ধমনি
অনুগ্রহ করে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করে এর উন্নতিতে সহায়তা করুন। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য আলাপ পাতা দেখতে পারেন।
|
ধমনি | |
---|---|
বিস্তারিত | |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | arteries |
মে-এসএইচ | D001158 |
টিএ৯৮ | A12.0.00.003 A12.2.00.001 |
টিএ২ | 3896 |
এফএমএ | FMA:50720 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
ধমনি (ইংরেজি: Artery; গ্রিক ἀρτηρία - artēria, "শ্বাসনালি, ধমনি"[১]) মানব দেহের এমনসব রক্তবাহী নালি যেগুলো হৃৎপিণ্ড থেকে পরিশোধিত রক্ত বহন করে দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে। ধমনি সবসময় পরিশোধিত তথা অক্সিজেনসমৃদ্ধ (অক্সিজেনেটেড) রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে; তবে ব্যতিক্রম হলো ফুসফুসীয় ধমনি(যা অক্সিজেনবিহীন রক্ত হৃদপিণ্ডে পরিবহন করে) এবং নাভি ধমনি(যা অক্সিজেনবিহীন রক্ত ভ্রূণীয় রক্তব্যবস্থা থেকে অমরায় পরিবহন করে)।[২]
ধমনির গঠন
ধমনির প্রাচীর পুরু ও স্থিতিস্থাপক, ধমনির প্রাচীর তিন স্তর বিশিষ্ট ৷ ধমনিতে কপাটিকা বা পর্দা থাকে না৷ এর নালিপথ সরু৷ হৃৎপিণ্ডের প্রত্যেক সংকোচনের ফলে দেহের ছোটবড় সব ধমনিতে রক্ত তরঙ্গের ন্যায় প্রবাহিত হয়৷ এতে ধমনিগাত্র সংকুচিত ও প্রসারিত হয়৷ ধমনির এই স্ফীতি ও সংকোচনকে নাড়ির স্পন্দন বলে৷ ধমনির ভিতর রক্ত প্রবাহ, ধমনিগাত্রের সংকোচন ও প্রসারণ, স্থিতিস্থাপকতা নাড়িস্পন্দনের প্রধান কারণ৷ হাতের কবজির উপর হাত রেখে নাড়িস্পন্দন অনুভব করা যায়৷ তবে নাড়িস্পন্দন এমন ভাবে অনুভব করতে হবে যেন হাতের তর্জনী হৃৎপিণ্ডের দিকে থাকে৷
আণুবীক্ষণিক গঠন
ধমনি তিনটি কোষস্তর নিয়ে গঠিত৷ যথা:
- টিউনিকা এক্সটার্না (Tunica Externa): এটি একটি তন্তুময় যোজক কলা দিয়ে তৈরি৷
- টিউনিকা মিডিয়া (Tunica Media): বৃত্তাকার অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে তৈরি মাঝের স্তর৷
- টিউনিকা ইন্টার্না (Tunica Interna): এই ভিতরের স্তরটি সরল আবরণী কলা দিয়ে তৈরি৷