বিষয়বস্তুতে চলুন

টি২ ব্যাক্টেরিওফাজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

T2 ব্যাক্টেরিওফাজ
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস
গ্রুপ: ১ম গ্রুপ (dsDNA)
বর্গ: Caudovirales
পরিবার: Myoviridae
গণ: T4-like viruses
প্রজাতি: Enterobacteria phage T2
টি২ ব্যাক্টেরিওফাজ

টি২ ব্যাক্টেরিওফাজের ফায্ একটি গ্রিক শব্দ-যার অর্থ ভক্ষণ করা। প্রকৃতপক্ষে ফায্ হলো ঐসব ভাইরাস যারা জীবদেহে অবস্থিত রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। যেহেতু এরা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এ জন্য এদের ব্যাকটেরিওফায্ নামেও অভিহিত করা হয়।

টি২ ব্যাকটেরিওফায্ একটি সর্বাধিক পরিচিত ভাইরাস। টি২ ব্যাকটেরিওফায-এর দৈহিক গঠন অনেকটা ব্যাঙাচির মতো। এর দেহকে প্রধানত দুটি অংশে ভাগ করা যায়। যথা- মাথা এবং লেজ।

টি২ ব্যাকটেরিওফায-এর মাথাটি স্ফীত এবং ষড়ভুজাকৃতির প্রিজমের ন্যায় এবং প্রোটিন অনু দিয়ে তৈরি। দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫-nm এবং প্রস্থ ৬৫nm। থলি আকৃতির এ স্ফীত অংশের ভেতরে রিং আকৃতির দ্বি-সূত্রক একটি DNA অনু প্যাঁচানো থাকে।৬০,০০০ জোড়া নিউক্লিয়োটাইড দিয়ে এই DNA গঠিত।DNA এর দৈর্ঘ্য 50 মাইক্রোমিটার।ক্যাপসোমিয়ারের সংখ্যা ২০০০ টি।এতে প্রায় ১৫০ টি জিন থাকে ।মাথার অধিকাংশ স্থান এ ফাঁপা বলে মনে হয় ।T২ ফাযের DNA দ্বিসূত্রক এবং মোট ওজনের ৫০ ভাগ এরফানুল।

টি২ ফায্ এর মাথার নিচে একটি লেজ থাকে যা ফাঁপা নলের মতো। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০মিলি মাইক্রন এবং ব্যাস প্রায় ২৫মিলি মাইক্রন। লেজ ও মাথার সংযোগস্থলে একটি পাতলা চাকতির মত গঠন(কলার) বিদ্যমান। কলারের ঠিক নিচে ক্ষুদ্র অঞ্চলটির নাম গ্রীবা। অনেকের মতে, লেজের দৃঢ় আবরণের ভিতর একটি সংকোচনশীল প্রোটিন থাকে যাতে লাইসোজোম বিদ্যমান। লেজের নিচের প্রান্তে প্রশস্ত বেস প্লেট এবং যার চার পাশে ৬টি সরু, লম্বা স্পর্শক তন্তু ও কাঁটার ন্যায় স্পাইক থাকে। এর সাহায্যে এরা পোষক ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে। প্রতিটি স্পর্শক তন্তুর দৈর্ঘ্য ১৩০ মিলি মাইক্রন এবং প্রস্থ মাত্র ২ মিলি মাইক্রন ।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]