বিষয়বস্তুতে চলুন

সুলতানা কামাল খুকী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shuvanon razik (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
2400:C600:3430:87E2:1:0:6AD:1C5B (আলাপ)-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Farhan Mahin-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
 
(১৭ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৩৭টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox sportsperson
{{Infobox sportsperson
|name = সুলতানা কামাল(সুলতানা আহমেদ)
|name = সুলতানা কামাল খুকী<br><small>(সুলতানা আহমেদ)</small>
| birth_name = সুলতানা আহমেদ
|birth_name = সুলতানা আহমেদ
| nickname = খুকি
|nickname = খুকি
|image = সুলতানা কামাল খুকী.jpg
|birth_date = {{জন্ম তারিখ|df=yes|1952|12|10}}
|birth_date = {{জন্ম তারিখ|df=yes|1952|12|10}}
|birth_place = বকশীবাজারে, [[ঢাকা]], [[পূর্ব পাকিস্থান]]<br/>(বর্তমান [[বাংলাদেশ]])
|birth_place = বকশীবাজারে, [[ঢাকা]], [[পূর্ব পাকিস্তান]]<br/>(বর্তমান [[বাংলাদেশ]])
|death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|df=yes|1975|8|15|1952|12|10}}
|death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|df=yes|1975|8|15|1952|12|10}}
|death_place = [[ঢাকা]], বাংলাদেশ
|death_place = [[ঢাকা]], বাংলাদেশ
|spouse = [[শেখ কামাল]]
|spouse = [[শেখ কামাল]]
|alma_mater = মুসলিম গার্লস স্কুল<br>গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ<br>[[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]
|alma_mater = মুসলিম গার্লস স্কুল<br>গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ)<br>[[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]
|nationality = বাংলাদেশি
|nationality = বাংলাদেশি
|country = বাংলাদেশ
| <!-- Sport -->
|sport = হার্ডলস, হাইজাম্প, ব্রডজাম্প
| country = বাংলাদেশ
|team = বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
| sport = হার্ডলস, হাইজাম্প, ব্রডজাম্প
| team = বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
}}
}}


'''সুলতানা কামাল''' (প্রকৃত নাম সুলতানা আহমেদ খুকি, জন্মঃ [[ডিসেম্বর ১০]] [[১৯৫২]]; মৃত্যুঃ [[আগস্ট ১৫]], [[১৯৭৫]]) বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ক্রীড়াবিদ। হার্ডলস, হাইজাম্প এবং ব্রডজাম্প এই তিন ক্ষেত্রেই স্বাধীনতার আগে এবং পরে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকেও ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে।
'''সুলতানা আহমেদ খুকী''' (১০ ডিসেম্বর ১৯৫২ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) হলেন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন স্বনামধন্য ক্রীড়াবিদ। হার্ডলস, উচ্চলাফ এবং বিস্তৃত লাফ — এই তিন ক্ষেত্রেই স্বাধীনতার আগে এবং পরে তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। বাংলাদেশের জাতির পিতা [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] জ্যেষ্ঠ পুত্র [[শেখ কামাল|শেখ কামালের]] সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি সাধারণ্যে '''''সুলতানা কামাল''''' নামে পরিচিত লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকে ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে।<ref name="samakal">[http://www.samakal.net/2016/08/15/8028/ In Memoriam: The victims of August 15] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160924012945/http://www.samakal.net/2016/08/15/8028/ |তারিখ=২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ }} (ইংরেজি)</ref> ঢাকার ডেমরা-তারব সংযোগকারী ব্রিজটিকে সুলতানা কামাল ব্রিজ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ধানমণ্ডির মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সটিও সুলতানা কামালের নামে।


