দার্জিলিং চা
অন্যান্য নাম | চায়ের শ্যাম্পেন |
---|---|
ধরন | সাধারণত কালো রং এর চা হিসাবে বিক্রি |
উৎপত্তিস্থল | ভারত |
অঞ্চল বা রাজ্য | দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ |
দার্জিলিং চা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলায় উৎপাদিত একটি বিশেষ প্রকারের চা। দার্জিলিং পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে ক্যামেলিয়ার কোমল কুঁড়ি দিয়ে উৎপাদিত হয় বিশ্ববিখ্যাত দার্জিলিং-চা।
দার্জিলিং চায়ের ইতিহাস
চা-শিল্প বিকাশের শুরু হতে আজ পর্যন্ত অনেক গবেষণা, অনেক প্রতিযোগিতা হয়েছে, কিন্তু দার্জিলিং চায়ের মতো চা তৈরি করা দূরে থাক, সৌরভে গুণগত উৎকর্ষতায় এর ধারে কাছেও আসতে পারেনি কোনো চা-উৎপাদনকারী। জিওগ্রাফিকাল ইনটেকশন অব গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ১৯৯৯) ২০০৩ সালে দার্জিলিং চা ভারতের ভারতীয় পেটেন্ট অফিসের মাধ্যমে ভারতের প্রথম পণ্য হিসাবে ২০০৪ -২০০৫ সালে জিআই ট্যাগ লাভ করে।[১] দার্জিলিং অঞ্চলের অভিজ্ঞ শ্রমিককে একই ব্যবস্থাপনায় ভিন্ন অঞ্চলের চা-বাগানে নিয়োগ করে অর্থোডক্স-চা উৎপাদন করা হলো, ফলাফল আবারও শূন্যতায় ভরা।
চাষ পদ্ধতি
আকাক্সক্ষায়িত সেই সৌরভ নেই কোথাও। সমূদ্রপৃষ্ঠ হতে ২০০০ মিটার উচ্চতায় চীনা বীজ দিয়ে দাজির্লিং চা-আবাদ হয়। ভারতের মোট উৎপাদনের ৩% চা দার্জিলিং-চা। দার্জিলিংয়ে মোট ৮৩টি চা-বাগানে ২০,০০০ হেক্টর জমিতে বছরে গড়ে ১২ মিলিয়ন (এক কোটি বিশ লক্ষ) কেজি দার্জিলিং-চা উৎপাদিত হয়। শুধুমাত্র দার্জিলিং উপত্যকায় চীনা জাতের গাছ দিয়ে উঁচু পাহাড়ে চাষ করলে শারদীয় চয়নে সুমিষ্ট ফুলের গন্ধ পাওয়া যায়।[২]
দার্জিলিং চা কালো, সবুজ, সাদা ও ওলংতে পাওয়া যায়। সঠিকভাবে বপন করা হলে, এটি একটি ফুলের সুগন্ধযুক্ত একটি পাতলা-মোটা, হালকা রঙের আধান উৎপন্ন করে। বেশিরভাগ ভারতীয় চা থেকে ভিন্ন, ধরনের হয় দার্জিলিং চা। সাধারণত কামেলিয়া সিনেনসিসের ছোট ছোট প্রজাতি থেকে তৈরি হয় দার্জিলিং চা। সিনাসেসিস, বড় লেভেড আসাম উদ্ভিদ (সি সিনেনসিস ওয়ার. আসামিকা) এর পরিবর্তে। ঐতিহ্যগতভাবে, দার্জিলিং চা কালো চা হিসেবে তৈরি করা হয়; তবে, দার্জিলিং ওলং ও সবুজ চা আরও সাধারণভাবে উৎপাদিত এবং সহজে খুঁজে পাওয়া যায় এবং আরও বেশি সংখ্যক চা বাগান সাদা চা উৎপাদিত হয়।
ইতিহাস
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "GI tag: TN trails Karnataka with 18 products"। The Times of India। আগস্ট ২৯, ২০১০। নভেম্বর ৩, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭।
- ↑ "Darjeeling Tea"। Darjeeling district government website। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭।