তিউনিসিয়ার ফরাসি আশ্রিত অঞ্চল
তিউনিসিয়ার ফরাসী আশ্রিত অঞ্চল Protectorat français de Tunisie الحماية الفرنسية في تونس | |||||||||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১৮৮১–১৯৫৬ | |||||||||
.svg) Flag
.svg) জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
| |||||||||
 তিউনিসিয়া (গাঢ় নীল) আফ্রিকায় ফরাসি উপনিবেশ (হালকা নীল) ১৯১৩ | |||||||||
| অবস্থা | রক্ষক | ||||||||
| রাজধানী | তিউনিস | ||||||||
| প্রচলিত ভাষা | ফরাসি ইতালীয় বারবার ভাষা মানক আরবি তিউনিশিয়ান আরবি জুদেও-তিউনিসিয়ান আরবি | ||||||||
| ধর্ম | ইসলাম | ||||||||
| জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | তিউনিসিয়ান | ||||||||
| সরকার | ফরাসি সুরক্ষার অধীনে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র | ||||||||
| বে | |||||||||
• ১৮৫৯–১৮৮২ (প্রথম) | মুহাম্মদ তৃতীয় আস-সাদিক | ||||||||
• ১৯৪৩-১৯৫৬ (শেষ) | অষ্টম মুহাম্মদ আল-আমিন | ||||||||
| অধিবাসী-জেনারেল | |||||||||
• ১৮৮৫-১৮৮৬ (প্রথম) | পল ক্যাম্বন | ||||||||
• ১৯৫৫ | রজার সিডক্স | ||||||||
| ইতিহাস | |||||||||
| ১২ মে ১৮৮১ | |||||||||
| ২০ মার্চ ১৯৫৬ | |||||||||
| মুদ্রা | তিউনিসিয়ান রিয়াল (১৮৯১ পর্যন্ত) তিউনিসিয়ান ফ্রাঙ্ক (১৮৯১–১৯৫৮) | ||||||||
| |||||||||
| বর্তমানে যার অংশ | তিউনিশিয়া | ||||||||
ফরাসিদের আগ্রাসনের পূর্ববর্তী দশকগুলিতে তিউনিসিয়া পতনশীল অটোমান সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ ছিল যেটি মুহাম্মাদ তৃতীয় আস-সাদিক- এর অধীনে একটি বিশাল পরিমাণ স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করেছিল।১৮৭৭ সালে রাশিয়া অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।এর ফলে রুশ–তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৭–১৮৭৮) জয়লাভের ফলে অটোমান ভূখণ্ডের বৃহৎ অংশ বিভক্ত হয়ে যায় যার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বলকান সম্পত্তির স্বাধীনতা এবং উত্তর আফ্রিকার প্রদেশগুলির ভবিষ্যত নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত।১৮৭৮ সালের বার্লিন কংগ্রেস অটোমান প্রশ্ন সমাধানের জন্য আহ্বান করে।যদিও ব্রিটেন অটোমান সাম্রাজ্যের সম্পূর্ণ বিলুপ্তির বিরোধিতা করে সাইপ্রাসের বিনিময়ে ফ্রান্সকে তিউনিসিয়ার নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দেয়।জার্মানি ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধের পর ইউরোপে প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফরাসিদের মনোযোগ সরানোর উপায় হিসাবে ফরাসি দাবিকে দেখে এবং দক্ষিণ ভূমধ্যসাগর সম্পর্কে সামান্য উদ্বিগ্নতায় তিউনিসিয়ার ফরাসি নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দিতে সম্মত হয়। [১] তিউনিসিয়ায় ফ্রান্সের ভূমিকাকে ঘিরে এই আলোচনাগুলি ইতালি রাজ্যের কাছ থেকে গোপন রাখা হয় যা ফরাসি হস্তক্ষেপের বিরোধী ছিল। [২]
তিউনিসিয়ায় ফরাসিদের উপস্থিতি তাদের প্রতিবেশী আলজেরিয়া দখলের পাঁচ দশক পরে এসেছিল । সেই সময় যখন ফরাসিরা এখনও অনভিজ্ঞ ছিল এবং কীভাবে একটি উপনিবেশ গড়ে তুলতে হয় সে সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল। [৩]এই দুটি দেশই তিন শতাব্দী ধরে অটোমান সাম্রাজ্যের অধিকারী ছিল।তবুও প্রত্যেকেই অনেক আগেই ইস্তাম্বুলের সুলতানের কাছ থেকে রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন লাভ করেছিলো।ফরাসিদের আগমনের আগে তিউনিসিয়া আধুনিক সংস্কারের একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল [৪] কিন্তু ইউরোপীয় ঋণদাতাদের একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আর্থিক অসুবিধাগুলি স্ফীত হয়েছিল। [২] তাদের দখলের পর ফরাসি সরকার তিউনিসিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করে।পরিবহন এবং অবকাঠামো, শিল্প, আর্থিক ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য এবং প্রশাসন সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফরাসিদের দ্বারা উন্নত হয়।তবুও ফরাসিরা ব্যবসা এবং নিজ নাগরিকদের পক্ষপাতী ছিল যা তিউনিসিয়ানদের পছন্দ নয়।তাদের পূর্বাবস্থায় জাতীয় বোধ প্রাথমিকভাবে বক্তৃতায় এবং মুদ্রণে প্রকাশিত হয়; রাজনৈতিক সংগঠন অনুসরণ করে।স্বাধীনতা আন্দোলন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকেই সক্রিয় ছিল এবং মিশ্র ফরাসি বিরোধিতার বিরুদ্ধে শক্তি অর্জন করতে থাকে।এর চূড়ান্ত লক্ষ্য ১৯৫৬ সালে অর্জিত হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Holt ও Chilton 1918।
- ↑ ক খ Ling 1960।
- ↑ Balch, Thomas William (নভেম্বর ১৯০৯)। "French Colonization in North Africa": 539–551। জেস্টোর 1944685। ডিওআই:10.2307/1944685।
- ↑ Wesseling 1996