==জন্ম ও শিক্ষা ==
== জন্ম ও শিক্ষা ==
সুলতানা কামালের জন্ম ১৯৫২ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজারে। তার বাবা দবিরউদ্দিন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়র। ১৯৬৭ সালে তিনি মুসলিম গার্লস স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তৎকালীন [[বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ|গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ]] (বর্তমানে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] [[সমাজবিজ্ঞান]] বিভাগে ভর্তি হন। এরপর অনার্স পাশ করে ভর্তি হন এমএ ক্লাসে। এমএতে লিখিত পরীক্ষা দেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ঘাতকদের বুলেটে তিনি নিহত হন।<ref name="deshebideshe">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.deshebideshe.com/news/details/81648 |শিরোনাম=সুলতানা কামাল: বুলেটবিদ্ধ এক প্রিয়দর্শিনী অ্যাথলেট |সংগ্রহের-তারিখ=৭ ডিসেম্বর ২০১৬ |আর্কাইভের-তারিখ=২১ অক্টোবর ২০১৬ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161021112738/http://www.deshebideshe.com/news/details/81648 |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref>


== ক্রীড়াবিদ জীবন ==
সুলতানা কামালের জন্ম জন্ম ১৯৫২ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজারে। তার বাবা দবিরউদ্দিন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়র। ১৯৬৭ সালে তিনি মুসলিম গার্লস স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তৎকালীন গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে বদরুন্নেসা) ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এরপর অনার্স পাশ করে ভর্তি হন এম এ ক্লাসে। এমএতে লিখিত পরীক্ষা দেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ঘাতকদের বুলেটে তিনি নিহত হন।
স্কুল ও কলেজ পর্যায় বিভিন্ন আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রতিযোগিতায় তিনি শীর্ষস্থান অধিকার করেন। পুরান ঢাকার বকশীবাজার মুসলিম গার্লস স্কুলে শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময় ১৯৬২-৬৩ সালে আন্তবিদ্যালয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা দিয়ে তার পুরষ্কারপ্রাপ্তি শুরু।<ref name="ntvbd">[http://www.ntvbd.com/sports/17677/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E2%80%94%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F সুলতানা কামাল—এক অনন্য অ্যাথলেট]</ref> স্কুল অ্যাথলেটিকসে সবার দৃষ্টি কেড়ে পরে জাতীয় পর্যায়ে ডাক পান। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তৎকালীন পাকিস্তান অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিলেন।<ref name="deshebideshe"/><ref name="prothom-alo">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/news/85538 |শিরোনাম=সুলতানা কামাল, বন্ধুদের খুকি |সংগ্রহের-তারিখ=৭ ডিসেম্বর ২০১৬ |আর্কাইভের-তারিখ=১৪ মার্চ ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190314145420/http://archive.prothom-alo.com/detail/news/85538 |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হার্ডলসে নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক লাভ করেন।<ref name="deshebideshe"/>


স্বাধীনতার পর প্রথম ১৯৭৩ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার প্রথম আসর বসে। এই আসরে মেয়েদের বিভাগে মোট নয়টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো এককভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ১০০ মিটার হার্ডলস, হাই জাম্প এবং ব্রড জাম্পে তিনি প্রথম হন। এ ছাড়া ১০০ মিটার স্প্রিন্টারে অংশ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় হন।
==ক্রীড়াবিদ জীবন==


১০০ মিটার হার্ডলস প্রতিযোগিতায় সুলতানা আহমেদ খুকী আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের কাজী লুৎফুন্নেসা এবং দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আরা মিমুকে (বর্তমানে শামীমা সাত্তার) পেছনে ফেলে প্রথম হন। হাইজাম্পে দিনাজপুর জেলা একাদশের ফরিদা বেগম লিলি এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের সুমিত্রা রায়কে পেছনে ফেলে প্রথম হন। লংজাম্পেও সুলতানা আহমেদ প্রথম হন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আক্তার মিমু এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের মিস হামিদা। ১০০ মিটার স্প্রিন্টারে তিনি দ্বিতীয় হন আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের শামীম আরা টলির পেছনে থেকে।
স্কুল ও কলেজ পর্যায় বিভিন্ন আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রতিযোগিতায় তিনি শীর্ষস্থান অধিকার করেন। পুরান ঢাকার বকশীবাজার মুসলিম গার্লস স্কুলে শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময় ১৯৬২-৬৩ সালে আন্তবিদ্যালয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা দিয়ে তার পুরষ্কারপ্রাপ্তি শুরু। স্কুল অ্যাথলেটিকসে সবার দৃষ্টি কেড়ে পরে জাতীয় পর্যায়ে ডাক পান। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তৎকালীন পাকিস্তান অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হার্ডলসে নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক লাভ করেন।


