বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীর তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীসমূহ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আন্তঃসীমান্ত নদী হল এমন ধরনের নদী যা অন্তত এক বা একাধিক দেশের রাজনৈতিক সীমান্ত অতিক্রম করে।[] বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ২৬০টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে।[] বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা প্রায় ৫৭ টি।[]

বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত/অভিন্ন/যৌথ নদী

[সম্পাদনা]

সরকারিভাবে বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত বা অভিন্ন বা যৌথ নদীর সংখ্যা ৫৪টি।[][][] তবে নদী, জলাভূমি ও পানিসম্পদবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রিভারাইন পিপলের ২০২৩ সালের এক গবেষণায় আরও অস্বীকৃত আরও ৬৯টি যৌথ নদীর সন্ধান পায়[] নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকীর মতে, অভিন্ন বা আন্তসীমান্ত নদ–নদীর সংখ্যা শতাধিক। নদী বিশেষজ্ঞ মোঃ ইনামুল হকের মতে, এ সংখ্যা ১৭১টির বেশি।[]

৫৪টি নদীর মধ্যে ৬টি নদী বেতনা-কোদালিয়া, আত্রাই, পুনর্ভবা, তেঁতুলিয়া, টাংগন, কুলিক বা কোকিল নদী বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং তন্মধ্যে বেতনা-কোদালিয়া, আত্রাই, পুনর্ভবা নদী ৩টি বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশ করে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাকি ৪৮ বা ৪৭টি (ফেনী নদীর উৎপত্তি বিতর্কিত) নদী ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং তন্মধ্যে ২টি নদী নাগরডাহুক নদী ভারত হতে বাংলাদেশে গিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করে এবং শুধুমাত্র মহানন্দা নদী ভারত হতে বাংলাদেশ হয়ে ভারত হয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে।[]

যৌথ নদী কমিশন

[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান একটি বহুব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী, সহযোগিতা ও শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন।[] এই চুক্তি অনুযায়ী জলসম্পদ বণ্টন, সেচ, বন্যাঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণের মতো সাধারণ বিষয়গুলির জন্য যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়।[] এবং উক্ত চুক্তি অনুসারে পানিসম্পদ, সেচ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ আগ্রহ ও যৌথ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দুইটি দেশ একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার করে। কমিশনের প্রতিবেদন ও পাঠ ১৯৭৫, ১৯৭৮ ও সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের গঙ্গার জল বণ্টনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চুক্তিতে উপনীত হতে সাহায্য করে।[]

বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত/অভিন্ন/যৌথ নদী তালিকা

[সম্পাদনা]

চিহ্ন

    বাংলাদেশে উৎপত্তি /    বাংলাদেশে প্রবেশ ভারত হতে /  বাংলাদেশে সমাপ্তি
    ভারতে উৎপত্তি⠀/⠀⠀    ভারতে প্রবেশ বাংলাদেশ হতে /  ভারতে সমাপ্তি
    চীনে উৎপত্তি
  1. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি আন্ত সীমান্ত নদীর ইছামতি-কালিন্দী-রায়মঙ্গল নদীতে প্রায় ১৪০ কিমি, কুশিয়ারা নদীতে প্রায় ৩০ কিমি, মুহুরী নদীতে প্রায় ২ কিমি এবং সাতক্ষীরা সোনাই নদীতে (যা দুই দেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত নদী হিসেবে চিহ্নিত হয়নি) প্রায় ১০ কিমি স্থায়ী সীমানা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি এছাড়া অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীতে আন্তর্জাতিক সীমারেখা নদীর মধ্যস্রোত বা যেকোনো দেশের তীর বরাবর হলেও তা ইতোমধ্যে স্থায়ীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।[]
  2. ফেনী নদীর উৎস বিতর্কিত

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মাসুদ হাসান চৌধুরী (জানুয়ারি ২০০৩)। "আন্তঃসীমান্ত নদী"। সিরাজুল ইসলামআন্তঃসীমান্ত নদীঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৫, ২০১৪ 
  2. "বাংলাদেশ-ভারত এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে প্রবাহিত ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদীর তথ্যাদি, যৌথ নদী কমিশন" (পিডিএফ)https://jrcb.gov.bd/। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. Bushra Nishat, Sanat K. Chakraborty, Md. Emran Hasan, AJM Zobaidur Rahman (২০১৩)। Rivers Beyond Borders: India Bangladesh Trans-boundary River Atlas। Drik Publocations। আইএসবিএন 978-984-33-8361 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: length (সাহায্য)  line feed character in |শেষাংশ= at position 16 (সাহায্য)
  4. "Bangladesh Water Development Board"web.archive.org। ২০২৪-০৯-০১। Archived from the original on ২০২৪-০৯-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০১ 
  5. রহমান, জাহিদুল (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩)। "আন্তঃসীমান্ত ৬৯ নদীর স্বীকৃতি মেলেনি"https://samakal.com/। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  6. ওয়াদুদ, তুহিন (২০২১-০৪-০৪)। "কবে জানা যাবে আন্তসীমান্ত নদ–নদীর সংখ্যা"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০১ 
  7. Bangladesh's relations with India CountryStudies.us. Accessed 2008-05-30.
  8. এনামুল হক (২০১২)। "গঙ্গার পানিবণ্টন"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  9. "Transboundary Rivers of Bangladesh" (পিডিএফ)http://www.jrcb.gov.bd/ (English ভাষায়)। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২৫ জুন ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)