আলী রাজ
আলীরাজ | |
---|---|
জন্ম | ডব্লিউ আনোয়ার ১৫ মার্চ ১৯৫৭ সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | চিত্রনায়ক, খলনায়ক |
কর্মজীবন | ১৯৮০ – বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | এই ঘর এই সংসার, চাচ্চু |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার |
আলীরাজ (জন্মঃ ১৫ মার্চ ১৯৫৭) হলেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা।
তিনি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে সহ নায়ক হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি ২০১৬ সালে পুড়ে যায় মন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[১]
চলচ্চিত্র জীবন
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি সম্ভবত কোন একটি উৎস থেকে হুবহু বা আংশিকভাবে নকল করে নিবন্ধে যুক্ত করা হয়েছে, যা উইকিপিডিয়ার কপিরাইট নীতিমালা লঙ্ঘনের শামিল। অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অংশের ভাষা সম্পাদনা করে কিংবা কপিরাইটকৃত লেখা অপসারণ করে কিংবা একই বিষয়ের জন্য লভ্য কপিরাইটমুক্ত বিষয়বস্তু যোগ করা অথবা নিবন্ধটিকে (বা অনুচ্ছেদটিকে) মুছে ফেলার জন্য ট্যাগ যোগ করে [১] এই সমস্যার সমাধান করুন। দয়া করে নিশ্চিত হোন যে কপিরাইট লঙ্ঘনের অনুমিত উৎসটি নিজেই উইকিপিডিয়ার একটি আয়না (মিরর) নয়। |
তার অভিনয়ে অভিষেক ঘটে টিভি নাটকের মাধ্যমে। বিটিভিতে সেলিম আল দীনের লেখা ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নির্দেশনায় ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। সে সময় ডব্লিউ আনোয়ার নামে পরিচিত ছিলেন আলীরাজ।অভিনেতা আলীরাজ (Aliraj) চলচ্চিত্রে আসেন নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে। ছেলেবেলায় সিরাজগঞ্জে থাকতেই বর্ণালী ক্লাবের সাথে অভিনয় শুরু করেন। এরপর কাজ করেছেন তরুণ সম্প্রদায়, দুর্বার, সংলাপ থিয়েটারে। ঢাকায় চলে আসার পর ঢাকা থিয়েটারে কাজ শুরু করেন। সেখানে তার সহ অভিনেতা ছিলেন হুমায়ূন ফরিদী, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মোস্তফা, রাইসুল ইসলাম আসাদের মত বড় অভিনেতারা। তারপর একদিন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু-র ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ নাটকে অভিনয় করলেন, সেই নাটকের মাধ্যমে চোখে পড়লেন রাজ্জাকের। ১৯৮৪ সালে জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ পান আলীরাজ।রাজ্জাক তখন বৈকুন্ঠের উইল অবলম্বনে ‘সৎভাই’ নিমানের চিন্তা করছিলেন। নায়করাজ রাজ্জাকের নির্দেশনায় ‘সৎ ভাই’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর মাধ্যমে সিনেমাতে নিয়মিত হন। ডব্লিউ আনোয়ার থেকে নায়করাজের দেওয়া নাম ‘আলীরাজ’ হিসেবেই পরিচিতি পান। আলীরাজ সেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে নাম লেখালেন। এরপর তিনি মমতাজ আলীর ‘নিয়ত’, আজহারুল ইসলাম খানের ‘সহযাত্রী’সহ ১১০টি চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। চরিত্রাভিনেত্রা হিসেবেও তিনি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ।আলীরাজ শিক্ষাগত যোগ্যতা আইএ। [২]
