বিষয়বস্তুতে চলুন

ইটাচুনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°০২′০৭″ উত্তর ৮৮°১৮′৩৩″ পূর্ব / ২৩.০৩৫২° উত্তর ৮৮.৩০৯৩° পূর্ব / 23.0352; 88.3093
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করছে, কোনো সমস্যায় পরিচালককে জানান
৫৭ নং লাইন: ৫৭ নং লাইন:
'''ইটাচুনা''' হুগলি জেলার একটি [[গ্রাম]]। এটি [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[হুগলি জেলা]]র [[চুঁচুড়া মহকুমা]]র [[পান্ডুয়া (সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্লক|পান্ডুয়া]]র সি ডি ব্লকের ইটাচুনা-খন্যানের একটি [[গ্রাম পঞ্চায়েত]]।
'''ইটাচুনা''' হুগলি জেলার একটি [[গ্রাম]]। এটি [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[হুগলি জেলা]]র [[চুঁচুড়া মহকুমা]]র [[পান্ডুয়া (সম্প্রদায় উন্নয়ন ব্লক|পান্ডুয়া]]র সি ডি ব্লকের ইটাচুনা-খন্যানের একটি [[গ্রাম পঞ্চায়েত]]।


==জনসংখ্যার উপাত্ত==
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
[[২০১১ সালে ভারতের জনগণনা]] অনুসারে, ইটাচুনার মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৪৫১ জন, যার মধ্যে ৭৩৫ (৫১%) জন পুরুষ এবং ৭১৬ (৪৯%) জন মহিলা ছিলেন। ৬ বছরের নিচের জনসংখ্যা ছিল ১৪৬। ইটাচুনায় মোট সাক্ষরের সংখ্যা ছিল ১,০৩৪, যা ৬ বছরেরও বেশি জনসংখ্যার ৭৯.২৩%।<ref name=census3-2011>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://censusindia.gov.in/pca/pcadata/Houselisting-housing-WB.html |শিরোনাম = 2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables | কর্ম= West Bengal – District-wise |প্রকাশক= Registrar General and Census Commissioner, India | সংগ্রহের-তারিখ = 1 July 2017 }}</ref>
[[২০১১ সালে ভারতের জনগণনা]] অনুসারে, ইটাচুনার মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৪৫১ জন, যার মধ্যে ৭৩৫ (৫১%) জন পুরুষ এবং ৭১৬ (৪৯%) জন মহিলা ছিলেন। ৬ বছরের নিচের জনসংখ্যা ছিল ১৪৬। ইটাচুনায় মোট সাক্ষরের সংখ্যা ছিল ১,০৩৪, যা ৬ বছরেরও বেশি জনসংখ্যার ৭৯.২৩%।<ref name=census3-2011>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://censusindia.gov.in/pca/pcadata/Houselisting-housing-WB.html |শিরোনাম = 2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables | কর্ম= West Bengal – District-wise |প্রকাশক= Registrar General and Census Commissioner, India | সংগ্রহের-তারিখ = 1 July 2017 }}</ref>


