হাবিব রহমান (স্থপতি)
হাবিব রহমান | |
---|---|
हबीब उर रहमान | |
জন্ম | ১৯১৫ |
মৃত্যু | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৫ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | স্থপতি |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইন্দ্রানী রহমান |
সন্তান | রাম রহমান (পুত্র) সুকন্যা রহমান (কন্যা) |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (১৯৫৫) পদ্মভূষণ (১৯৭৪) |
হাবিব রহমান (১৯১৫- ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৫) একজন ভারতীয় স্থপতি ছিলেন, তিনি দিল্লির চিড়িয়াখানা, গান্ধীঘাট, রবীন্দ্রভবন নির্মাণের কাজে যুক্ত ছিলেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]হাবিব রহমান ১৯৩৯ সালে কলকাতায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ডিগ্রী পেয়েছিলেন। তিনি এম আই টিতে পড়াশোনা করেছিলেন, এবং ১৯৪৪ সালে স্থপতি বিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন (প্রথম ভারতীয় যিনি এই কার্যক্রম শেষ করেছিলেন[১])। তিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত বস্টনের লরেন্স বি.অ্যানডারসন, উইলিয়াম ওয়াস্টার ওয়ালটার গ্রোপিয়াস, এবং অ্যালি জ্যাক খান আর্কিটেকচার সংস্থায় কাজ করেছিলেন।.[২]
হাবিব রহমান কলকাতা ফিরেছিলেন ১৯৪৬ কলকাতা দাঙ্গার সময় এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন ঊধ্বতন স্থপতি ছিলেন। ১৯৫৩ সালের প্রারম্ভে নয়া দিল্লিতে হাবিব রহমান কেন্দ্রীয় পূ্র্ত দপ্তরের একজন ঊধ্বতন স্থপতি ছিলেন (এবং ১৯৭০ সালে প্রধান স্থপতি হয়েছিলেন।[১])।[২]
তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত দিল্লি নগরকলা বিভাগের সম্পাদক ছিলেন। [২] ১৯৭৭ সালে তিনি কিছু পরিকল্পনা যেমন দ্বিতীয় কনট প্লেস, নতুন দিল্লি ভবন বানানোর বিরোধিতা করেছিলেন, সেইজন্য তিনি চুক্তিটি হারিয়েছিলেন।[১]
অবদান
[সম্পাদনা]সাল ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ র মধ্যে জওহরলাল নেহ্রু সরকার ভারতের স্বাধীনতা উপলক্ষেে কিছু সরকারী ভবন নির্মানের জন্য,হাবিব রহমান সহ কতিপয় স্থপতিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি ১৯৪৯ সালে গান্ধীঘাট ব্যারাকপুর, নতুন সচিবালয় কলকাতা (যেটা ১৯৫৪ তে সমাপ্ত হয়েছিল), ১৯৫৪ তে ডাকভবন,[১] রবীন্দ্রভবন ১৯৬১ সালে (অথবা ১৯৬৩[১]),[২] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৬২ সালে দিল্লিতে (যেটা জুলাই ২০১৯ ধ্বংস হয়েছিল), ১৯৭৩ সালে সর্দার প্যাটেল ভবন (ডাকভবনের বিপরীতে)এই সবগুলির নক্সা করেছিলেন। [১] তিনি জাতীয় চিড়িয়াখানার নক্সাও করেছিলেন এবং সেটা ১৯৫৯ সালে উদঘাটিত হয়েছিল (যেখানে অনেক ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেয বর্তমান,এবং সহস্রাধিক পশুপ্রজাতি বিদ্যমান)। [১]
তিনি আবুল কালাম আজাদ, জাকির হুসেইন (রাজনীতিবিদ) এবং ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ স্মৃতিসৌধও নির্মান করেছিলেন। [১]
হাবিব রহমানের স্থপতি নবীন স্বাধীন ভারতের আধুনিক চিন্তাধারার প্রতিফলন। [১]
গ্রন্থপঞ্জী
[সম্পাদনা]- এস এম আখতার, হাবিব রহমান, দ্য আর্কিটেক্ট অফ ইনডিপেনডেন্ট ইনডিয়া, ২০১৬ (আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩৮৩৪১৯৩৪০)
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ১৯৫৫: পদ্মশ্রী[২]
- ১৯৭৪: পদ্মভূষণ[২]
- ১৯৯৫: জে কে সিমেন্ট আর্কিটেক্ট অফ দ্য ইয়ার চেয়ারম্যান্স অ্য়াওয়ার্ড ফর লাইফ অ্যাচিভমেন্ট [২]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]তিনি একজন ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, ইন্দ্রানী রহমানকে বিবাহ করেছিলেন। [২]