৭৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতাতে ব্রড জাম্পে দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আরা মিমু এবং সুফিয়াকে পেছনে ফেলে প্রথম হন সুলতানা আহমেদ। হাইজাম্পে খুলনা জেলা একাদশের মেরিনা খানমের কাছে হেরে গিয়ে দ্বিতীয় হন। এই ইভেন্টে তৃতীয় হন সিলেট জেলা একাদশের আবেদা চৌধুরী। এ বছর ১০০ মিটার হার্ডলসে অপ্রত্যাশিতভাবে শ্রেষ্ঠত্ব হারান সুলতানা কামাল। কুমিল্লা জেলা একাদশের রোকেয়া বেগমের কাছে পরাজিত হন। এই ইভেন্টে তৃতীয় হন বিটিএমসির শামীম আরা টলি।<ref name="deshebideshe"/> ধারণা করা হয় সে সময় স্নাতক পরীক্ষা ছিল বলে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে পারেননি।<ref name="ntvbd"/>
স্বাধীনতার পর প্রথম ১৯৭৩ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার প্রথম আসর বসে। এই আসরে মেয়েদের বিভাগে মোট নয়টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো এককভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ১০০ মিটার হার্ডলস, হাই জাম্প এবং ব্রড জাম্পে তিনি প্রথম হন। এ ছাড়া ১০০ মিটার স্প্রিন্টারে অংশ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় হন।


৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। ১০০ মিটার হার্ডলসে ১৭.০৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি নতুন রেকর্ড গড়ে প্রথম হন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় হন কুমিল্লা জেলা একাদশের রোকেয়া বেগম খুকী এবং চট্টগ্রাম জেলা একাদশের রওশন আরা রেশমি। ব্রডজাম্পে বিটিএমসির শামীম আরা মিমু এবং কুমিল্লা জেলা একাদশের আনারকলিকে পেছনে ফেলে প্রথম হন।<ref name="deshebideshe"/>
১০০ মিটার হার্ডলস প্রতিযোগিতায় সুলতানা আহমেদ খুকী আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের কাজী লুৎফুন্নেসা এবং দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আরা মিমুকে (বর্তমানে শামীমা সাত্তার) পেছনে ফেলে প্রথম হন। হাইজাম্পে দিনাজপুর জেলা একাদশের ফরিদা বেগম লিলি এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের সুমিত্রা রায়কে পেছনে ফেলে প্রথম হন। লংজাম্পেও সুলতানা আহমেদ প্রথম হন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আক্তার মিমু এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের মিস হামিদা। ১০০ মিটার স্প্রিন্টারে তিনি দ্বিতীয় হন আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের শামীম আরা টলির পেছনে থেকে।


