আঙ্গেলা মের্কেল
আঙ্গেলা মের্কেল | |
---|---|
জার্মানির চ্যন্সেলর | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় নভেম্বর ২২, ২০০৫ | |
রাষ্ট্রপতি | ইওয়াখিম গাউক ক্রিষ্টিয়ান উলফ |
ডেপুটি | ফিলিপ রোসলার |
পূর্বসূরী | গেরহার্ড শ্রোডার |
পরিবেশ, প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ নভেম্বর ১৭, ১৯৯৪ – অক্টোবর ২৬, ১৯৯৮ | |
চ্যান্সেলর | হেলমুট কোল |
পূর্বসূরী | ক্লাউস টপফার |
উত্তরসূরী | ইয়ুর্গেন ট্রিটিন |
নারী এবং যুবক বিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ জানুয়ারী ১৮, ১৯৯১ – নভেম্বর ১৭, ১৯৯৪ | |
চ্যান্সেলর | হেলমুট কোল |
পূর্বসূরী | উরসুলা লের |
উত্তরসূরী | কলাউডিয়া নোল্ট |
সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ডিসেম্বর ২, ১৯৯০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আঙ্গেলা ডোরোথিয়া কাসনার ১৭ জুলাই ১৯৫৪ হ্যামবুর্গ, পশ্চিম জার্মানি |
রাজনৈতিক দল | ক্রিসচিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (১৯৯০–বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | ডেমোক্রেটিক এ্যাওকেনিং (১৯৮৯–১৯৯০) |
দাম্পত্য সঙ্গী | উলরিশ মের্কেল (১৯৭৭–১৯৮২) ইওয়াখিম জাউয়ার (১৯৯৮–বর্তমান) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইউনিভার্সিটি অফ লাইপজিগ |
জীবিকা | ভৌত রসায়নবিদ |
ধর্ম | লুথেরানবাদ |
স্বাক্ষর |
আঙ্গেলা ডোরোটেয়া মের্কেল (জার্মান উচ্চারণ: [aŋˈɡeːla doʁoˈteːa ˈmɛʁkl̩] (); )[১] হচ্ছেন জার্মানির বর্তমান চ্যন্সেলর। তিনি ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল জার্মানির মেকলেনবার্গ-ভোরপোমার্ন প্রদেশ থেকে জার্মান সংসদে সর্বাধিক সংখ্যক আসন জয়ের মাধ্যমে চ্যন্সেলর নির্বাচিত হন। মের্কেল ক্রিসচিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান (CDU) এবং ২০০২ হতে ২০০৫ পর্যন্ত CDU-CSU (ক্রিসচিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন)-এর সংসদীয় জোটের চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জার্মানির দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (CSU)এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানির সমন্বয়ে গঠিত জোটের নেতৃত্ব দেন। ২০০৯ এর ২৭ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার দল সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পেয়ে জয়ী হয় এবং CSU ও ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে জোট সরকার গঠন করে। তার সরকার ২০০৯ এর ২৮ অক্টোবরে শপথ গ্রহণ করে।[২]
২০০৭ সালে আঙ্গেলা মের্কেল ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার এবং ভবিষ্যৎ জ্বালানী উন্নয়ন সংক্রান্ত সমস্যা তার মেয়াদকালের প্রধান চ্যলেঞ্জ। মের্কেল জার্মানির প্রথম নারী চ্যন্সেলর। ২০০৭ সালে তিনি মার্গারেট থ্যাচারের পর জি৮ এর দ্বিতীয় নারী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
প্রথম জীবন
[সম্পাদনা]১৯৫৪ সালের ১৭ জুলাই পশ্চিম জার্মানির হ্যামবুর্গে আঙ্গেলা মের্কেল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হোর্স্ট কাসনার (জন্ম ৬ আগস্ট, ১৯২৬) এবং মাতার নাম হারলিন (জন্ম ৮ জুলাই, ১৯২৮)। মের্কেলের মা ছিলেন ল্যাটিন এবং ইংরেজির শিক্ষক। তিনি একসময় সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ছিলেন।[৩] মের্কেলের মায়ের পূর্বপুরুষেরা পোল্যান্ডের অধিবাসী ছিলেন।[৪] তার একজন ছোট ভাই (জন্ম ৭ জুলাই, ১৯৫৭) এবং ছোট বোন (জন্ম ১৯ আগস্ট ১৯৬৪) আছে।
আঙ্গেলা মের্কেলের পিতা হাইডেলবের্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে পড়ালেখা করেছিলেন। শৈশবে মের্কেল পল্লী অঞ্চলে বড় হয়েছিলেন। তখনকার সময়ে অধিকাংশ শিশুদের মত মের্কেলও জার্মানির সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টির নেতৃত্বাধীন জার্মান মুক্ত তরুণ নামক তরুণ-আন্দোলনের সদস্য ছিলেন। মের্কেল এই সংগঠনের সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ছিলেন। তবে মের্কেল বলেছেন,[৫][৬]
“ | আমার স্মৃতি বলে, আমি সেসময় সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ছিলাম। কিন্তু আমি কী জানতাম? আমি বিশ্বাস করতাম আমি যখন ৮০ বছর বয়সী হব, তখনও আমি এ বিষয়ে কিছু জানবো না। | ” |
বাধ্যতামূলক মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ কোর্সে মের্কেল পাশ করলেও ফলাফল খুব একটা ভাল ছিল না।[৭]
আঙ্গেলা মের্কেল টেম্পলিন শহরের একটি স্কুলে পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি লাইপৎসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞান পড়েন। শিক্ষার্থী থাকাকালে মের্কেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম চালুর দাবিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৮] পরবর্তীতে মের্কেল বার্লিনে অবস্থিত জার্মান বিজ্ঞান অ্যাকাডেমিতে ভৌত রসায়ন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নেন এবং এখানেই তার কর্মজীবন শুরু করেন। সেসময় তিনি রুশ ভাষা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলতে শিখেছিলেন। কোয়ান্টাম রসায়নের উপর গবেষণার জন্য তাকে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এরপর তিনি এখানে গবেষক হিসেবে কাজ করেন।[৯]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ২০১১ সালে ৩২ জনের নাম 'পার্সন অফ দ্য ইয়ার' হিসেবে মনোনীত করে। এ তালিকায় - স্টিভ জবস, বারাক ওবামা, সিলভিও ব্যার্লুস্কোনি, লিওনেল মেসি প্রমূখ বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি তিনিও স্থান পেয়েছেন৷[১০]