==পরিবহন==
== পরিবহন ==
পোলবা-খন্যান রোডের একটি ছোট অংশ ইটাচুনাকে সড়কপথে [[স্টেট হাইওয়ে ১৩ (পশ্চিমবঙ্গ)|এসএইচ ১৩]] অথবা [[গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড|জিটি রোডের]] সাথে সংযুক্ত করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://www.wbtrafficpolice.com/state-highways.php |শিরোনাম = List of State Highways in West Bengal |কর্ম = | প্রকাশক= West Bengal Traffic Police | সংগ্রহের-তারিখ = 2 July 2017}}</ref><ref>Google maps</ref> রেলপথে এর নিকটতম রেলওয়ে স্টেশনটি হল [[খন্যান রেল স্টেশন]]। এটি হাওড়া-বর্ধমান মূল লাইনের একটি কলকাতা শহরতলির রেলস্টেশন যা ভারতীয় রেলের পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চল দ্বারা পরিচালিত।
পোলবা-খন্যান রোডের একটি ছোট অংশ ইটাচুনাকে সড়কপথে [[স্টেট হাইওয়ে ১৩ (পশ্চিমবঙ্গ)|এসএইচ ১৩]] অথবা [[গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড|জিটি রোডের]] সাথে সংযুক্ত করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল = http://www.wbtrafficpolice.com/state-highways.php |শিরোনাম = List of State Highways in West Bengal |কর্ম = | প্রকাশক= West Bengal Traffic Police | সংগ্রহের-তারিখ = 2 July 2017}}</ref><ref>Google maps</ref> রেলপথে এর নিকটতম রেলওয়ে স্টেশনটি হল [[খন্যান রেল স্টেশন]]। এটি হাওড়া-বর্ধমান মূল লাইনের একটি কলকাতা শহরতলির রেলস্টেশন যা ভারতীয় রেলের পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চল দ্বারা পরিচালিত।


==শিক্ষা==
== শিক্ষা ==
এখানে একটি সাধারণ স্নাতক মহাবিদ্যালয় রয়েছে। তার নাম [[বিজয় নারায়ণ মহাবিদ্যালয়]]। এটি ১৯৫০ সালে ইটাচুনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি [[বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়|বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধীনে কাজ করে এবং এখানে বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা এবং পুষ্টি বিষয়ে সাম্মানিক স্নাতক কোর্স করার সুযোগ রয়েছে, ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ের জন্যই।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://bnmahavidyalaya.org/index.html | শিরোনাম = Bejoy Narayan Mahavidyalaya | প্রকাশক = BNM | সংগ্রহের-তারিখ = 30 June 2017 | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20170701014936/http://bnmahavidyalaya.org/index.html | আর্কাইভের-তারিখ = ১ জুলাই ২০১৭ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.collegeadmission.in/BejoyNarayanMahavidyalaya/Bejoy_Narayan_Mahavidyalaya.shtml | শিরোনাম = Bejoy Narayan Mahaviyalaya, Itachuna, Hooghly | প্রকাশক = College Admission |সংগ্রহের-তারিখ = 30 June 2017}}</ref>
এখানে একটি সাধারণ স্নাতক মহাবিদ্যালয় রয়েছে। তার নাম [[বিজয় নারায়ণ মহাবিদ্যালয়]]। এটি ১৯৫০ সালে ইটাচুনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি [[বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়|বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অধীনে কাজ করে এবং এখানে বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা এবং পুষ্টি বিষয়ে সাম্মানিক স্নাতক কোর্স করার সুযোগ রয়েছে, ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ের জন্যই।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://bnmahavidyalaya.org/index.html | শিরোনাম = Bejoy Narayan Mahavidyalaya | প্রকাশক = BNM | সংগ্রহের-তারিখ = 30 June 2017 | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20170701014936/http://bnmahavidyalaya.org/index.html | আর্কাইভের-তারিখ = ১ জুলাই ২০১৭ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল = http://www.collegeadmission.in/BejoyNarayanMahavidyalaya/Bejoy_Narayan_Mahavidyalaya.shtml | শিরোনাম = Bejoy Narayan Mahaviyalaya, Itachuna, Hooghly | প্রকাশক = College Admission |সংগ্রহের-তারিখ = 30 June 2017}}</ref>


== সংস্কৃতি ==
== সংস্কৃতি ==
[[File:Itachuna_Rajbari_11.jpg|thumb|ইটাচুনা রাজবাড়ি]]
[[চিত্র:Itachuna_Rajbari_11.jpg|থাম্ব|ইটাচুনা রাজবাড়ি]]