== স্মরণ ==
৭৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতাতে ব্রড জাম্পে দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আরা মিমু এবং সুফিয়াকে পেছনে ফেলে প্রথম হন সুলতানা আহমেদ। হাইজাম্পে খুলনা জেলা একাদশের মেরিনা খানমের কাছে হেরে গিয়ে দ্বিতীয় হন। এই ইভেন্টে তৃতীয় হন সিলেট জেলা একাদশের আবেদা চৌধুরী। এ বছর ১০০ মিটার হার্ডলসে অপ্রত্যাশিতভাবে শ্রেষ্ঠত্ব হারান সুলতানা কামাল। কুমিল্লা জেলা একাদশের রোকেয়া বেগমের কাছে পরাজিত হন। এই ইভেন্টে তৃতীয় হন বিটিএমসির শামীম আরা টলি। ধারনা করা হয় সে সময় স্নাতক পরীক্ষা ছিল বলে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে পারেননি।
২০১১ সালে, বাংলাদেশ উইমেন্স স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের নারীদের খেলাধূলায় অবদানের জন্য ''সুলতানা কামাল স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার'' প্রবর্তন করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Reporter|প্রথমাংশ=Sports|তারিখ=2011-04-01|ভাষা=en|শিরোনাম=Sultana Kamal awards given|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/news-detail-179958|সংগ্রহের-তারিখ=2023-08-07|ওয়েবসাইট=The Daily Star}}</ref>


===নামকরণ===
৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। ১০০ মিটার হার্ডলসে ১৭.০৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি নতুন রেকর্ড গড়ে প্রথম হন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় হন কুমিল­া জেলা একাদশের রোকেয়া বেগম খুকী এবং চট্টগ্রাম জেলা একাদশের রওশন আরা রেশমি। ব্রডজাম্পে বিটিএমসির শামীম আরা মিমু এবং কুমিল­া জেলা একাদশের আনারকলিকে পেছনে ফেলে প্রথম হন।
* সুলতানা কামাল উইমেন্স কমপ্লেক্স — [[ধানমন্ডি থানা|ধানমণ্ডি]], [[ঢাকা]]য় অবস্থিত একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Reporter|প্রথমাংশ=Sports|তারিখ=2015-09-10|ভাষা=en|শিরোনাম=Nat'l athletics from today|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/sports/natl-athletics-today-140689|সংগ্রহের-তারিখ=2023-08-07|ওয়েবসাইট=The Daily Star}}</ref>
* অ্যাথলেট সুলতানা কামাল হল — [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন]] [[ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি|ইন্সটিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজী]] এর ছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Home :: Dhaka University Halls|ইউআরএল=https://du.ac.bd/hall/SASKH|সংগ্রহের-তারিখ=2023-08-07|ওয়েবসাইট=du.ac.bd}}</ref>
*সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম — [[খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়]]-এর শিক্ষার্থীদের জন্য জিমনেসিয়াম।
*সুলতানা কামাল ব্রিজ — ঢাকার [[ডেমরা থানা|ডেমরায়]] শীতলক্ষ্ম্যা নদীর উপরে অবস্থিত ব্রিজ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Unb|প্রথমাংশ=Dhaka|তারিখ=2010-06-27|ভাষা=en|শিরোনাম=PM opens Sultana Kamal Bridge|ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/news-detail-144304|সংগ্রহের-তারিখ=2023-08-07|ওয়েবসাইট=The Daily Star}}</ref>


== বিয়ে ==
== বিয়ে ==
৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ফরিদপুরের কোনো এক পার্লামেন্ট সদস্যকে দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠান সুলতানার বাবা দবিরউদ্দিনের কাছে। তারপর দু পরিবারের সম্মতিতে কামাল ও সুলতানার বিয়ে সম্পন্ন হয়। সুলতানা আহমেদ, ১৯৭৫ এর ১৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বড় ছেলে শেখ কামালের বউ হয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারে। এরপর থেকেই তিনি সুলতানা কামাল নামে পরিচিত।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ফরিদপুরের জনৈক পার্লামেন্ট সদস্যকে দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠান সুলতানার বাবা দবিরউদ্দিনের কাছে। তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে কামাল ও সুলতানার বিয়ে সম্পন্ন হয়। সুলতানা আহমেদ, ১৯৭৫ এর ১৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বড় ছেলে শেখ কামালের বউ হয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারে। এরপর থেকেই তিনি সুলতানা কামাল নামে পরিচিত।

