সেন্ট কিট্স ও নেভিস
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস (/-ˈkɪts ...
ফেডারেশন অফ সেইন্ট ক্রিস্টোফার অ্যান্ড নেভিস | |
---|---|
নীতিবাক্য: নিজের উপরে দেশ | |
জাতীয় সঙ্গীত: "ওহ ল্যান্ড অফ বিউটি!!" | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | বাসেতেরে ১৭°১৮′ উত্তর ৬২°৪৪′ পশ্চিম / ১৭.৩০০° উত্তর ৬২.৭৩৩° পশ্চিম |
সরকারি ভাষা | ইংরেজি |
নৃগোষ্ঠী (২০০১)[১] |
|
ধর্ম (২০১০)[২] |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ |
|
সরকার | ফেডারেল ও নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র , সংসদীয় গণতন্ত্র |
• রাজা | তৃতীয় চার্লস |
• গভর্নর জেনারেল | স্যার টেপলি সিটন |
• প্রধানমন্ত্রী | টিমোথি হ্যারিস |
আইন-সভা | ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি |
স্বাধীনতা যুক্তরাজ্য থেকে | |
• সহযোগী রাষ্ট্র | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ |
• স্বাধীনতা ঘোষণা | ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ |
আয়তন | |
• মোট | ২৬১ কিমি২ (১০১ মা২) (১৮৮তম) |
• পানি (%) | নগন্য |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৮ আনুমানিক | ৫২,৪৪১ [৩][৪] (২১৩তম) |
• ২০১১ আদমশুমারি | ৪৬,২০৪ |
• ঘনত্ব | ১৬৪/কিমি২ (৪২৪.৮/বর্গমাইল) (৬৪তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৯ আনুমানিক |
• মোট | $১.৭৫৮ বিলিয়ন |
• মাথাপিছু | $৩১,০৯৫[৫] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৯ আনুমানিক |
• মোট | $১,০৫৮ বিলিয়ন |
• মাথাপিছু | $১৮,৭১৪[৫] |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) | ০.৭৭৯[৬] উচ্চ · ৭৪তম |
মুদ্রা | পূর্ব ক্যারিবীয় ডলার (EC$) (XCD) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি-৪ (AST) |
গাড়ী চালনার দিক | বাম |
কলিং কোড | +1 869 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .kn |
|
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের রাজধানী হল বাসেটেরে। এটি সেন্ট কিটস দ্বীপে অবস্থিত। বাসেটেরে বন্দর যাত্রী এবং পণ্যসম্ভার প্রবেশের প্রধান বন্দর। নেভিস দ্বীপটি সেন্ট কিটসের দক্ষিণ-পূর্বে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার (২ মাইল) দূরে অবস্থিত। এটি দ্য ন্যারোস নামক একটি অগভীর চ্যানেল জুড়ে বিস্তৃত।
অ্যাঙ্গুইলা অঞ্চল ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনস্থ ছিল। ফলে অ্যাঙ্গুলা পূর্বে এই ইউনিয়নের অংশ ছিল। ইউনিয়নটি তখন সম্মিলিতভাবে সেন্ট ক্রিস্টোফার-নেভিস-অ্যাঙ্গুইলা নামে পরিচিত ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে অ্যাঙ্গুলা ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ব্রিটেনের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে সিন্ট ইউস্টাটিয়াস, সাবা, সেন্ট বার্থেলেমি, সেন্ট-মার্টিন/সিন্ট মার্টেন এবং অ্যাঙ্গুইলা দ্বীপ রয়েছে। দেশটির পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা, দক্ষিণ-পূর্বে রেডোন্ডা দ্বীপ (অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডার অংশ) এবং মন্টসেরাট দ্বীপ রয়েছে।
ব্যুৎপত্তি
সম্পাদনাপ্রাচীনকালে সেন্ট কিটস অঞ্চল লিয়ামুইগা নামে পরিচিত ছিল। এ শব্দটির অর্থ 'উর্বর ভূমি'। কালিনাগো গোষ্ঠী মূলত এই দ্বীপের আদিম বসবাসকারী ছিল।[৭] পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অভিবাসন প্রক্রিয়া চলমান থাকার ফলে সেন্ট কিটসে বর্তমানে বহিরাগতদের আধিক্য দেখা যায়।
ক্রিস্টোফার কলম্বাস প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে আনুমানিক ১৪৯৩ সালে দ্বীপগুলি পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি সেন্ট ক্রিস্টোফারের (তার পৃষ্ঠপোষক সন্ত এবং সহযাত্রী) নামানুসারে বৃহত্তর দ্বীপটির নাম সান ক্রিস্টোবাল রেখেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণায় দেখা গেছে যে কলম্বাস এই দ্বীপের নাম রেখেছিলেন স্যান্ট ইয়াগো (সেন্ট জেমস) এবং যে দ্বীপটি এখন সাবা নামে পরিচিত তার নাম আসলে সান ক্রিস্টোবাল রাখা হয়েছিল। তবে ১৭ শতকের সময়ের নথিতে দ্বীপটিকে সান ক্রিস্টোবাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ইংরেজরা নথিপত্রসমূহে এটিকে সেন্ট ক্রিস্টোফার দ্বীপ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। যেহেতু সেন্ট ক্রিস্টোফারের ডাকনাম ছিল কিট, তাই সে সময়ে দ্বীপটিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে সেন্ট কিটস দ্বীপ হিসেবে উল্লেখ করা হতো।
কলম্বাস নেভিস দ্বীপের নাম রেখেছিলেন সান মার্টিন। [৭] তবে দ্বীপটির বর্তমান নাম নেভিস স্প্যানিশ নাম "নুয়েস্ট্রা সেনোরা দে লাস নিয়েভেস" থেকে নেওয়া হয়েছে। এ নামটির অর্থ 'তুষারপাতের মহিলা'৷ কে এই দ্বীপের এই নামটি রেখেছিলেন তা জানা যায়নি। তবে দ্বীপটির নামকরণ প্রসঙ্গে একটি ৪র্থ শতাব্দীর ক্যাথলিক অলৌকিক ঘটনাটির একটি উল্লেখ করা হয়।[৮] সংবিধানে রাষ্ট্রটিকে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস অথবা সেন্ট ক্রিস্টোফার অ্যান্ড নেভিস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটি কথ্য ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, কিন্তু সেন্ট ক্রিস্টোফার অ্যান্ড নেভিস নামটি সাধারণত কূটনৈতিক সম্পর্ক ও দাপ্তরিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রাক-ঔপনিবেশিক যুগ
সম্পাদনাপ্রাক-আরাওয়াকান মানুষরা সম্ভবত তিন হাজার বছর আগে দ্বীপগুলিতে বসতি স্থাপন করেছিল। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।[৯][১০]:১০
ইউরোপীয় আগমন এবং প্রারম্ভিক ঔপনিবেশিক সময়কাল
