বিষয়বস্তুতে চলুন

আব্দুল্লা শাইগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবদুল্লা শাইগ
আবদুল্লা শাইক
জন্ম
আব্দুল্লা মুস্তাফা তালিবযাদেহ্ ‌

(১৮৮১-০২-২৫)২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৮১
মৃত্যু২৪ জুলাই ১৯৫৯(1959-07-24) (বয়স ৭৮)
পেশালেখক, অনুবাদক, শিক্ষক

আব্দুল্লা শাইগ (আজারবাইজানিঃ Abdulla Şaiq) (২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৮১, বিলিসি- ২৪ জুলাই ১৯৫৯ বাকু) বিলিসিতে জন্মগ্রহণ করেন। আব্দুল্লা শাইগ একজন আজারবাইজানি লেখক। 

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা 

[সম্পাদনা]

শাইগ মার্নেউলি- আঞ্চলিক আজারবাইজানি পিতা-মাতা, মুস্তাফা তালিবযাদেহ এবং মেহরি বায়রামলি এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ককেসাস মুসলিম কেরানি বোর্ডের একজন আখুন্দ ছিলেন। তিনি বিলিসিতে (পরবর্তীতে তিফলিস নামকরণ করা হয়) একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইসলামি আইন, পার্সিয়ান এবং আরবি পাঠদান করতেন। ১৮৮৩ সালে, শাইগের মা, শাইগের পিতার সাথে টানাপোড়ন সম্পর্কের কারণে তার দুই পুত্র এবং এক কন্যাকে সঙ্গে করে ইরানের খোরাসানে চলে যান, পরবর্তীতে যেখানে আব্দুল্লা শাইগ একটি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তরুণ বয়স থেকেই আব্দুল্লা শাইগ গজল লেখা শুরু করেন এবং কিছু সংখ্যক রাসিয়ান সাহিত্যকে পার্সিয়ান ভাষায় রূপান্তর করেন। ১৯০১ সালে, ২০ বছর বয়সে, তিনি স্থায়ীভাবে বাকুতে বাস করা শুরু করেন এবং ফার্স্ট আলেক্সান্দ্রিয়া জিমন্যাশিয়াম এর একটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে  একজন শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তী ৩৩ বছর তিনি জন শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করেন।    

শাইগ রোমাঞ্চকর এবং শিশুতোষ রচনার লেখক ছিলেন। ১৯০৬ সালে তার লোককথা ভিত্তিক সাহিত্য স্থানীয় সংবাদপত্র এবং স্থানীয় সাময়িকিতে প্রকাশিত হতে শুরু করে। পরবর্তীতে তিনি ছবিযুক্ত ছোট গল্পের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ছোট গল্পগুলো মূলত প্রি-সোভিয়েত রাশিয়ার শ্রমজীবী মানুষদের দারিদ্র্যতার দরুণ বেদনার চিত্র তুলে ধরেছে। এই কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নে শাইগের সাহিত্যকর্ম ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার আন্তর্জাতিকতাবাদ (জাতি সমূহের বিভেদ মুছে তাদের স্বার্থ্যকে বড় করে দেখার মতবাদ) এবং শান্তিবাদের উদ্‌যাপন (লেখনীর মধ্য দিয়ে) তাকে লেখক হিসেবে বিরাট সাফল্য এনে দিয়েছে। তার প্রাতিষ্ঠানিক কার্জক্রম, আজারবাইজানি সংস্কৃতির উন্নতিকরণ এবং স্ট্যালিনিস্ট-দমন মতবাদ থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্র কর্তৃক তাকে ধর্মদ্রোহিতার দরুণ শাস্তি দেওয়া হয়নি বলে বিশ্বাস করা হয়।    []

শাইগ তার শিক্ষকতা জীবনের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান। তিনি যেগুলো ১৯০৯ সাল থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে প্রকাশিত বিভিন্ন ভাষা এবং সাহিত্যের পাঠ্যবইয়ের লেখক। ১৯১৮-১৯২০ সাল পর্যন্ত আজারবাইজান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের মুক্তির সময়কালে তিনি মুসাভাত পার্টি পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত নৈতিকতার সাথে তাদের সহযোগীতা করেন।   

এছাড়াও তিনি শেক্সপিয়ার, ডিফো, পুশকিন, লারমানতোভ, ক্রায়লোভ, গোর্কি, নেকরাসোভ, নিজামী এবং ফেরদৌসী'র অনেক সাহিত্যকর্ম রাশিয়ান ভাষা থেকে আজারবাইজানি ভাষাতে অনুবাদ করেন 

নিচে শাইগের কিছু বিখ্যাত কর্ম উল্লেখ করা হলো:

  • আনডেলিভার্ড লেটার (বাংলায়ঃ অনর্পিত পত্র)
  • লেডি টিগটিগ  (বাংলায়ঃ রমণী টিগটিগ)
  • উই আর অল রেজ ফ্রম দ্য সেইম সান (বাংলায়ঃ আমরা সবাই একই পথের পথিক (ভাবানুবাদ)) 
  • হিরোজ অব আওয়ার সেঞ্চুরি (বাংলায়ঃ আমাদের শতকের মহানায়ক)

জাদুঘর 

[সম্পাদনা]

১৯১৬ সালে, শাইগ আপার মাউন্টেনের (বর্তমানে এ.শাইগ স্ট্রীট) ২১ নং বাড়ির ২য় তলায় পাঁচ-শয়নক্ষবিশিষ্ট একটি ঘরে স্থানান্তরিত হন। এই ঘরটি বর্তমানে "আব্দুল্লা শাইগের জাদুঘর বাড়ি" নামে পরিচিত। এখানে তিনি ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। আব্দুল্লা শাইগের বন্ধুগণ নাফাজ বে ভাযিরভ, সুলায়মান সানি আখুন্দোভ, হুসায়েন জাভিদ, বুলবুল (গায়ক), ইউসুফ ভাযির ছামানযামিনলি, আহমদ জাভেদ এবং সামাদ ভুরগুন সেখানকার অতিথি ছিলেন।      

আবদুল্লা শাইগ এই ঘরে অনেক অভিকাঙ্খী, শিক্ষার্থী এবং অনেক স্কুলের ছাত্ররা তার সাথে দেখা করত যারা অনেক বৈজ্ঞানিক ও সৃজনশীল পরামর্শ নিয়ে আসত, তাদের নিজেদের সাহিত্যকর্ম পাঠ করত এবং শলা-পরামর্শ করত। বর্তমানে আবদুল্লা শাইগ জাদুঘর আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের সাংস্কৃতিক এবং পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অধীনে রয়েছে।   [][]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Abdulla Shaig: Rays from the Same Sun. Azerbaijan International Magazine, Vol. 12.1 (Spring 2004), pp. 40-41.
  2. "Azerbaijan National Committee of International Council of Museums (ICOM)"www.icom.azeurotel.com। ২০১৭-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৬ 
  3. "Abdulla Şaiqin Ev Muzeyi - CityLife.az"citylife.az (রুশ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]