চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Waraka Saki (আলোচনা | অবদান) অ হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিদ যোগ |
ক্যাট-এ-লট: বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিদ সরিয়ে বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী যোগ করা হয়েছে |
||
(৮ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ১০টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{তথ্যছক বিজ্ঞানী |
{{তথ্যছক বিজ্ঞানী |
||
| honorific-prefix = '''[[ভারতরত্ন]]''' |
|||
|name = চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন |
|name = চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন |
||
|image = Sir CV Raman.JPG |
|image = Sir CV Raman.JPG |
||
৩১ নং লাইন: | ৩২ নং লাইন: | ||
==পেশা== |
==পেশা== |
||
[[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ১৯১৭ সালে রমন সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। একই সময়ে, তিনি [[ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স]] (আইএসিএস) -এ গবেষণা চালিয়ে যান, যেখানে তিনি অবৈতনিক সচিব ছিলেন। রমন তার কর্মজীবনের এই সময়টিকে সুবর্ণ যুগ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। অনেক শিক্ষার্থী আইএসিএস এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিকট সমবেত হন। ১৯২৬ সালে অধ্যাপক রমন <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
[[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ১৯১৭ সালে রমন সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। একই সময়ে, তিনি [[ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স]] (আইএসিএস) -এ গবেষণা চালিয়ে যান, যেখানে তিনি অবৈতনিক সচিব ছিলেন। রমন তার কর্মজীবনের এই সময়টিকে সুবর্ণ যুগ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। অনেক শিক্ষার্থী আইএসিএস এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিকট সমবেত হন। ১৯২৬ সালে অধ্যাপক রমন <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=Indian Journal of Physics| ইউআরএল=http://iacs.res.in/indian-journal-physics.html| বছর=1926| সংগ্রহের-তারিখ=২৯ মে ২০১৮| আর্কাইভের-তারিখ=৮ মার্চ ২০১৮| আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180308134223/http://iacs.res.in/indian-journal-physics.html| ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানের সাময়িক পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তিনি প্রথম সম্পাদক ছিলেন। সাময়িক পত্রিকার দ্বিতীয় খণ্ডে [[রমন প্রভাব]] আবিষ্কারের প্রতিবেদন সমেত তার বিখ্যাত নিবন্ধ "একটি নতুন বিকিরণ" <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=A New Radiation| ইউআরএল=http://arxiv.iacs.res.in:8080/jspui/handle/10821/377| প্রকাশক=[[Indian Association for the Cultivation of Science]]| বছর=1927| সংগ্রহের-তারিখ=২৯ মে ২০১৮| আর্কাইভের-তারিখ=২০ মে ২০১৯| আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190520224631/http://arxiv.iacs.res.in:8080/jspui/handle/10821/377| ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> প্রকাশিত হয়। |
||
[[File:Raman energy levels.svg|thumb|300px|শক্তি স্তর চিত্রে দর্শিত রমন সঙ্কেতে জড়িত দশাগুলি]] |
[[File:Raman energy levels.svg|thumb|300px|শক্তি স্তর চিত্রে দর্শিত রমন সঙ্কেতে জড়িত দশাগুলি]] |
||
১৯২৮ সালের ২৮ |
১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, তারিখে রমন সহযোগীদের সহায়তায় আইএসিএস-এ কেএএসএস কৃষ্ণানসহ আলোর বিচ্ছ্ররনের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষার নেতৃত্ব দেন যেসময় তিনি যা আবিষ্কার করেন তা বর্তমানে রমন প্রভাব বলে জানা যায়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Raman Effect Visualized|ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=Beq0D5nFR00|সংগ্রহের-তারিখ=15 May 2014}}</ref> এই সময়ের একটি বিস্তৃত বিবরণ জি ভেঙ্কটরমনের জীবনীর নথীতে পাওয়া যায়। <ref name=b1>Venkataraman, G. (1988) ''Journey into Light: Life and Science of C. V. Raman''. Oxford University Press. {{ISBN|818532400X}}.</ref> এটি তাত্ক্ষণিকভাবে পরিষ্কার ছিল যে এই আবিষ্কারটি অতীব প্রয়োজনীয় ছিল। এটি আলোর কোয়ান্টাম প্রকৃতির আরও প্রমাণ দিয়েছে । রমনের কে.এস. কৃষ্ণানের সঙ্গে জটিল পেশাদার সম্পর্ক ছিল, যিনি আশ্চর্যজনকভাবে পুরস্কারটি ভাগাভাগি করেননি, কিন্তু নোবেল বক্তৃতাও উল্লেখযোগ্যভাবে উল্লেখ করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Nobel Lecture, C.V. Raman|ইউআরএল=https://www.nobelprize.org/nobel_prizes/physics/laureates/1930/raman-lecture.pdf|প্রকাশক=NobelPrize.org|সংগ্রহের-তারিখ=15 May 2014}}</ref> |