সম্পাদনা১৪৯৩ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে দ্বীপগুলি পরিদর্শন করেছিলেন।[১১][১২] ১৬২৩ সালে ইংরেজরা সর্বপ্রথম বহিরাগত জনগোষ্ঠী হিসেবে এ দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিল। ইংরেজ অভিবাসী দলের নেতৃত্বে ছিলেন থমাস ওয়ার্নার, যিনি ক্যারিব জনগোষ্ঠীর প্রধানের সাথে একটি চুক্তি করার পর সেন্ট কিটসের পশ্চিম উপকূলে ওল্ড রোড টাউনে বসতি স্থাপন করেছিলেন।[১১][১০]:১৫–১৮ পরে ফরাসিরাও পিয়েরে বেলাইন ডি'এসনাম্বুকের অধীনে ১৬২৫ সালে সেন্ট কিটসে বসতি স্থাপন করে।[১১] ফলস্বরূপ, উভয় পক্ষই দ্বীপটিকে ফরাসি এবং ইংরেজি অংশে ভাগ করতে সম্মত হয়। ১৬২৮ সাল থেকে ইংরেজরা নেভিসেও বসতি স্থাপন শুরু করে।[১১]
ফরাসি এবং ইংরেজরা দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণের মাধ্যমে স্ব-সমৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালায়, তবে তারা তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। কেননা কালিনাগো নামক স্থানীয় ক্যারিবীয় জনগোষ্ঠী তাদের নিজ বসতি রক্ষার জন্য প্রথম তিন বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়েছিল। ইউরোপীয়রা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ লাভের চেষ্টা চালিয়েছিল। [১৩][১৪] তাদের উদ্দেশ্যকে সহজতর করার জন্য তারা একটি আদর্শিক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল। ১৬২৬ সালে অ্যাংলো-ফরাসি বসতি স্থাপনকারীরা কালিনাগোদের একটি স্থানে গণহত্যা করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। এ অঞ্চলটি পরে ব্লাডি পয়েন্ট নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে তাদের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছিল যে ক্যারিবীয় জনগোষ্ঠীর লোকেরা সমস্ত ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীকে বহিষ্কার বা হত্যা করার জন্য একটি পরিকল্পনা করেছিল।[১৫][১৬] স্থানীয় জনগোষ্ঠী শান্ত হওয়ার পর ইংরেজ এবং ফরাসিরা বিশাল চিনির বাগান স্থাপন করতে শুরু করে। বাগানসমূহে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসী আফ্রিকান দাস কাজ করতো। এই ব্যবস্থাটির ফলে উপনিবেশবাদীদের জন্য প্রচুর সম্পদের দ্বার খুলে দিয়েছিল। এ সময়ে দ্বীপের জনসংখ্যার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে কারণ কালো দাসরা শীঘ্রই ইউরোপীয়দের কিছু ব্যবধানে ছাড়িয়ে যায়।[১০]:২৬–৩১[১২]
১৬২৯ সালের একটি স্প্যানিশ অভিযান পাঠানো হয়েছিল। তারা এ অঞ্চলে স্প্যানিশ আধিপত্য কার্যকর করে এবং ইংরেজি এবং ফরাসি উপনিবেশগুলিকে ধ্বংস করে। তারা বসতি স্থাপনকারীদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।[১০]:১৯–২৩ ১৬৩০ সালে যুদ্ধের মীমাংসার অংশ হিসেবে, স্প্যানিশরা জলদস্যুতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইংরেজ ও ফরাসি উপনিবেশের পুনঃপ্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়।[১৭]
স্প্যানিশ শক্তির পতনের সাথে সাথে, সেন্ট কিটস বৃহত্তর ক্যারিবীয় অঞ্চলে ইংরেজি এবং ফরাসি সম্প্রসারণের প্রধান ভিত্তি হয়ে ওঠে। সেন্ট কিটস থেকে ব্রিটিশরা অ্যান্টিগুয়া, মন্টসেরাট, অ্যাঙ্গুইলা এবং টরটোলা দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিল এবং ফরাসিরা মার্টিনিক, গুয়াডেলুপ দ্বীপপুঞ্জ এবং সেন্ট বার্থেলেমি অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। ১৭ শতকের শেষের দিকে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড সেন্ট কিটস এবং নেভিসের নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করেছিল। তবে ১৭১৩ সালে ফরাসিরা ইউট্রেক্ট চুক্তির মাধ্যমে দ্বীপগুলির উপর তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়া দ্বীপগুলির অর্থনীতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। ১৬৯০ সালে একটি ভূমিকম্পের ফলে নেভিসের রাজধানী জেমসটাউন ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে ইংরেজরা চার্লসটাউনে একটি নতুন রাজধানী নির্মাণ করতে বাধ্য হয়। ১৭০৭ সালে হওয়া একটি হারিকেনের কারণে দ্বীপটির আরও অনেক ক্ষতি হয়েছিল।[১৮]:১০৫–১০৮
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল
সম্পাদনা১৮শ শতাব্দীর শুরুতে উপনিবেশটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল এবং ১৭০০-এর দশকের শেষের দিকে সেন্ট কিটস তার দাস-ভিত্তিক চিনি শিল্পের ফলে ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাথাপিছু সবচেয়ে ধনী ব্রিটিশ কলোনিতে পরিণত হয়েছিল।[১৯] ১৮শ শতাব্দীতে নেভিসের সম্পদ ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের ফলে সেন্ট কিটস এই দ্বীপটিকে অধিগ্রহণ করেছিল।[২০]
ব্রিটেন তার আমেরিকান উপনিবেশগুলির সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় ফরাসিরা ১৭৮২ সালে সেন্ট কিটস পুনরায় দখল করার সুযোগ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সেন্ট কিটসকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং প্যারিস চুক্তিতে (১৭৮৩) ব্রিটিশ অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।[১১][১২]
১৮০৭ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে আফ্রিকান দাস ব্যবসার অবসান ঘটে এবং ১৮৩৪ সালে দাসপ্রথা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি ক্রীতদাসের জন্য একটি চার বছরের "শিক্ষনশিক্ষা" সময়কাল অনুসরণ করা হয়, যেখানে তারা তাদের প্রাক্তন মালিকদের জন্য মজুরির বিনিময়ে কাজ করত। নেভিসে ৮,৮১৫ জন ক্রীতদাস এই প্রক্রিয়ায় মুক্তি লাভ করে। অন্যদিকে সেন্ট কিটসে ১৯,৭৮০ জন দাস মুক্তি লাভ করে।[১০]:১১০,১১৪–১১৭[১৮]:১৭৪
১৮৮২ সালে অ্যাঙ্গুইলার সাথে সেন্ট কিটস এবং নেভিস সম্মিলিতভাবে একটি ফেডারেশন তৈরি করে। ২০ শতকের প্রথম কয়েক দশকে অর্থনৈতিক কষ্ট এবং সুযোগের অভাবের ফলে একটি শ্রমিক আন্দোলন পরিচালিত হয়। চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে চিনি শ্রমিকরা ১৯৩৫ সালে ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়।[২১] ১৯৪০-এর দশকে রবার্ট লেভেলিন ব্র্যাডশ-এর অধীনে সেন্ট কিটস-নেভিস-অ্যাঙ্গুইলা লেবার পার্টি (পরে নাম পরিবর্তন করে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস লেবার পার্টি বা এসকেএনএলপি) প্রতিষ্ঠা করা হয়।[২২] ব্র্যাডশ পরে মুখ্যমন্ত্রী হন এবং ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত উপনিবেশের প্রিমিয়ার হন। তিনি ধীরে ধীরে চিনি-ভিত্তিক অর্থনীতিকে বৃহত্তর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অধীনে আনতে চেয়েছিলেন।[১০]:১৫১–১৫২ ১৯৬৫ সালে পিপলস অ্যাকশন মুভমেন্ট পার্টি (পিএএম) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ছিল তুলনামূলক বেশি রক্ষণশীল দল।