ইটাচুনা রাজবাড়ীটি "বর্গী ডাঙ্গা" নামেও পরিচিত"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.blankslatechronicles.com/story-itachuna-palace-bengal-india/|শিরোনাম=Inside our Royal Past: A Haunting Story of the Itachuna Palace|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|অকার্যকর-ইউআরএল=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> এই শব্দটি বর্গীদের বাংলা আক্রমণ থেকে এসেছে। মারাঠা যোদ্ধাদের এখানকার বাঙালিরা বর্গী নামে সম্বোধিত করত। একটা সময় ছিল যখন মারাঠরা চৌথ আদায় করার জন্য বারবার বাংলায় আক্রমণ করত। বিহার, উড়িষ্যা ও বাংলার নবাব (সুব-এ-দার) দ্বারা প্রদত্ত করের ১/৪ অংশ ছিল চৌথ। সেটি মারাঠারা দাবি করত।
ইটাচুনা রাজবাড়ীটি "বর্গী ডাঙ্গা" নামেও পরিচিত"।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.blankslatechronicles.com/story-itachuna-palace-bengal-india/|শিরোনাম=Inside our Royal Past: A Haunting Story of the Itachuna Palace|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|অকার্যকর-ইউআরএল=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> এই শব্দটি বর্গীদের বাংলা আক্রমণ থেকে এসেছে। মারাঠা যোদ্ধাদের এখানকার বাঙালিরা বর্গী নামে সম্বোধিত করত। একটা সময় ছিল যখন মারাঠরা চৌথ আদায় করার জন্য বারবার বাংলায় আক্রমণ করত। বিহার, উড়িষ্যা ও বাংলার নবাব (সুব-এ-দার) দ্বারা প্রদত্ত করের ১/৪ অংশ ছিল চৌথ। সেটি মারাঠারা দাবি করত।
মীর হাবিবকে হত্যার পরে মারাঠা যোদ্ধারা তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে তারা উড়িষ্যার উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছিল এবং সেই নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে অনেক মারাঠা বর্গী বাংলায় থেকে গিয়ে তাদের নিজস্ব বাণিজ্য শুরু করে। তারা প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছিল। এইরকম একজন মারাঠা যোদ্ধা কুন্দন, এই ইটাচুনাতে বসতি স্থাপন করে। বর্তমানে এরা কুন্ডু নামেও পরিচিত। ইটচুনা রাজবাড়িটি ১৭৬৬ সালে সাফল্য নারায়ণ কুন্ডুর পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, তখন তারা কুন্দন নামেই পরিচিত ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Itachuna Rajbari - Khanyan - West Bengal Tourism Destination |ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=hS8kIJ9Jn4Q |ওয়েবসাইট=youtube}}</ref> এটি এখন হুগলি জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখন প্রাসাদটি ঐতিহ্যবাহী পান্থাবাসে (হোটেল) রূপান্তরিত হয়েছে। এটি অনেকগুলি [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]] এবং [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের স্থান হিসাবেও পরিচিত, এর মধ্যে রয়েছে [[লুটেরা]], [[পরাণ যায় জ্বলিয়া রে]], [[রাজমহল]] ইত্যাদি চলচ্চিত্র।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://economictimes.indiatimes.com/industry/services/hotels-/-restaurants/rajbaris-to-come-up-as-boutique-hotels/articleshow/57145225.cms|শিরোনাম=Rajbaris to come up as boutique hotels|শেষাংশ=Roy|প্রথমাংশ=Tasmayee Laha|তারিখ=14 February 2017|সংবাদপত্র=The Economic Times|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|অকার্যকর-ইউআরএল=|সংগ্রহের-তারিখ=28 September 2018}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://mediaindia.eu/tourism/the-rajbaris-in-and-around-kolkata/|শিরোনাম=The Rajbaris in and around Kolkata|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|অকার্যকর-ইউআরএল=|সংগ্রহের-তারিখ=5 November 2017}}</ref>
মীর হাবিবকে হত্যার পরে মারাঠা যোদ্ধারা তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে তারা উড়িষ্যার উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছিল এবং সেই নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে অনেক মারাঠা বর্গী বাংলায় থেকে গিয়ে তাদের নিজস্ব বাণিজ্য শুরু করে। তারা প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছিল। এইরকম একজন মারাঠা যোদ্ধা কুন্দন, এই ইটাচুনাতে বসতি স্থাপন করে। বর্তমানে এরা কুন্ডু নামেও পরিচিত। ইটচুনা রাজবাড়িটি ১৭৬৬ সালে সাফল্য নারায়ণ কুন্ডুর পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, তখন তারা কুন্দন নামেই পরিচিত ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Itachuna Rajbari - Khanyan - West Bengal Tourism Destination |ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=hS8kIJ9Jn4Q |ওয়েবসাইট=youtube}}</ref> এটি এখন হুগলি জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখন প্রাসাদটি ঐতিহ্যবাহী পান্থাবাসে (হোটেল) রূপান্তরিত হয়েছে। এটি অনেকগুলি [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]] এবং [[বাংলা ভাষা|বাংলা]] চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের স্থান হিসাবেও পরিচিত, এর মধ্যে রয়েছে [[লুটেরা]], [[পরাণ যায় জ্বলিয়া রে]], [[রাজমহল]] ইত্যাদি চলচ্চিত্র।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://economictimes.indiatimes.com/industry/services/hotels-/-restaurants/rajbaris-to-come-up-as-boutique-hotels/articleshow/57145225.cms|শিরোনাম=Rajbaris to come up as boutique hotels|শেষাংশ=Roy|প্রথমাংশ=Tasmayee Laha|তারিখ=14 February 2017|সংবাদপত্র=The Economic Times|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|অকার্যকর-ইউআরএল=|সংগ্রহের-তারিখ=28 September 2018}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://mediaindia.eu/tourism/the-rajbaris-in-and-around-kolkata/|শিরোনাম=The Rajbaris in and around Kolkata|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=|ওয়েবসাইট=|আর্কাইভের-ইউআরএল=|আর্কাইভের-তারিখ=|অকার্যকর-ইউআরএল=|সংগ্রহের-তারিখ=5 November 2017}}</ref>


