নুরুল ইসলাম
নুরুল ইসলাম | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ | (বয়স ৮৪)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পরিচিতির কারণ | চিকিৎসক |
পুরস্কার | স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯৭) |
জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম (১ এপ্রিল ১৯২৮ - ২৪ জানুয়ারি ২০১৩) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক যিনি চিকিৎসাশাস্ত্র ও অধ্যাপনা জন্য বিশেষ খ্যাতিমান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশের জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১] তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তাকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]ডা. নুরুল ইসলামের জন্ম ১৯২৮ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার মোহাস্মদপুর গ্রামে। তার পিতার নাম সৈয়দুর রহমান মায়ের নাম গুলমেহের। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট৷ গাছবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৪৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন৷ এমবিবিএস পরীক্ষা দেন ১৯৫০ সালে৷
পরিবার
[সম্পাদনা]ডা. নুরুল ইসলাম ১৯৬২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা শিক্ষা সম্প্রসারণ কেন্দ্রের শিক্ষক আনোয়ারার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির বড় মেয়ে নূর-এ-জান্নাত আয়েশা ইসলাম দীনা, ও ছোট মেয়ে নিনা ইসলাম, ছেলে আহমেদ ইফতেখারুল ইসলাম বর্তমানে সাফল্যের সাথে কাজ করছেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]নুরুল ইসলাম পিএসসির ইন্টারভিউ দিয়ে ১৯৫২ সালে মেধা তালিকার শীর্ষে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের আউটডোরে নিয়োগ পান৷ ১৯৫৪ সালের পয়লা এপ্রিল লন্ডনের হুইটিংটন হাসপাতালে এমআরসিপি কোর্স শুরু হয়৷ মেডিসিনে প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে টিডিডি কোর্সে যোগদান করেন ও সে বছর জুনে পরীক্ষা দেন৷ ১৯৫৬ সালের মার্চ মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন৷ ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগে সুপি ডিউটিতে পোস্টিং করা হলো৷ ছয়মাস এভাবে কাজ করার পর মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুলে মেডিসিনের লেকচারার হিসেবে তিনি নিযুক্ত হন৷ একই সাথে টিবি ওয়ার্ডের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান৷ ১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়োগ পান। চিকিত্সা বিজ্ঞানে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে তিনি সর্বপ্রথম 'নাফিল্ড স্কলারশিপ' পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন ১৯৬৩ সালে৷ ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে বিলাতে কাজ করে ১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি দেশে ফিরে আসেন৷ চাকরি জীবনের অল্প সময় (দুবছর) নিজ জেলা চট্টগ্রামে অবস্থান করলেও সেখানকার স্মৃতি তার কাছে মধুময় ও অম্লান রয়েছে৷ ১৯৬৫ সালে পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিত্সা মহাবিদ্যালয়ে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান৷ ১৯৮৭ সালে পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন৷ দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের মেধা, শ্রম ও মনন দিয়ে এমনভাবে গড়ে তোলেন যে এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]- প্রেসিডেন্টস গোল্ড মেডেল, (১৯৬৩)
- সিতার ই ইমতিয়াজ পদক, (১৯৭০)
- চিটাগং অ্যাসোসিয়েশন ফর ম্যারিটোরিয়াস সার্ভিস গোল্ড মেডেল, (১৯৮২)
- বাংলা একাডেমী অব সায়েন্স গোল্ড মেডেল, (১৯৮২)
- কলকতা মেডিকেল কলেজ ফর এম এন ডি ওরেশন অন প্রেসক্রিপশন অ্যান্ড প্রফেশনালস, (১৯৮৫)
- বঙ্গবন্ধু একাডেমী অ্যাওয়ার্ড, (১৯৮৬)
- জাতীয় অধ্যাপক, (১৯৮৭)
- ডা. শাহিদউল্লাহ স্মৃতি গোল্ড মেডেল, (১৯৯০)
- ডব্লিউএইচও অ্যাওয়ার্ড ফর টোবাকো কন্ট্রোল, (১৯৯০ ও ১৯৯২)
- ভাসানী মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল, (১৯৯৩)
- ইবনে সিনা মেডেল, (১৯৯৫)
- এম কে গান্ধি অ্যাওয়ার্ড, (১৯৯৬)
- স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, (১৯৯৭)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহি:সংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯২৮-এ জন্ম
- ২০১৩-এ মৃত্যু
- চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
- চট্টগ্রাম জেলার চিকিৎসক
- বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক
- বাংলাদেশী মেডিকেল শিক্ষক
- বাংলাদেশী চিকিৎসক
- বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য
- বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো
- স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
- সিতারা-ই-ইমতিয়াজ বিজয়ী