দ্বীপগুলি একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেডারেশন (১৯৫৮-৬২) এর অংশ ছিল। পরে ১৯৬৭ সালে দ্বীপগুলি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসন লাভ করার পাশাপাশি সেন্ট কিটস-নেভিস-অ্যাঙ্গুলা ফেডারেশন রাষ্ট্রের অংশ হয়ে ওঠে।[১১] ফেডারেশনে সেন্ট কিটসের আধিপত্যে নেভিস এবং অ্যাঙ্গুইলা উভয়ই অসন্তুষ্ট ছিল। ফলে ১৯৬৭ সালে অ্যাঙ্গুইলা একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।[১১][১২] ১৯৭১ সালে ব্রিটেন অ্যাঙ্গুইলার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নিজের হাতে তুলে নেয় এবং এটি ১৯৮০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যায়।[১১][১০]:১৪৭–১৪৯[২৩] পরে সরকারের মনোযোগ নেভিসের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়। নেভিস রিফরমেশন পার্টি সরকারের সাথে আলাপের মাধ্যমে ছোট দ্বীপটির স্বার্থ রক্ষা করতে চেয়েছিল। অবশেষে তারা সরকারের সাথে এ শর্তে সম্মত হয়েছিল যে দ্বীপটির নিজস্ব প্রিমিয়ার এবং অ্যাসেম্বলি থাকবে। সেই সাথে দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসন বহাল থাকবে। আবার, স্বাধীনতার উপর একটি গণভোটে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে নেভিসের একতরফাভাবে পৃথক হওয়ার সাংবিধানিক অধিকার থাকবে।[২৪][২৫] সেন্ট কিটস এবং নেভিস ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩-এ পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে।[১১][১২] পিএএম-এর কেনেডি সিমন্ডস ১৯৮০ সালে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন।
পরবর্তীতে সেন্ট কিটস এবং নেভিস ব্রিটিশ কমনওয়েলথের অংশ হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা রানী এলিজাবেথকে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মেনে নেয়। বর্তমানে স্থানীয় একজন গভর্নর-জেনারেল রানীর প্রতিনিধিত্ব করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী যুগ
সম্পাদনাকেনেডি সিমন্ডস ১৯৮৪, ১৯৮৯ এবং ১৯৯৩ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তবে এসকেএনএলপি ১৯৯৫ সালে ডেনজিল ডগলাসের অধীনে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।[১১][১২]
নেভিস ফেডারেশনের মধ্যে অনুভূত প্রান্তিকতা ও ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ বাড়ার ফলে ১৯৯৮ সালে সেন্ট কিটস থেকে আলাদা হওয়ার জন্য একটি গণভোট পরিচালিত হয়। গণভোটে ৬২% ভোট বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে যায়, তবে আইনত কার্যকর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব ছিল।[১১][১২][২৬]
১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, হারিকেন জর্জেসের ফলে আনুমানিক $৪৫,৮০,০০,০০০ ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। চিনি শিল্প বছরের পর বছর ধরে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছিল। তারপরও এ শিল্পটি শুধুমাত্র সরকারি ভর্তুকি দ্বারা চলমান ছিল যা ২০০৫ সালে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।[১১][২৭]
২০১৫ সালের সেন্ট কিটস এবং নেভিসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে টিমোথি হ্যারিস এবং তার সম্প্রতি গঠিত পিপলস লেবার পার্টি 'টিম ইউনিটি' ব্যানারের অধীনে পিএএম এবং নেভিস-ভিত্তিক উদ্বিগ্ন নাগরিক আন্দোলনের সমর্থনে জয়ী হয়েছিল।[২৮]
২০২০ সালের জুনে, প্রধানমন্ত্রী টিমোথি হ্যারিসের নেতৃত্বে টিম ইউনিটি জোট সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস লেবার পার্টি (এসকেএনএলপি)কে পরাজিত করে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল।[২৯]
রাজনীতি
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিস একটি সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক এবং ফেডারেল রাষ্ট্র।[৩০] এটি একটি কমনওয়েলথ রাজ্য এবং এতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র চালু রয়েছে।[৩১] সেন্ট ক্রিস্টোফার এবং নেভিসের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রাণীর প্রতিনিধিত্ব করেন একজন গভর্নর-জেনারেল, যিনি প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার পরামর্শে কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী হাউসের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা এবং মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রের বিষয়গুলি পরিচালনা করে।
সেন্ট কিটস এবং নেভিসের একটি এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে, যা জাতীয় পরিষদ নামে পরিচিত। এটি চৌদ্দ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত, যার এগারো জন হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি (নেভিস দ্বীপ থেকে তিন জন) এবং তিন জন সিনেটর যারা গভর্নর জেনারেল দ্বারা নিযুক্ত হন। সিনেটরদের মধ্যে দুজন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এবং একজন বিরোধীদলীয় নেতার পরামর্শে নিয়োগ পান। অন্যান্য দেশের মতো সিনেটররা আলাদা সিনেট বা সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করেন না, তবে প্রতিনিধিদের পাশাপাশি জাতীয় পরিষদে বসেন। সমস্ত সদস্য পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। নেভিসের নিজস্ব আধা-স্বায়ত্তশাসিত আইনকক্ষও রয়েছে।
বিদেশী সম্পর্ক