গ্রন্থবিবরণী
[সম্পাদনা]- Der, R. (১৯৮০)। "On the influence of spatial correlations on the rate of chemical reactions in dense gases. I. Quantum statistical theory"। Chemical Physics। 53 (3): 427–435। ডিওআই:10.1016/0301-0104(80)85131-7। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Der, R. (১৯৮০)। "On the influence of spatial correlations on the rate of chemical reactions in dense systems. II. Numerical results"। Chemical Physics। 53 (3): 437–442। ডিওআই:10.1016/0301-0104(80)85132-9। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Boeger, I. (১৯৮২)। "An Extended Kinetic Model and its Reduction by Sensitivity Analysis for the Methanol/Oxygen Gas-Phase Thermolysis"। Acta Chim. Hung.। 129 (6): 855–864। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Merkel, Angela (১৯৮২)। "Pressure"। Zeitschrift für Physikalische Chemie। 263 (3): 449–460। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Merkel, Angela (১৯৮৫)। "Carbon-Hydrogen-Bond"। Zeitschrift für Physikalische Chemie। 266 (2): 353–361। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Merkel, Angela (১৯৮৭)। "statistical"। Molecular Physics। 60 (6): 1379–1393। ডিওআই:10.1080/00268978700100901। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Merkel, Angela (১৯৮৮)। "Evaluation of the rate constant for the SN2 reaction fluoromethane + hydride: methane + fluoride in the gas phase"। Journal of American Chemical Society। 110 (25): 8355–8359। ডিওআই:10.1021/ja00233a012। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Langguth, Gerd (২০০৫)। Angela Merkel (German ভাষায়)। Munich: dtv। আইএসবিএন 3-423-24485-2।
[Merkel] wollte immer mit der Betonung auf dem 'e' Angela genannt werden.
- ↑ "Germany's Merkel begins new term"। BBC। ২০০৯-১০-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-০১।
- ↑ "Was an Angela Merkels Mutter vorbildlich ist"। Welt Online (German ভাষায়)। 26 Sptember 2008। সংগ্রহের তারিখ 31 July 2010।
'Nein, in der SPD bin ich nicht mehr.'
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Der Spiegel - Spiegel Online - Nachrichten"। Spiegel.de। ২০০০-১২-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০২।
- ↑ "Die Schläferin" (German ভাষায়)। Der Spiegel। ২০০৯-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-০৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Langguth, Gerd (২০০৫) [2005]। Angela Merkel (German ভাষায়)। Munich: dtv। আইএসবিএন 3-423-24485-2। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Glänzend in Physik, mäßig in der Ideologie" (German ভাষায়)। Der Spiegel। ২০১০-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-০৭।
"Nach meiner Erinnerung war ich Kultursekretärin. Aber was weiß ich denn? Ich glaube, wenn ich 80 bin, weiß ich gar nichts mehr", sagt sie.
- ↑ "Spiegel.de"। Einestages.spiegel.de। ২০০৯-০৩-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০২।
- ↑ Merkel, Angela (১৯৮৬)। Untersuchung des Mechanismus von Zerfallsreaktionen mit einfachem Bindungsbruch und Berechnung ihrer Geschwindigkeitskonstanten auf der Grundlage quantenchemischer und statistischer Methoden (Investigation of the mechanism of decay reactions with single bond breaking and calculation of their velocity constants on the basis of quantum chemical and statistical methods) (German ভাষায়)। Berlin: Academy of Sciences of the German Democratic Republic (dissertation)। cited in Langguth, Gerd (২০০৫)। Angela Merkel (German ভাষায়)। Munich: DTV। পৃষ্ঠা 109। আইএসবিএন 3-423-24495-2
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)। অজানা প্যারামিটার|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) and listed in the Catalogue of the Deutsche Nationalbibliothek under subject code 30 (Chemistry) - ↑ টাইম ম্যাগাজিনের পার্সন অফ দ্য ইয়ার’এর জন্য মনোনীত মেসি, সংগ্রহকালঃ ২৭ নভেম্বর, ২০১১ইং
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- জার্মানির চ্যান্সেলর
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৫৪-এ জন্ম
- জার্মান রসায়নবিদ
- জার্মান রাজনীতিবিদ
- বিরোধীদলীয় নেত্রী
- জার্মান নারীবাদী
- জার্মান লুথারান
- পোলীয় বংশোদ্ভূত জার্মান ব্যক্তি
- লাইপ্ৎসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপক
- ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি
- কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানী
- ফোর ফ্রিডমস পুরস্কার প্রাপক
- টাইম সাময়িকীর বর্ষসেরা ব্যক্তি