বিষয়বস্তুতে চলুন

ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিস্তারপর্বের ভোজ থেকে সরে যাচ্ছেন ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা (ডানে), ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে কার্ল ব্লশের আঁকা চিত্রকর্ম।
১৩০৪ থেকে ১৩০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে জিয়োত্তো দি বন্দোনের আঁকা যিহূদার চুম্বন যা গেৎশিমানী বাগানে যীশুকে যিহূদার সঙ্কেতপূর্ণ চুম্বনকে ফুটিয়ে তোলে।

ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা (/ˈdəs ɪˈskærɪət/; হিব্রু ভাষায়: יהודה איש-קריות‎; গ্রিক: Ὶούδας Ὶσκαριώτης; আরামীয়: ܝܗܘܕܐ ܣܟܪܝܘܛܐ‎; আরবি: يهوذا الإسخريوطي; মৃত্যু আনু. ৩০ – আনু. ৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন যীশুখ্রীষ্টের একজন শিষ্য এবং তাঁর বারোজন প্রেরিতদের একজন। চারটি শাস্ত্রীয় সুসমাচার অনুযায়ী, যিহূদা গেৎশিমানী বাগানে যীশুকে চুম্বন করে ও রব্বি ডেকে মহাযাজক ও প্রাচীনবর্গের নিকট তাঁর পরিচয় প্রকাশ করে শত্রুদের হাতে সমর্পণ করে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন।[] তার নাম প্রায়ই বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যিহূদার উপাধি ঈষ্করিয়োতীয় দ্বারা সম্ভবত বোঝানো হয় যে তিনি করিয়োৎ গ্রামের লোক, তবে এই ব্যাখ্যা সার্বজনীনভাবে গৃহীত নয় এবং এর অনেক ভিন্ন ব্যাখ্যাও প্রদান করা হয়েছে।[][]

সুসমাচারগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম সাধু মার্ক লিখিত সুসমাচারে যিহূদার বিশ্বাসঘাতকতার কোনো অভিপ্রায় উল্লেখ করা হয়নি, তবে নিস্তারপর্বের ভোজে যীশু কর্তৃক ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ রয়েছে যা পরবর্তী সুসমাচারগুলোতেও বর্ণিত হয়েছে। সাধু মথি লিখিত সুসমাচারে (মথি ২৬:১৫) বলা হয়েছে যে যিহূদা ত্রিশ রৌপ্যখণ্ডের বিনিময়ে যীশুকে প্রধান যাজকদের হাতে সমর্পণ করতে সম্মত হন। সাধু লূক লিখিত সুসমাচার (লূক ২২:৩–৯) ও সাধু যোহন লিখিত সুসমাচারমতে (যোহন ১৩:২৭) তিনি শয়তান দ্বারা আচ্ছন্ন ছিলেন। মথি ২৭:১–১০ ছত্র অনুসারে, যীশু ক্রুশারোপিত হবেন জানার পর যিহূদা অনুশোচনা করে তার প্রতারণার ফলে প্রাপ্ত রৌপ্যমুদ্রা যিহূদী মহাযাজক ও প্রাচীনবর্গের নিকট ফিরিয়ে দেন এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই মুদ্রা দিয়ে যাজকেরা বিদেশিদের কবর দেওয়ার জন্য কুম্ভকারের জমি কেনে। ওই জমিকে রক্তক্ষেত্র বলে ডাকা হত কারণ এটি ছিল রক্তমূল্যে কেনা।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মথি, মথি, মার্ক, মার্ক, লূক, লূক, যোহন, যোহব
  2. Ehrman, Bart D. (২০১৬), Jesus Before the Gospels: How the Earliest Christians Remembered, Changed, and Invented their Stories of the Savior, New York City, New York: HarperOne, আইএসবিএন 978-0-06-228520-1 
  3. Gubar, Susan (২০০৯), Judas: A Biography, New York City, New York and London, England: W. W. Norton & Company, আইএসবিএন 978-0-393-06483-4 
  4. Stanford, Peter (২০১৫), Judas: The Most Hated Name in History, Berkeley, California: Counterpoint, আইএসবিএন 978-1-61902-750-3 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]