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসের কোন গুরুতর আন্তর্জাতিক বিরোধ নেই। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি (ক্যারিকম), অর্গানাইজেশন অফ ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান স্টেটস (ওইসিএস) এবং অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) এর পূর্ণ সদস্য।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ সালে ওএএস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।[৩২]
চুক্তি
সম্পাদনাক্যারিকম চুক্তি ১৯৯৪
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসের প্রতিনিধি হিসেবে কেনেডি সিমন্স ১৯৯৪ সালের ৬ জুলাই দ্বৈত ট্যাক্সেশন রিলিফ (ক্যারিকম) চুক্তি স্বাক্ষর করেন।[৩৩]
সাতটি ক্যারিকম দেশের প্রতিনিধিরা শেরবোর্ন কনফারেন্স সেন্টার, সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোজে অনুরূপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।[৩৩] দেশগুলো হলো: অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা, বেলিজ, গ্রানাডা, জ্যামাইকা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।[৩৩] এই চুক্তি কর, বাসস্থান, করের এখতিয়ার, মূলধন লাভ, ব্যবসায়িক লাভ, সুদ, লভ্যাংশ, রয়্যালটি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে বিস্তৃত।
এফএটিসিএ চুক্তি
সম্পাদনা৩০ জুন ২০১৪-এ, সেন্ট কিটস এবং নেভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ফরেন অ্যাকাউন্ট ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স অ্যাক্ট (এফএটিসিএ) সম্পর্কিত একটি মডেল ১ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷[৩৪] ২৮ এপ্রিল ২০১৬-এ চুক্তিটি কার্যকর হয় ।
সামরিক
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসের একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী রয়েছে , যাতে ৩০০ জন কর্মরত রয়েছেন। তারা পুলিশিং এবং মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য কাজ করছেন।
মানবাধিকার
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসে পুরুষ সমকামিতা অবৈধ৷[৩৫] ২০১১ সালে, সেন্ট কিটস এবং নেভিস সরকার বলেছিল যে এটি সম্মতি প্রদানকারী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সমকামিতাকে অপরাধ আখ্যা দেয়া বাতিল করার জন্য জনগণকে কোনো আদেশ দেয়নি।[৩৬]
প্রশাসনিক বিভাগ
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসের ফেডারেশন চৌদ্দটি বিভাগে বিভক্ত । এর মধ্যে সেন্ট কিটসে নয়টি বিভাগ এবং নেভিসে পাঁচটি বিভাগ রয়েছে ।
বিভাগ | রাজধানী | জনসংখ্যা | অঞ্চল (km2) | জনসংখ্যা (প্রতি কিলোমিটারে)2 | দ্বীপ |
---|---|---|---|---|---|
ক্রাইস্ট চার্চ নিকোলা | নিকোলা | ১,৯২২ | ১৮ | ১০৭ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট আন্নে স্যান্ডি | স্যান্ডি পয়েন্ট | ২,৬২৬ | ১৩ | ২০২ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট জর্জ বাসেতেরে | বাসেতেরে | ১২,৬৩৫ | ২৯ | ৪৩৬ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট জন ক্যাপিস্টেরে | ডিয়েপ্পে বে | ২,৯৬২ | ২৫ | ১১৮ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট মেরি কেয়ন | কেয়ন | ৩,৪৫৩ | ১৫ | ২২৯ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট পল ক্যাপিস্টেরে | সেন্ট পল ক্যাপিস্টেরে | ২,৪৩২ | ১৪ | ১৭৪ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট পিটার বাসেতেরে | মাংকি হিল | ৪,৬৭০ | ২১ | ২২২ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট থমাস মিডল আইল্যান্ড | মিডল আইল্যান্ড | ২,৫৩৫ | ২৫ | ১০১.৪ | সেন্ট কিটস |
ট্রিনিটি পালমেতো | ট্রিনিটি | ১,৭০১ | ১৬ | ১০৬ | সেন্ট কিটস |
সেন্ট জর্জ জিঞ্জারল্যান্ড | মার্কেট সপ | ২,৪৯৬ | ১৮ | ১৩৯ | নেভিস |
সেন্ট জেমস উইন্ডওয়ার্ড | নিউক্যাসেল | ২,০৩৮ | ৩২ | ৬৪ | নেভিস |
সেন্ট জন ফিগট্রি | ফিগট্রি | ৩,৮২৭ | ২২ | ১৭৪ | নেভিস |
চার্লসটাউন | চার্লসটাউন | ১,৮৪৭ | ৪ | ৪৬২ | নেভিস |
সেন্ট থমাস লোল্যান্ড | কটন গ্রাউন্ড | ২,০৬৯ | ১৮ | ১১৫ | নেভিস |
ভূগোল
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এন্ড নেভিস দুটি প্রধান দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এটি ২ মাইল (৩ কিলোমিটার) দূরে দ্য ন্যারোস স্ট্রেইট রেখা দ্বারা বিভক্ত।[১১] উভয় দ্বীপই আগ্নেয়গিরি হতে উৎপন্ন। দ্বীপসমূহের বড় কেন্দ্রীয় চূড়াগুলি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইনফরেস্টে আচ্ছাদিত।[১] দেশটির জনসংখ্যার অধিকাংশই উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে।[১] সেন্ট কিটস এর কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি পর্বতশ্রেণী (উত্তর পশ্চিম রেঞ্জ, কেন্দ্রীয় রেঞ্জ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রেঞ্জ) রয়েছে, যেখানে দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, মাউন্ট লিয়ামুইগা ১,১৫৬ মিটার (৩,৭৯৩ ফুট) অবস্থিত।[১১] দ্বীপটির পূর্ব উপকূল বরাবর কানাডা পাহাড় এবং কোনারি পাহাড় অবস্থিত। ভূমিটি দক্ষিণ-পূর্বে যথেষ্ট সরু হয়ে গেছে। এটি একটি অনেক চ্যাপ্টা উপদ্বীপ তৈরি করেছে। সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের সবচেয়ে বড় জলাধার গ্রেট সল্ট পুকুর এখানে অবস্থিত। উভয় দ্বীপের পাহাড় থেকে নেমে আসা অসংখ্য নদী রয়েছে, যা স্থানীয় জনগণকে মিষ্টি পানি সরবরাহ করে। নেভিস দুটি প্রধান দ্বীপের মধ্যে ছোট এবং আকৃতিতে মোটামুটি বৃত্তাকার। নেভিসের সর্বোচ্চ চূড়া নেভিস পিকের উচ্চতা ৯৮৫ মিটার (৩,২৩২ ফুট)।[১]
সেন্ট কিটস এবং নেভিসে দুটি স্থল পরিবেশ রয়েছে: লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের আর্দ্র বন এবং লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের শুষ্ক বন।[৩৭] দেশটি ২০১৯ ফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ ইন্টিগ্রিটি ইনডেক্স মানে ৪.৫৫/১০ স্কোর পেয়েছিল। এটি ১৭২টি দেশের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১২১তম স্থানে রয়েছে।[৩৮]
প্রাণীজগত
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের জাতীয় পাখি হল বাদামী পেলিকান।[৩৯] এখানে ১৭৬ প্রজাতির পাখি রয়েছে।[৪০]
জলবায়ু