== মৃত্যু ==
১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল সদস্যের হাতে স্বামী [[শেখ কামাল|শেখ কামালসহ]] পরিবারের অন্যান্য ১৭ সদস্যদের সাথে খুন হন।


== তথ্যসূত্র ==
==মৃত্যু==
{{সূত্র তালিকা}}
[[১৫ আগস্ট]], [[১৯৭৫]] সালে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল সদস্যের হাতে স্বামী [[শেখ কামাল|শেখ কামালসহ]] পরিবারের অন্যান্য ১৭ সদস্যদের সাথে খুন হন।


== বহিঃসংযোগ ==
{{স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী}}


[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭৫-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭৫-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী মহিলা ক্রীড়াবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:শেখ পরিবার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ক্রীড়ায় স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী মহিলা মল্লক্রীড়াবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা মৃত্যু]]

১০:১৫, ৩০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সুলতানা কামাল খুকী
(সুলতানা আহমেদ)
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম নামসুলতানা আহমেদ
ডাকনামখুকি
জাতীয়তাবাংলাদেশি
জন্ম(১৯৫২-১২-১০)১০ ডিসেম্বর ১৯৫২
বকশীবাজারে, ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৫ আগস্ট ১৯৭৫(1975-08-15) (বয়স ২২)
ঢাকা, বাংলাদেশ
মাতৃ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুসলিম গার্লস স্কুল
গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দাম্পত্য সঙ্গীশেখ কামাল
ক্রীড়া
দেশবাংলাদেশ
ক্রীড়াহার্ডলস, হাইজাম্প, ব্রডজাম্প
দলবাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সুলতানা আহমেদ খুকী (১০ ডিসেম্বর ১৯৫২ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) হলেন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ক্রীড়াবিদ। হার্ডলস, উচ্চলাফ এবং বিস্তৃত লাফ — এই তিন ক্ষেত্রেই স্বাধীনতার আগে এবং পরে তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি সাধারণ্যে সুলতানা কামাল নামে পরিচিত লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকে ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে।[] ঢাকার ডেমরা-তারব সংযোগকারী ব্রিজটিকে সুলতানা কামাল ব্রিজ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ধানমণ্ডির মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সটিও সুলতানা কামালের নামে।

জন্ম ও শিক্ষা

[সম্পাদনা]

সুলতানা কামালের জন্ম ১৯৫২ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজারে। তার বাবা দবিরউদ্দিন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়র। ১৯৬৭ সালে তিনি মুসলিম গার্লস স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তৎকালীন গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এরপর অনার্স পাশ করে ভর্তি হন এমএ ক্লাসে। এমএতে লিখিত পরীক্ষা দেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার আগেই ঘাতকদের বুলেটে তিনি নিহত হন।[]

ক্রীড়াবিদ জীবন

[সম্পাদনা]

স্কুল ও কলেজ পর্যায় বিভিন্ন আন্তঃস্কুল ও কলেজ প্রতিযোগিতায় তিনি শীর্ষস্থান অধিকার করেন। পুরান ঢাকার বকশীবাজার মুসলিম গার্লস স্কুলে শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময় ১৯৬২-৬৩ সালে আন্তবিদ্যালয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা দিয়ে তার পুরষ্কারপ্রাপ্তি শুরু।[] স্কুল অ্যাথলেটিকসে সবার দৃষ্টি কেড়ে পরে জাতীয় পর্যায়ে ডাক পান। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তৎকালীন পাকিস্তান অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিলেন।[][] পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হার্ডলসে নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড স্থাপন করে স্বর্ণপদক লাভ করেন।[]

স্বাধীনতার পর প্রথম ১৯৭৩ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার প্রথম আসর বসে। এই আসরে মেয়েদের বিভাগে মোট নয়টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো এককভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ১০০ মিটার হার্ডলস, হাই জাম্প এবং ব্রড জাম্পে তিনি প্রথম হন। এ ছাড়া ১০০ মিটার স্প্রিন্টারে অংশ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় হন।