চলচ্চিত্রের তালিকা
- জান্নাত (২০১৮)
- রাজনীতি (২০১৭)
- তুখোড় (২০১৭)
- তুই আমার (২০১৭)
- সত্যিকারের মানুষ (২০১৭)
- আড়াল (২০১৬)
- ধূমকেতু (২০১৬)
- ডিটেকটিভ (২০১৬, নির্মানাধীন)
- পুড়ে যায় মন (২০১৬)
- দুই পৃথিবী (২০১৫)
- লাভার নাম্বার ওয়ান (২০১৫)
- ছুঁয়ে দিলে মন (২০১৫)
- পাগলা দিওয়ানা (২০১৫)
- পুত্র এখন পয়সাওয়ালা (২০১৫)
- রোমিও বনাম জুলিয়েট (২০১৫)
- নগর মাস্তান (২০১৫)
- চিনি বিবি (২০১৫)
- এপার ওপার (২০১৫)
- চুপি চুপি প্রেম (২০১৫)
- কঠিন প্রতিশোধ (২০১৪)
- সেরা নায়ক (২০১৪)
- আই ডোন্ট কেয়ার (২০১৪)
- অগ্নি (২০১৪)
- দবির সাহেবের সংসার (২০১৪)
- অনেক সাধের ময়না (২০১৪)
- পোড়ামন (২০১৩)
- জোর করে ভালোবাসা হয় না (২০১৩)
- নিষ্পাপ মুন্না (২০১৩)
- ভালোবাসা আজকাল (২০১৩)
- ভালোবাসার রঙ (২০১২)
- স্বামী ভাগ্য (২০১২)
- মাই নেম ইজ সুলতান (২০১২)
- দারোয়ানের ছেলে (২০১১)
- মাটির ঠিকানা (২০১১)
- হায় প্রেম হায় ভালোবাসা (২০১০)
- গোলাপী এখন বিলেতে (২০১০)
- প্রেমে পড়েছি (২০১০)
- টাকার চেয়ে প্রেম বড় (২০১০)
- ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না (২০১০)
- প্রেমিক পুরুষ (২০১০)
- আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০)
- বিয়ে বাড়ী (২০০৯)
- বলো না কবুল (২০০৯)
- কে আমি (২০০৯) - জাকারিয়া চৌধুরী
- সবার উপরে তুমি (২০০৯)
- চিরদিন আমি তোমার (২০০৯)
- মন যেখানে হৃদয় সেখানে (২০০৯)
- আদরের ছোট ভাই (২০০৯)
- জন্ম তোমার জন্য (২০০৯)
- মা বড় না বউ বড় (২০০৯)
- বাবা আমার বাবা (২০০৮)
- বড় ভাই জিন্দাবাদ (২০০৮)
- এ চোখে শুধু তুমি (২০০৮)
- স্বামী নিয়ে যুদ্ধ (২০০৮)
- তুমি আমার প্রেম (২০০৮)
- সন্তান আমার অহংকার (২০০৮)
- আমাদের ছোট সাহেব (২০০৮)
- মা আমার স্বর্গ (২০০৭)
- ময়দান (২০০৭)
- স্বামীর সংসার (২০০৭)
- পিতার আসন (২০০৬)
- দাদীমা (২০০৬)
- চাচ্চু (২০০৬)
- ওদের ধর (২০০২)
- এই ঘর এই সংসার (১৯৯৬) - চিন্টু
- ডন (১৯৯৪)
- প্রেমের বাঁধন (নির্মানাধীন)
- লীলা মন্থন
- ডনগিরি (২০১৯)
পারিবারিক জীবন
পারিবারিক জীবনে আলীরাজের এক পুত্র এবং এক কন্যা। তার স্ত্রী নৃত্যশিল্পী। ‘নৃত্যাঞ্চল’ নামে প্রতিষ্ঠানে শিবলী ও নিপার সঙ্গে ছেলেদের নাচ শেখান।
পুরস্কার
তথ্যসূত্র
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ : সেরা ছবি অজ্ঞাতনামা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৫ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "তিন দশকের আলীরাজ"। ১৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ ঘোষণা : সেরা ছবি 'অজ্ঞাতনামা' সেরা নির্মাতা অমিতাভ"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ৫ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আলী রাজ (ইংরেজি)