সম্পাদনাকোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিভাগ অনুসারে, সেন্ট কিটস এর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু (কোপেন আউ) এবং নেভিসের একটি ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু রয়েছে (কোপেন আম)।[৪১] বাসেতেরে-এ গড় মাসিক তাপমাত্রা ২৩.৯°সে (৭৫°ফা) থেকে ২৬.৬°সে (৭৯.৯°ফা) পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ২,৪০০ মিলিমিটার (৯০ ইঞ্চি), যদিও এটি ১৯০১-২০১৫ সময়কালে ১,৩৫৬ মিলিমিটার (৫৩.৪ ইঞ্চি) থেকে ৩,১৮৩ মিলিমিটার (১২৫.৩ ইঞ্চি) পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়েছে।
জনসংখ্যা
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসের জনসংখ্যা প্রায় ৫৩,০০০ (জুলাই ২০১৯ এর অনুমান সাপেক্ষে)[১] এবং অনেক বছর ধরে তুলনামূলকভাবে স্থির রয়েছে।[১১] ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এখানে ৪২,৬০০ জন বাসিন্দা ছিল। তবে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সংখ্যাটি ধীরে ধীরে ৫০,০০০-এর কিছু বেশি হয়ে যায়।[৪৪] ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে, জনসংখ্যা ৫০,০০০ থেকে ৪০,০০০-এ নেমে এসেছিল যা আবার পরে বৃদ্ধি পায়। সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সেন্ট কিটসে বাস করে, যার ১৫,৫০০ জন রাজধানী বাসেটারেতে বাস করে। অন্যান্য বৃহৎ বসতিগুলির মধ্যে রয়েছে কেয়ন (জনসংখ্যা ৩,০০০) এবং স্যান্ডি পয়েন্ট শহর (৩,০০০)। উভয়ই সেন্ট কিটসে অবস্থিত। নেভিসে বৃহত্তম জনসংখ্যার দ্বীপ হলো জিঞ্জারল্যান্ড (২,৫০০) এবং চার্লসটাউন (১,৯০০)।
জাতিগত গোষ্ঠী
সম্পাদনা২০০১ সালের অনুমান অনুসারে সেন্ট কিটস ও নেভিসের জনসংখ্যা প্রাথমিকভাবে আফ্রো-ক্যারিবিয়ান (৯২.৫%), ইউরোপীয় (২.১%), ভারতীয় বংশোদ্ভূত(১.৫%) ও অন্যান্য (৩.৯%)।[১]
দেশত্যাগ
সম্পাদনা২০১৮ সালের হিসাবে, সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসে ৫২,৪৪১ আবাসিক লোকের বসবাস ছিল। সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের গড় আয়ু ৭৬.৯ বছর। ঐতিহাসিকভাবে, সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের অধিবাসীদের নিজ দেশত্যাগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি হওয়া সত্ত্বেও ২০০৭ সালে মোট আনুমানিক জনসংখ্যা ১৯৬১ সালের তুলনায় সামান্য পরিবর্তিত হয়েছিল।[৪৫]
সেন্ট কিটস এবং নেভিস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন:[৩৯]
১৯৮০-১৯৯০: ৩,৫১৩
১৯৯১-১৯৯৫: ২,৭৩০
১৯৯৬-২০০০: ২,১০১
২০০১-২০০৫: ১,৭৫৬
২০০৬-২০১০: ১,৮১৭
ধর্ম
সম্পাদনাঅধিকাংশ অধিবাসী (৮২%) হল খ্রিস্টান। তারা প্রধানত অ্যাংলিকান এবং অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
হিন্দুধর্ম হল বৃহত্তম অ-খ্রিস্টান ধর্ম। জনসংখ্যার ১.৮২% এ ধর্ম অনুসরণ করে।[৪২]
সংস্কৃতি
সম্পাদনাভাষা
সম্পাদনাইংরেজি একমাত্র সরকারি ভাষা। তবে সেন্ট কিটস অঞ্চলে ক্রেওল ভাষার ব্যবহার লক্ষণীয়।
সঙ্গীত এবং উৎসব
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিস কার্নিভাল (একটি উৎসব, যা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি সেন্ট কিটসে অনুষ্ঠিত হয়) সহ বেশ কয়েকটি উৎসব সঙ্গীত উদযাপনের জন্য পরিচিত। জুনের শেষ সপ্তাহে সেন্ট কিটসে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নেভিসে সপ্তাহব্যাপী কালচারামা জুলাইয়ের শেষ থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত চলে।[৪৬]
সেন্ট কিটস দ্বীপে অনুষ্ঠিত অন্যান্য উৎসবগুলির মধ্যে রয়েছে ইনার সিটি ফেস্ট, যা ফেব্রুয়ারি মাসে মোলিনাক্সে অনুষ্ঠিত হয়। গ্রিন ভ্যালি ফেস্টিভ্যাল সাধারণত কেয়ন গ্রামে হুইট সোমবারের কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। স্যান্ডি পয়েন্ট গ্রামে ইস্টারের কাছাকাছি সময়ে ইস্টারমা উৎসব উদযাপিত হয়। জুলাই বা আগস্ট মাসে ট্যাবারনেকল গ্রামে ফেস্ট-ট্যাব উৎসব হয়। ক্যাপিস্টেরে অঞ্চলে সেন্ট কিটস এবং নেভিসের (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে লা ফেস্টিভ্যাল ডি ক্যাপিস্টেরে উদযাপিত হয়। এই উদযাপনগুলিতে সাধারণত প্যারেড, রাস্তার নাচ এবং সালসা, জ্যাজ, সোকা, ক্যালিপসো এবং স্টিলপ্যান মিউজিক দেখা যায়।
১৯৮৫ সালের ছবি মিসিং ইন অ্যাকশন ২: দ্য বিগিনিং সেন্ট কিটসে চিত্রায়িত হয়েছিল।[৪৭]
খেলাধুলা
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসে ক্রিকেট তুমুল জনপ্রিয় খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের জন্য সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস থেকেও সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়। প্রয়াত রুনাকো মর্টন ছিলেন নেভিস থেকে আগত খেলোয়াড়। সেন্ট কিটস এবং নেভিস সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করে।[৪৮]
সেন্ট কিটস এবং নেভিসে রাগবি এবং নেটবল খেলার প্রচলন দেখা যায়।
সেন্ট কিটস এবং নেভিস জাতীয় ফুটবল দল "সুগার বয়েজ" নামেও পরিচিত। তারা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কিছু আন্তর্জাতিক সাফল্যের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। তারা কনকাকাফ অঞ্চলে ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতার সেমিফাইনাল রাউন্ডে অগ্রসর হয়েছিল৷ গ্লেন্স গ্লাসগোর নেতৃত্বে, তারা মেক্সিকো, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কাছে পরাজিত হওয়ার আগে ইউএস ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ও বার্বাডোসকে পরাজিত করেছিল। দেশের প্রতিনিধিত্ব না করলেও, মার্কাস র্যাসফোর্ড সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস বংশোদ্ভূত একজন ইংরেজ খেলোয়াড়।
সেন্ট কিটস এবং নেভিস বিলিয়ার্ড ফেডারেশন (এসকেএনবিএফ) হল দুটি দ্বীপ জুড়ে গঠিত কিউ স্পোর্টসের পরিচালনা পর্ষদ। এসকেএনবিএফ ক্যারিবিয়ান বিলিয়ার্ডস ইউনিয়নের (সিবিইউ) সদস্য। এসকেএনবিএফ প্রেসিডেন্ট স্টে উইলিয়ামস সিবিইউ ভাইস-প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত।