||
রমন স্পেকট্রোস্কোপি এই ঘটনাটির উপর ভিত্তি করে এসেছিল, এবং আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ১৯২৯ সালে রয়েল সোসাইটিতে তার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। রমন ১৯২৯ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১৬ তম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন। তাকে একটি নাইটহুড এবং পদক প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করা হয়। রমণ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জেতায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তবে ১৯২৪ সালে নোবেল পুরস্কার ওলিন রিচার্ডসন এবং ১৯২৬ সালে লুই ডি ব্রোগি পাওয়াতে হতাশ হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি পুরস্কার জেতার এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যে তিনি জুলাইতে টিকেট কিনেছিলেন, যদিও পুরস্কারগুলি নভেম্বরে ঘোষণা করা হতো, এবং যদি সংবাদটি না আসে সেই ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে,<ref>{{citation |author=Venkataraman, G. | title=Raman and His Effect|url=https://books.google.com/books?id=OjLls3eaOhEC&pg=PA50 | isbn=9788173710087 | publisher=Orient Blackswan | year=1995 | page=50}}</ref> পুরস্কারের ঘোষণার খবরের জন্য প্রতিটি দিনের সংবাদপত্র খুঁটিয়ে দেখতেন। অবশেষে তিনি ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন "আলোর বিকিরণ এবং রমন প্রভাব আবিষ্কারের জন্য"। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = The Nobel Prize in Physics 1930 | প্রকাশক = Nobel Foundation | ইউআরএল = http://nobelprize.org/nobel_prizes/physics/laureates/1930/index.html|সংগ্রহের-তারিখ=9 October 2008}}</ref> বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য তিনি প্রথম এশীয় এবং প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ছিলেন। তার আগে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] (ভারতীয়) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯১৩ সালে। |
রমন স্পেকট্রোস্কোপি এই ঘটনাটির উপর ভিত্তি করে এসেছিল, এবং [[আর্নেস্ট রাদারফোর্ড]] ১৯২৯ সালে রয়েল সোসাইটিতে তার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। রমন ১৯২৯ সালে [[ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থা|ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের]] ১৬ তম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন। তাকে একটি নাইটহুড এবং পদক প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করা হয়। রমণ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জেতায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তবে ১৯২৪ সালে নোবেল পুরস্কার ওলিন রিচার্ডসন এবং ১৯২৬ সালে লুই ডি ব্রোগি পাওয়াতে হতাশ হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি পুরস্কার জেতার এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যে তিনি জুলাইতে টিকেট কিনেছিলেন, যদিও পুরস্কারগুলি নভেম্বরে ঘোষণা করা হতো, এবং যদি সংবাদটি না আসে সেই ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে,<ref>{{citation |author=Venkataraman, G. | title=Raman and His Effect|url=https://books.google.com/books?id=OjLls3eaOhEC&pg=PA50 | isbn=9788173710087 | publisher=Orient Blackswan | year=1995 | page=50}}</ref> পুরস্কারের ঘোষণার খবরের জন্য প্রতিটি দিনের সংবাদপত্র খুঁটিয়ে দেখতেন। অবশেষে তিনি ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন "আলোর বিকিরণ এবং রমন প্রভাব আবিষ্কারের জন্য"। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = The Nobel Prize in Physics 1930 | প্রকাশক = Nobel Foundation | ইউআরএল = http://nobelprize.org/nobel_prizes/physics/laureates/1930/index.html|সংগ্রহের-তারিখ=9 October 2008}}</ref> বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য তিনি প্রথম এশীয় এবং প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ছিলেন। তার আগে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] (ভারতীয়) [[সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার]] পেয়েছিলেন ১৯১৩ সালে। |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
৫৫ নং লাইন: | ৫৬ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:তামিল বিজ্ঞানী]] |
[[বিষয়শ্রেণী:তামিল বিজ্ঞানী]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:লেনিন শান্তি পুরস্কার প্রাপক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:লেনিন শান্তি পুরস্কার প্রাপক]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় |