[[File:Itachuna rajbari.jpg|thumb|ইটাচুনা রাজবাড়ি]]
[[চিত্র:Itachuna rajbari.jpg|থাম্ব|ইটাচুনা রাজবাড়ি]]


==তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}
==বহিঃসংযোগ==

[[বিষয়শ্রেণী:হুগলি জেলার গ্রাম]]
[[বিষয়শ্রেণী:হুগলি জেলার গ্রাম]]

১৬:০৪, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইটাচুনা
গ্রাম
ইটাচুনা পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ইটাচুনা
ইটাচুনা
ইটাচুনা ভারত-এ অবস্থিত
ইটাচুনা
ইটাচুনা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°০২′০৭″ উত্তর ৮৮°১৮′৩৩″ পূর্ব / ২৩.০৩৫২° উত্তর ৮৮.৩০৯৩° পূর্ব / 23.0352; 88.3093
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাহুগলি
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৪৫১
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
টেলিফোন/এসটিডি কোড০৩৪৫৪
লোকসভা নির্বাচনক্ষেত্রহুগলি
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রপান্ডুয়া
ওয়েবসাইটhooghly.gov.in

ইটাচুনা হুগলি জেলার একটি গ্রাম। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার চুঁচুড়া মহকুমার পান্ডুয়ার সি ডি ব্লকের ইটাচুনা-খন্যানের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালে ভারতের জনগণনা অনুসারে, ইটাচুনার মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৪৫১ জন, যার মধ্যে ৭৩৫ (৫১%) জন পুরুষ এবং ৭১৬ (৪৯%) জন মহিলা ছিলেন। ৬ বছরের নিচের জনসংখ্যা ছিল ১৪৬। ইটাচুনায় মোট সাক্ষরের সংখ্যা ছিল ১,০৩৪, যা ৬ বছরেরও বেশি জনসংখ্যার ৭৯.২৩%।[]