১০০ মিটার হার্ডলস প্রতিযোগিতায় সুলতানা আহমেদ খুকী আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের কাজী লুৎফুন্নেসা এবং দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আরা মিমুকে (বর্তমানে শামীমা সাত্তার) পেছনে ফেলে প্রথম হন। হাইজাম্পে দিনাজপুর জেলা একাদশের ফরিদা বেগম লিলি এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের সুমিত্রা রায়কে পেছনে ফেলে প্রথম হন। লংজাম্পেও সুলতানা আহমেদ প্রথম হন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আক্তার মিমু এবং মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের মিস হামিদা। ১০০ মিটার স্প্রিন্টারে তিনি দ্বিতীয় হন আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের শামীম আরা টলির পেছনে থেকে।

৭৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতাতে ব্রড জাম্পে দিনাজপুর জেলা একাদশের শামীমা আরা মিমু এবং সুফিয়াকে পেছনে ফেলে প্রথম হন সুলতানা আহমেদ। হাইজাম্পে খুলনা জেলা একাদশের মেরিনা খানমের কাছে হেরে গিয়ে দ্বিতীয় হন। এই ইভেন্টে তৃতীয় হন সিলেট জেলা একাদশের আবেদা চৌধুরী। এ বছর ১০০ মিটার হার্ডলসে অপ্রত্যাশিতভাবে শ্রেষ্ঠত্ব হারান সুলতানা কামাল। কুমিল্লা জেলা একাদশের রোকেয়া বেগমের কাছে পরাজিত হন। এই ইভেন্টে তৃতীয় হন বিটিএমসির শামীম আরা টলি।[] ধারণা করা হয় সে সময় স্নাতক পরীক্ষা ছিল বলে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে পারেননি।[]

৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। ১০০ মিটার হার্ডলসে ১৭.০৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি নতুন রেকর্ড গড়ে প্রথম হন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় হন কুমিল্লা জেলা একাদশের রোকেয়া বেগম খুকী এবং চট্টগ্রাম জেলা একাদশের রওশন আরা রেশমি। ব্রডজাম্পে বিটিএমসির শামীম আরা মিমু এবং কুমিল্লা জেলা একাদশের আনারকলিকে পেছনে ফেলে প্রথম হন।[]

স্মরণ

[সম্পাদনা]

২০১১ সালে, বাংলাদেশ উইমেন্স স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের নারীদের খেলাধূলায় অবদানের জন্য সুলতানা কামাল স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রবর্তন করে।[]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

বিয়ে

[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ফরিদপুরের জনৈক পার্লামেন্ট সদস্যকে দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠান সুলতানার বাবা দবিরউদ্দিনের কাছে। তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে কামাল ও সুলতানার বিয়ে সম্পন্ন হয়। সুলতানা আহমেদ, ১৯৭৫ এর ১৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বড় ছেলে শেখ কামালের বউ হয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারে। এরপর থেকেই তিনি সুলতানা কামাল নামে পরিচিত।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল সদস্যের হাতে স্বামী শেখ কামালসহ পরিবারের অন্যান্য ১৭ সদস্যদের সাথে খুন হন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. In Memoriam: The victims of August 15 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে (ইংরেজি)
  2. "সুলতানা কামাল: বুলেটবিদ্ধ এক প্রিয়দর্শিনী অ্যাথলেট"। ২১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. সুলতানা কামাল—এক অনন্য অ্যাথলেট
  4. "সুলতানা কামাল, বন্ধুদের খুকি"। ১৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  5. Reporter, Sports (২০১১-০৪-০১)। "Sultana Kamal awards given"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৭ 
  6. Reporter, Sports (২০১৫-০৯-১০)। "Nat'l athletics from today"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৭ 
  7. "Home :: Dhaka University Halls"du.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৭ 
  8. Unb, Dhaka (২০১০-০৬-২৭)। "PM opens Sultana Kamal Bridge"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]