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর সভ্য]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় অজ্ঞেয়বাদী]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:পরীক্ষণমূলক পদার্থবিজ্ঞানী]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:রয়েল সোসাইটির সভ্য]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় তামিল রাজনীতিবিদ]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:নাইটস ব্যাচেলর]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:প্রেসিডেন্ট কলেজ, চেন্নাইয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতরত্ন প্রাপক]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:মাতেউচি পদক বিজয়ী]] |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী]] |
১৯:১৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন | |
---|---|
জন্ম | নভেম্বর ৭, ১৮৮৮ |
মৃত্যু | ২১ নভেম্বর ১৯৭০ | (বয়স ৮২)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রেসিডেন্সি কলেজ |
পরিচিতির কারণ | রামন ক্রিয়া |
পুরস্কার | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯৩০) হিউস মেডেল (১৯৩০) ভারত রত্ন (১৯৫৪) লেনিন শান্তি পুরস্কার (১৯৫৭) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ভারতীয় বাণিজ্য বিভাগ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সাইন্স ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | নেই |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | গোপালসমুদ্রম নারায়ণ আইয়ার রামাচন্দ্রন |
স্বাক্ষর | |
স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন, সিবিই (তামিল: சந்திரசேகர வெங்கடராமன்) ভারতীয় বিজ্ঞানী যিনি রামন ক্রিয়া আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। নোবেল পুরস্কারের বিষয় ছিল আলোর বিচ্ছুরণের ক্ষেত্রে তার মৌলিক আবিষ্কার। তার ভ্রাতুষ্পুত্র সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখরও ১৯৮৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। [১]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]রমনের বাবা প্রাথমিকভাবে থিরুওয়ানাইকোভিলের একটি বিদ্যালয়ে পড়ান, পরে তিনি মিসেস এভি নরসিংহ রাও কলেজে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যাপক হন। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিসাখাপত্তনম (তখন বিশাকাপত্তনম) এবং পরে মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দেন। [২][৩]
অল্প বয়সে, রমন বিসাখাপত্তনম শহরে চলে যান এবং সেন্ট আলয়সিয়াস অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান হাইস্কুলে অধ্যয়ন করেন। তিনি ১১ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৩ বছর বয়সে বৃত্তির মাধ্যমে এফ.এ পরীক্ষার পাশ করেন (আজকের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার সমতুল্য, পিইউসিপিডিসি এবং +২)।
১৯০২ সালে রমণ মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) প্রেসিডেন্সী কলেজ, চেন্নাই যোগ দেন যেখানে তার পিতা গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে একজন অধ্যাপক ছিলেন।[৪] ১৯০৪ সালে তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অব আর্টস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং পদার্থবিদ্যায় স্বর্ণপদক পান। ১৯০৭ সালে সর্বোচ্চ ডিস্টিংসান নিয়ে তিনি মাস্টার অফ সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করেন।[২]
পেশা
[সম্পাদনা]কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ১৯১৭ সালে রমন সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। একই সময়ে, তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স (আইএসিএস) -এ গবেষণা চালিয়ে যান, যেখানে তিনি অবৈতনিক সচিব ছিলেন। রমন তার কর্মজীবনের এই সময়টিকে সুবর্ণ যুগ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। অনেক শিক্ষার্থী আইএসিএস এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিকট সমবেত হন। ১৯২৬ সালে অধ্যাপক রমন [৫] ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানের সাময়িক পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তিনি প্রথম সম্পাদক ছিলেন। সাময়িক পত্রিকার দ্বিতীয় খণ্ডে রমন প্রভাব আবিষ্কারের প্রতিবেদন সমেত তার বিখ্যাত নিবন্ধ "একটি নতুন বিকিরণ" [৬] প্রকাশিত হয়।