কিম কলিন্স হলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেট৷ তিনি অ্যাথলেটিক্স এবং কমনওয়েলথ গেমস উভয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছেন এবং ২০০০ সিডনি অলিম্পিকে তিনি দেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি অলিম্পিক ফাইনালে পৌঁছেছেন। বেইজিং-এ ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তিনি এবং অন্য তিনজন ক্রীড়াবিদ সেন্ট কিটস এবং নেভিসের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। চার বাই একশ মিটার রিলে দল ২০১১ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।[৪৯] তিনি জেসন রজার্স, অ্যান্টোইন অ্যাডামস এবং ব্রিজেশ লরেন্স কলিন্সের সাথে অন্য তিনটি রিলে লেগ দৌড়েছিলেন।
আমেরিকান লেখক এবং প্রাক্তন ফিগার স্কেটার এবং ট্রায়াথলিট ক্যাথরিন বার্টিনকে ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সেন্ট কিটস এবং নেভিসকে মহিলাদের সাইক্লিংয়ে প্রতিনিধিত্ব করার প্রয়াসে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার গল্পটি ইএসপিএন.কম-এ "তুমি কি অলিম্পিয়ান হতে চাও?" শিরোনামে অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি শেষ পর্যন্ত অলিম্পিক যোগ্যতার জন্য প্রয়োজনীয় পয়েন্ট অর্জন করতে ব্যর্থ হন।[৫০]
সেন্ট কিটস এবং নেভিসের পক্ষে ২০১০ ইউসিআই রোড ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে টাইম ট্রায়ালে দুইজন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন: রেজিনাল্ড ডগলাস এবং জেমস উইকস।[৫১]
অর্থনীতি
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিস একটি দ্বীপ ফেডারেশন হওয়ায় এর অর্থনীতিতে পর্যটন, কৃষি এবং হালকা উৎপাদন শিল্প প্রভৃতি খাত বড় ভূমিকা রাখে।[১] ১৯৪০ সাল থেকে চিনি ছিল সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত। তবে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ, কম বিশ্ববাজারের দামের ফলে এ শিল্প বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন। তাই চিনি শিল্পের উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য সরকারের প্রচেষ্টার ফলে কৃষি খাত ক্রমান্বয়ে দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক খাতে রূপান্তরিত হয়। ২০০৫ সালে, সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিনি কোম্পানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কেননা এটি বছরের পর বছর লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছিল এবং রাজস্ব ঘাটতির জন্য ব্যাপকভাবে দায়ী ছিল।[১][১১]
সেন্ট কিটস এবং নেভিসের অর্থনীতি পর্যটন খাতের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।[১][১১] পর্যটন একটি অর্থনৈতিক খাত হিসেবে ১৯৭০ এর দশক থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়েছে। ২০০৯ সালে সেন্ট কিটসে ৫,৮৭,৪৭৯ জন দর্শনার্থী আগমন করেছিলেন। ২০০৭ সালে ৩,৭৯,৪৭৩ এর তুলনায় দুই বছরের মধ্যে বৈদেশিক আগমন ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের সময় পর্যটন খাত কমেছে এবং সম্প্রতি আগের স্তরে ফিরে এসেছে।[১] সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকার কৃষি, পর্যটন, রপ্তানিমুখী উৎপাদন এবং অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করেছে।[১]
জুলাই ২০১৫-এ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস এবং রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড "তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচার" করার জন্য একটি কর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ এই চুক্তিটি গ্লোবাল ফোরাম ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ অফ ইনফরমেশন দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, যেটিতে ওইসিডি সদস্য দেশ এবং ক্যারিবিয়ান এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশের ১১টি অন্যান্য দেশের প্রতিনিধি রয়েছে।[৫২]
পরিবহন
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসের দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। সবচেয়ে বড়টি হল সেন্ট কিটস দ্বীপের রবার্ট এল. ব্র্যাডশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যা ক্যারিবিয়ান, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের বাইরে পরিষেবা প্রদান করে। অন্য একটি বিমানবন্দর ভ্যান্স ডব্লিউ অ্যামোরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা নেভিস দ্বীপে অবস্থিত।
সেন্ট কিটস সিনিক রেলওয়ে হল লেসার অ্যান্টিলেসের চলমান রেলপথ।
বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক নাগরিকত্ব
সম্পাদনাসেন্ট কিটস বিনিয়োগ-দ্বারা-নাগরিকত্ব নামে একটি সরকারি স্পনসরকৃত বিনিয়োগ কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশিদের সেন্ট কিটস নাগরিকের মর্যাদা পেতে দেয়।[১][৫৩] ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের নাগরিকত্ব প্রোগ্রাম হল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো প্রচলিত অর্থনৈতিক নাগরিকত্ব কর্মসূচি। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম নাগরিকত্ব প্রোগ্রাম হলেও এটি ২০০৬ সালে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করে যখন হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস নামক একটি বিশ্বব্যাপী নাগরিকত্ব উপদেষ্টা সংস্থা দেশের চিনি শিল্পে অনুদান অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রোগ্রামটির পুনর্গঠনে জড়িত হয়।[৫৪]
দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং কর ফাঁকির ঝুঁকির কারণে কিছু গবেষকদের দ্বারা বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব কর্মসূচির সমালোচনা করা হয়েছে।[৫৫] সেন্ট কিটসের বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রোগ্রামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে তারা নাগরিকত্ব প্রদান করার মাধ্যমে একাধিক সুবিধা দিয়ে থাকেন। সেন্ট কিটসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখিত আছে: " যখন আপনি সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নাগরিকত্ব প্রোগ্রামের অধীনে নাগরিকত্ব অর্জন করেন, তখন আপনি এবং আপনার পরিবার জীবনের জন্য পূর্ণ নাগরিকত্ব উপভোগ করেন। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের নাগরিক হিসেবে, আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসের পাসপোর্ট দেওয়া হয় যা সমস্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিশ্বব্যাপী ১৪০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেয়। অবশ্যই আপনার সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসে বাসস্থান গ্রহণের অধিকার বজায় থাকবে, সেই সাথে ক্যারিকম সদস্যদের অধিকাংশ দেশে যে কোন সময় এবং যেকোন সময় দৈর্ঘ্যের জন্য আপনার বসবাসের অধিকার থাকবে"।[৫৬]
প্রতিটি প্রার্থীকে অবশ্যই বেশ কিছু আইনি পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, একটি বৃহৎ বিনিয়োগ করতে হয় এবং বিনিয়োগ কর্মসূচির অধীনে নাগরিকত্বের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য কিছু আইনি প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। সেন্ট কিটস এবং নেভিসের অর্থনৈতিক নাগরিকত্বের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য আবেদনকারীকে একটি অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট বা সুগার ইন্ডাস্ট্রি ডাইভারসিফিকেশন ফাউন্ডেশন (একটি পাবলিক দাতব্য সংস্থা) তে ন্যূনতম বিনিয়োগ করতে হবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][৫৭]
হেনলি অ্যান্ড পার্টনারসের মতে, প্রয়োজনীয়তাগুলি নিম্নরূপ[৫৮][৫৯]:
- ন্যূনতম US$৪,০০,০০ মূল্যের মনোনীত রিয়েল এস্টেটে একটি বিনিয়োগ করতে হবে। এছাড়াও সরকারি ফি এবং অন্যান্য ফি এবং ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।
- সুগার ইন্ডাস্ট্রি ডাইভারসিফিকেশন ফান্ডে কমপক্ষে US$২৫০,০০০ অর্থমূল্যের অবদান রাখতে হবে (আনুষাঙ্গিক ফিস সহ)।
ইম্পেরিয়াল অ্যান্ড লিগ্যাল অনুসারে, ১ এপ্রিল ২০১৮ থেকে সেন্ট কিটস এবং নেভিস সরকার একটি নতুন বিনিয়োগ বিকল্প প্রয়োগ করেছে – টেকসই বৃদ্ধি তহবিলে অবদান (এসজিএফ)। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের নাগরিকত্বের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য, যে সমস্ত আবেদনকারীরা এসজিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন তাদের $১,৫০,০০০ (আনুষাঙ্গিক ফিস সহ) অ-ফেরতযোগ্য অবদান রাখতে হবে।[৬০]
শিক্ষা
সম্পাদনাসেন্ট কিটস এবং নেভিসে আটটি সরকারিভাবে পরিচালিত উচ্চ ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে শিক্ষা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।[১১]
পরিবহন
সম্পাদনাদেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী রবার্ট লেভেললিন ব্রাডশ এর নামাঙ্কিত বাসেটেরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ব্রাডশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলো দেশটির প্রধান বিমানবন্দর। লন্ডনের মাধ্যমে দেশটি বিশ্বের অন্যান্য শহরের সাথে যুক্ত রয়েছে।
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাআরও পড়ুন
সম্পাদনা- Cobley, Alan Gregor; Department, University of the West Indies (Cave Hill, Barbados). History (১৯৯৪)। Crossroads of Empire: The European-Caribbean Connection, 1492–1992। Department of History, University of the West Indies। আইএসবিএন 978-976-621-031-1।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;cia.gov
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Religions in St Kitts And Nevis | PEW-GRF"। www.globalreligiousfutures.org। ২৫ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ""World Population prospects – Population division""। population.un.org। United Nations Department of Economic and Social Affairs, Population Division। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ ""Overall total population" – World Population Prospects: The 2019 Revision" (xslx)। population.un.org (custom data acquired via website)। United Nations Department of Economic and Social Affairs, Population Division। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ ক খ "Report for Selected Countries and Subjects"। www.imf.org।
- ↑ Human Development Report 2020 The Next Frontier: Human Development and the Anthropocene (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ১৫ ডিসেম্বর ২০২০। পৃষ্ঠা 343–346। আইএসবিএন 978-92-1-126442-5। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ Saunders, Nicholas J. (২০০৫)। Peoples of the Caribbean : an encyclopedia of archeology and traditional culture। Santa Barbara, Calif.: ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 260–261। আইএসবিএন 1576077012। ওসিএলসি 62090786।
- ↑ "Our Lady of the Snow"। ক্যাথলিক বিশ্বকোষ। নিউ ইয়র্ক: রবার্ট অ্যাপলটন কোম্পানি। ১৯৯৩।
- ↑ See for example Nevis Heritage excavation reports, 2000–2002 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুলাই ২০০৬ তারিখে, Department of Archaeology, University of Southampton. Retrieved 8 August 2006.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Hubbard, Vincent (২০০২)। A History of St. Kitts । Macmillan Caribbean। আইএসবিএন 9780333747605।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;britannica.com
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Commonwealth – History of St Kitts and Nevis"। ২১ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Cobley, 1994, p. 28.
- ↑ Cobley, 1994, p. 27.
