলা আলেকজান্দ্রার মোলিনাক্স পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষতঃ এখানে বড়দিন-নববর্ষের ছুটির মৌসুমে এ খেলাগুলো হয়ে থাকে। অন্যান্য ভেজা উপকূলীয় অঞ্চলের তুলনায় সেন্ট্রাল ওতাগোর আর্দ্র, শুষ্ক গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া অধিকতর ক্রিকেট উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কুইন্সটাউন ইভেন্টস সেন্টারকে মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে।
টুয়েন্টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ
সম্পাদনাটুয়েন্টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ প্রচলনের মাধ্যমে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটের বিশাল সম্প্রসারণ ঘটে। ঐ প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা থেকে বিভিন্ন দল অংশ নেয়।
২০০৮-০৯ মৌসুমের স্টেট টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ওতাগো দল শিরোপা জয় করে। ফল, দলটি উদ্বোধনী টুয়েন্টি২০ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের খেলায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করে। প্রতিযোগিতায় দলটি তাদের শুরুরদিকের খেলায় পরাজিত হলে বিদেয় নেয়।
ভোল্টস দল আবারও ২০১৩ সালের আসরের লীগের খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। এ প্রতিযোগিতায় দলটি বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখে। শীর্ষ পনেরো দলে পৌঁছে জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে পরাভূত হয়।
উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়
সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য বিদেশী খেলোয়াড়
সম্পাদনা- নীল মলেন্ডার ১৯৮৩/৮৪ - ১৯৯২/৯৩
- রবার্ট স্মিথ ২০০১/০২
- মোহাম্মদ ওয়াসিম ২০০২/০৩ - ২০০৪/০৫
- জোনাথন ট্রট ২০০৫/০৬
- কাইল হগ ২০০৬/০৭
- অ্যালেক্স গিডম্যান ২০০৭/০৮
- দিমিত্রি মাসারেনহাস ২০০৮/০৯
- ইয়াসি আরাফাত ২০০৯/১০
- স্টিভেন ফিন ২০১১
- রায়ান টেন ডয়েসকাট ২০১২/১৩
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Canty happy with major sponsor
- ↑ Seconi, Adrian (২০১৮-১০-১৭)। "Hardwork ahead for captain Duffy"। Otago Daily Times Online News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৮।
- ↑ Seconi, Adrian (২০১৯-০৩-২২)। "Unfinished business keeping Craig going"। Otago Daily Times Online News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৮।
- ↑ "Otago First-Class Batting Records"। ৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Highest Partnership for Each Wicket for Otago"। ৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Otago First-Class Bowling Records"। ৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাআরও পড়ুন
সম্পাদনা- "Sixty Years of Cricket" from Otago Daily Times, 13 February 1937