পরিবহন

পোলবা-খন্যান রোডের একটি ছোট অংশ ইটাচুনাকে সড়কপথে এসএইচ ১৩ অথবা জিটি রোডের সাথে সংযুক্ত করেছে।[][] রেলপথে এর নিকটতম রেলওয়ে স্টেশনটি হল খন্যান রেল স্টেশন। এটি হাওড়া-বর্ধমান মূল লাইনের একটি কলকাতা শহরতলির রেলস্টেশন যা ভারতীয় রেলের পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চল দ্বারা পরিচালিত।

শিক্ষা

এখানে একটি সাধারণ স্নাতক মহাবিদ্যালয় রয়েছে। তার নাম বিজয় নারায়ণ মহাবিদ্যালয়। এটি ১৯৫০ সালে ইটাচুনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কাজ করে এবং এখানে বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা এবং পুষ্টি বিষয়ে সাম্মানিক স্নাতক কোর্স করার সুযোগ রয়েছে, ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ের জন্যই।[][]

সংস্কৃতি

ইটাচুনা রাজবাড়ি

ইটাচুনা রাজবাড়ীটি "বর্গী ডাঙ্গা" নামেও পরিচিত"।[] এই শব্দটি বর্গীদের বাংলা আক্রমণ থেকে এসেছে। মারাঠা যোদ্ধাদের এখানকার বাঙালিরা বর্গী নামে সম্বোধিত করত। একটা সময় ছিল যখন মারাঠরা চৌথ আদায় করার জন্য বারবার বাংলায় আক্রমণ করত। বিহার, উড়িষ্যা ও বাংলার নবাব (সুব-এ-দার) দ্বারা প্রদত্ত করের ১/৪ অংশ ছিল চৌথ। সেটি মারাঠারা দাবি করত। মীর হাবিবকে হত্যার পরে মারাঠা যোদ্ধারা তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে তারা উড়িষ্যার উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছিল এবং সেই নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে অনেক মারাঠা বর্গী বাংলায় থেকে গিয়ে তাদের নিজস্ব বাণিজ্য শুরু করে। তারা প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছিল। এইরকম একজন মারাঠা যোদ্ধা কুন্দন, এই ইটাচুনাতে বসতি স্থাপন করে। বর্তমানে এরা কুন্ডু নামেও পরিচিত। ইটচুনা রাজবাড়িটি ১৭৬৬ সালে সাফল্য নারায়ণ কুন্ডুর পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, তখন তারা কুন্দন নামেই পরিচিত ছিল।[] এটি এখন হুগলি জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখন প্রাসাদটি ঐতিহ্যবাহী পান্থাবাসে (হোটেল) রূপান্তরিত হয়েছে। এটি অনেকগুলি হিন্দি এবং বাংলা চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের স্থান হিসাবেও পরিচিত, এর মধ্যে রয়েছে লুটেরা, পরাণ যায় জ্বলিয়া রে, রাজমহল ইত্যাদি চলচ্চিত্র।[][]

ইটাচুনা রাজবাড়ি

তথ্যসূত্র

  1. "2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables"West Bengal – District-wise। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৭ 
  2. "List of State Highways in West Bengal"। West Bengal Traffic Police। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৭ 
  3. Google maps
  4. "Bejoy Narayan Mahavidyalaya"। BNM। ১ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৭ 
  5. "Bejoy Narayan Mahaviyalaya, Itachuna, Hooghly"। College Admission। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৭ 
  6. "Inside our Royal Past: A Haunting Story of the Itachuna Palace" 
  7. "Itachuna Rajbari - Khanyan - West Bengal Tourism Destination"youtube 
  8. Roy, Tasmayee Laha (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Rajbaris to come up as boutique hotels"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  9. "The Rajbaris in and around Kolkata"। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৭