কম্পটন-মিলার পদক
কম্পটন-মিলার পদক ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পরিবর্তে প্রবর্তিত পুরস্কার। ইসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে অ্যাশেজ সিরিজের জন্য দুই মহান ক্রিকেটার - বিখ্যাত ইংরেজ ব্যাটসম্যান ডেনিস কম্পটন ও অস্ট্রেলিয়ার সেরা অল-রাউন্ডার কিথ মিলারের সাথে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং প্রতিপক্ষের ভূমিকাকে মর্যাদা দিতেই এ নামকরণ করে।[১] ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ডেভিড কোলিয়ারের মতে, ডেনিস কম্পটন যুদ্ধ-পরবর্তীকালে আদর্শ হয়ে রয়েছেন। তিনি জীবনের প্রতি ভালোবাসা ও প্রাণোচ্ছল জীবনে পরিপূর্ণ ছিলেন। তিনি তাঁর ধ্যান-ধারণা কিথ মিলারের সাথে ভাগাভাগি করতেন। তারা কেবলমাত্র চীরপ্রতিদ্বন্দ্বীই ছিলেন না, বরং ভালো বন্ধুও ছিলেন।
নতুন এ পদকটি ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবার পূর্ব মুহুর্তে ঘোষিত হয়। কিথ মিলারের বিধবা পত্নী ম্যারি চালম্যান এবং কম্পটনের সন্তান রিচার্ড কম্পটন এ পুরস্কারের নামকরণের জন্য আমন্ত্রিত হন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাইকেল ভন এবং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রিকি পন্টিং এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার প্রাপক
[সম্পাদনা]- ২০০৫: অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ,[২] ইংল্যান্ডের অল-রাউন্ডার। এক সেঞ্চুরিসহ ৪০২ রান করেন ৪০.২০ রান গড়ে। পাশাপাশি উইকেট প্রতি ২৭.২৯ রান গড়ে একবার পাঁচ উইকেট লাভসহ ২৪ উইকেট সংগ্রহ করেন। এছাড়াও তিনি দুইবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
- ২০০৬-০৭: রিকি পন্টিং,[২] মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ৮২.২৮ রান গড়ে ৫৭৬ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, দুইবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করেন।
- ২০০৯: অ্যান্ড্রু স্ট্রস,[৩] ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক। তিনি এক সেঞ্চুরিসহ ৫২.৬৬ রান গড়ে ৪৭৪ রান সংগ্রহ করেন।
- ২০১০-১১: অ্যালাস্টেয়ার কুক,[৪] ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। দুইবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জয়ী কুক ১২৭.৬৬ রান গড়ে ৭৬৬ রান তোলেন।
- ২০১৩: ইয়ান বেল,[৫] ইংল্যান্ডের মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান। ৬২.৪৪ রান গড়ে ৫৬২ রান সংগ্রহ করেন।
- ২০১৩-১৪: মিচেল জনসন, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফাস্ট বোলার। উইকেট প্রতি ১৩.৯৭ রান প্রদান করে ৩৭ উইকেট লাভ করেন। সিরিজে তিনবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারের মর্যাদা পান তিনি।
- ২০১৫: জো রুট, ইংল্যান্ডের মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান। দুই সেঞ্চুরিসহ ৫৭.৫০ গড়ে ৪৬০ রান তোলেন। একটি টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।[৬]
- ২০১৭-১৮: স্টিভ স্মিথ, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক। দুই শতক ও একটি দ্বি-শতকসহ ১৩৭.৪০ গড়ে ৬৮৭ রান তুলেন। দুইবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৭]
- ২০১৯: স্টিভ স্মিথ, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান। দুই শতক ও একটি দ্বি-শতকসহ ১১০.৫৭ গড়ে ৭৭৪রান তুলেন। দুইবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Compton-Miller medal is born"। Channel 4। ২০ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০০৭।
- ↑ ক খ "Compton Miller Medal up for grabs again in 2009"। Yorkshire CCC। ২০১৩-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-৩০।
- ↑ "The Ashes: how the England players fared"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-৩০।
- ↑ "The Ashes: presentation ceremony descends into farce as organisers forget Alastair Cook's medal"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-৩০।
- ↑ "England's Andy Flower defends his captain but keeps mum on own future"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-৩০।
- ↑ August 2015, John Pennington Thursday 27। "Joe Root, Compton-Miller medal winner"। Cricket World। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Smith wins Compton-Miller Medal"। cricket.com.au (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Australia lift Ashes after drawn series"। cricket.com.au (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- কম্পটন-মিলার পদকের উৎপত্তি (ইংরেজি)