- ↑ Jonnard, Claude M. (২০১০)। Islands in the Wind: The Political Economy of the English East Caribbean.। Bloomington, IN: iUniverse। পৃষ্ঠা number not available।
- ↑ Du Tertre, Jean-Baptiste। Histoire générale des Antilles habitées par les François, 2 vols. Paris: Jolly, 1667, I:5–6।
- ↑ "Treaty between Great Britain and Spain for the settlement of all disputes in America"। The National Archives। gov.uk।
- ↑ ক খ Hubbard, Vincent (২০০২)। Swords, Ships & Sugar। Corvallis: Premiere Editions International, Inc.। আইএসবিএন 9781891519055।
- ↑ "St Kitts History"। Beyondships Cruise Destinations।
- ↑ Chernow, Ron (২০০৪)। Alexander Hamilton। New York: Penguin Press। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 1-59420-009-2। ওসিএলসি 53083988।
- ↑ Paravisini-Gebert, p.104
- ↑ Appiah, Kwame Anthony; Jr, Henry Louis Gates (২০০৫)। "Bradshaw, Robert Llewellyn"। Africana: The Encyclopedia of the African and African American Experience। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 606। আইএসবিএন 978-0-19-517055-9।
- ↑ Minahan, James (২০১৩)। The Complete Guide to National Symbols and Emblems। পৃষ্ঠা 656–657। আইএসবিএন 9780313344978।
- ↑ See section 3 and 4 about Nevis Island Legislature and Administration in The Saint Christopher and Nevis Constitution Order 1983. Published online by Georgetown University and also by University of the West Indies. Retrieved 8 August 2006.
- ↑ Nevis (St Kitts and Nevis), 18 August 1977: Separation from St Kitts Direct Democracy (জার্মান ভাষায়)
- ↑ "Nevis islanders apparently vote not to break away"। Milwaukee Journal Sentinel। Associated Press। ১১ আগস্ট ১৯৯৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Caribbean, Dominican Republic, Haiti - Hurricane Georges Fact Sheet #6 - Antigua and Barbuda"। ReliefWeb (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ Team Unity wins St Kitts and Nevis 2015 general election ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে Caribbean Elections, 17 February 2015
- ↑ Reporter, WIC News (৬ জুন ২০২০)। "Election 2020 - Landslide victory for Team Unity in St Kitts and Nevis"। WIC News।
- ↑ "Art. 1, Federation of Saint Kitts and Nevis Constitutional Order of 1983"। Pdba.georgetown.edu। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Commonwealth and Overseas"। The Royal Family। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ OAS (১ আগস্ট ২০০৯)। "OAS – Organization of American States: Democracy for peace, security, and development"। Oas.org। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "Legal Supplement Part B – Vol. 33, No. 273 – 28th December, 1994 : LEGAL NOTICE NO. 232 : REPUBLIC OF TRINIDAD AND TOBAGO THE INCOME TAX ACT, CHAP. 75:01 : ORDER MADE BY THE PRESIDENT UNDER SECTION 93(1) OF THE INCOME TAX ACT : THE DOUBLE TAXATION RELIEF (CARICOM) ORDER, 1994" (পিডিএফ)। Ird.gov.tt। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Foreign Account Tax Compliance Act (FATCA)"। Treasury.gov। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Avery, Daniel (৪ এপ্রিল ২০১৯)। "71 Countries Where Homosexuality is Illegal"। Newsweek।
- ↑ "St. Kitts and Nevis has no mandate to repeal homosexuality laws"। ১৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Dinerstein, Eric; ও অন্যান্য (২০১৭)। "An Ecoregion-Based Approach to Protecting Half the Terrestrial Realm"। BioScience। 67 (6): 534–545। আইএসএসএন 0006-3568। ডিওআই:10.1093/biosci/bix014 । পিএমআইডি 28608869। পিএমসি 5451287 ।
- ↑ Grantham, H. S.; ও অন্যান্য (২০২০)। "Anthropogenic modification of forests means only 40% of remaining forests have high ecosystem integrity - Supplementary Material"। Nature Communications। 11 (1): 5978। আইএসএসএন 2041-1723। ডিওআই:10.1038/s41467-020-19493-3 । পিএমআইডি 33293507
|pmid=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। পিএমসি 7723057|pmc=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। - ↑ ক খ "Homepage"। Uscis.gov। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Denis Lepage (৯ জানুয়ারি ২০১৩)। "Avibase – Bird Checklists of the World Saint Kitts"। Avibase। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Climate of Saint Kitts and Nevis: Temperature, Climograph, Climate table for Saint Kitts and Nevis – Climate-Data.org"। Climate-data.org। Alexander Merkel। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ "Population by Religious Belief, 2011"। Department of Statistics, Ministry of Sustainable Development। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২১।
- ↑ "CARICOM CAPACITY DEVELOPMENT PROGRAMME (CCDP) : 2000 ROUND OF POPULATION AND HOUSING CENSUS SUB-PROJECT NATIONAL CENSUS REPORT : ST. KITTS AND NEVIS" (পিডিএফ)। Caricomstats.org। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Data on St. Kitts and Nevis | Reconstructing Global Inequality"। clio-infra.eu। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৬।
- ↑ "Table 5: Estimates of Mid-year Population: 2007–2016" (পিডিএফ)। United Nations Demographic Yearbook: 2016। United Nations। ২০১৭। পৃষ্ঠা 2।
- ↑ Cameron, pg.502
- ↑ "Missing in Action 2-The Beginning Review"। Movies.tvguide.com। ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "St Kitts ramps up to host ICC Cricket World Cup in 2007"। Caribbean.com। ২২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Bronze medalists of Saint Kitts and Nevis team Jason Rogers, Kim Collins, Antoine Adams and Brijesh Lawrence (L to R) react on the podium during the award ceremony for the men's 4x100 metres relay at the"। sknvibes। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "E-ticket: So You Wanna Be An Olympian, Part 13"। ESPN.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Rob Jones (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "UCI Road World Championships 2010: Elite Men Results - Cyclingnews.com"। Cyclingnews.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "St.Kitts-Nevis and the Republic of Ireland sign Tax Agreement"। Ntltrust.com। ৩১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Citizenship-by-Investment Introduction"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৩।
- ↑ Abrahamian, Atossa Araxia (২০১৫)। The Cosmopolites: The Coming of the Global Citizen। Columbia Global Reports। আইএসবিএন 978-0-9909763-6-3।
- ↑ Shachar, Ayelet (২০১৭)। Citizenship for Sale? In: The Oxford Handbook of Citizenship। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 789–816। এসটুসিআইডি 168914434। ডিওআই:10.1093/oxfordhb/9780198805854.013.34।
- ↑ "Saint Christopher & Nevis Citizen by Investment Regulations" (পিডিএফ)। Ciu.gov.kn। ১৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৩।
- ↑ "Investment Options | Government of St. Kitts & Nevis - Citizenship By Investment Program" (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জানুয়ারি ২০১৭। ১৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৫।
- ↑ Kalin, Christian H. (২০১৫)। Global Residence and Citizenship Handbook। Ideos Publications। আইএসবিএন 978-0992781859।
- ↑ "Citizenship Investment in St. Kitts and Nevis - Henley & Partners"। Henleyglobal.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "St Kitts & Nevis citizenship and passport by investment"। Imperial & Legal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৯।