১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, তারিখে রমন সহযোগীদের সহায়তায় আইএসিএস-এ কেএএসএস কৃষ্ণানসহ আলোর বিচ্ছ্ররনের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষার নেতৃত্ব দেন যেসময় তিনি যা আবিষ্কার করেন তা বর্তমানে রমন প্রভাব বলে জানা যায়। [৭] এই সময়ের একটি বিস্তৃত বিবরণ জি ভেঙ্কটরমনের জীবনীর নথীতে পাওয়া যায়। [৮] এটি তাত্ক্ষণিকভাবে পরিষ্কার ছিল যে এই আবিষ্কারটি অতীব প্রয়োজনীয় ছিল। এটি আলোর কোয়ান্টাম প্রকৃতির আরও প্রমাণ দিয়েছে । রমনের কে.এস. কৃষ্ণানের সঙ্গে জটিল পেশাদার সম্পর্ক ছিল, যিনি আশ্চর্যজনকভাবে পুরস্কারটি ভাগাভাগি করেননি, কিন্তু নোবেল বক্তৃতাও উল্লেখযোগ্যভাবে উল্লেখ করেছেন।[৯]
রমন স্পেকট্রোস্কোপি এই ঘটনাটির উপর ভিত্তি করে এসেছিল, এবং আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ১৯২৯ সালে রয়েল সোসাইটিতে তার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। রমন ১৯২৯ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১৬ তম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন। তাকে একটি নাইটহুড এবং পদক প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করা হয়। রমণ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জেতায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তবে ১৯২৪ সালে নোবেল পুরস্কার ওলিন রিচার্ডসন এবং ১৯২৬ সালে লুই ডি ব্রোগি পাওয়াতে হতাশ হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি পুরস্কার জেতার এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যে তিনি জুলাইতে টিকেট কিনেছিলেন, যদিও পুরস্কারগুলি নভেম্বরে ঘোষণা করা হতো, এবং যদি সংবাদটি না আসে সেই ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে,[১০] পুরস্কারের ঘোষণার খবরের জন্য প্রতিটি দিনের সংবাদপত্র খুঁটিয়ে দেখতেন। অবশেষে তিনি ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন "আলোর বিকিরণ এবং রমন প্রভাব আবিষ্কারের জন্য"। [১১] বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য তিনি প্রথম এশীয় এবং প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ছিলেন। তার আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ভারতীয়) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯১৩ সালে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ মাইতি, অচিন্ত্যকুমার. ২০১৪. বিজ্ঞানী সি. ভি. রামন. (সংশোধিত সংস্করণ). গ্রন্থতীর্থ, কলকাতা.
- ↑ ক খ The Nobel Prize in Physics 1930 Sir Venkata Raman ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে, Official Nobel prize biography, nobelprize.org
- ↑ Prasar, Vigyan। "Chandrasekhara Venkata Raman A Legend of Modern Indian Science"। Government of India। ১০ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ This Month in Physics History February 1928: Raman scattering discovered APS News Archives February 2009 vol.18 no.2
- ↑ "Indian Journal of Physics"। ১৯২৬। ৮ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৮।
- ↑ "A New Radiation"। Indian Association for the Cultivation of Science। ১৯২৭। ২০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৮।
- ↑ "Raman Effect Visualized"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৪।
- ↑ Venkataraman, G. (1988) Journey into Light: Life and Science of C. V. Raman. Oxford University Press. আইএসবিএন ৮১৮৫৩২৪০০X.
- ↑ "Nobel Lecture, C.V. Raman" (পিডিএফ)। NobelPrize.org। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৪।
- ↑ Venkataraman, G. (১৯৯৫), Raman and His Effect, Orient Blackswan, পৃষ্ঠা 50, আইএসবিএন 9788173710087
- ↑ "The Nobel Prize in Physics 1930"। Nobel Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০০৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- The Nobel Prize in Physics 1930 (Nobel Committee)
- Britannica on Raman
- Nobel prize internet archive
- Nobel Lecture ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মে ২০০৮ তারিখে
- ১৮৮৮-এ জন্ম
- ১৯৭০-এ মৃত্যু
- নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী
- ভারতীয় নোবেল বিজয়ী
- ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী
- তামিল বিজ্ঞানী
- লেনিন শান্তি পুরস্কার প্রাপক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী
- ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর সভ্য
- ভারতীয় অজ্ঞেয়বাদী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- পরীক্ষণমূলক পদার্থবিজ্ঞানী
- রয়েল সোসাইটির সভ্য
- ভারতীয় তামিল রাজনীতিবিদ
- নাইটস ব্যাচেলর
- প্রেসিডেন্ট কলেজ, চেন্নাইয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ভারতরত্ন প্রাপক
- মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- মাতেউচি পদক বিজয়ী
- ১৯শ শতাব্দীর ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী