তুর্কি–ইতালীয় যুদ্ধ
তুর্কি–ইতালীয় যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ইতালীয় আক্রমণ | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
ইতালি আসির[১] |
অটোমান সাম্রাজ্য সেনাসসি অর্ডার | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
তৃতীয় ভিক্টর ইমানুয়েল কার্লো ক্যানেভা অগাস্টো অবরি |
পঞ্চম মেহমেদ এনভের পাশা মুস্তাফা কেমাল আহমেদ শরিফ আস-সেনাসসি | ||||||||
শক্তি | |||||||||
প্রাথমিকভাবে:[২] ৩৪,০০০ সৈন্য ৬,৩০০ ঘোড়া ও খচ্চর ১,০৫০টি ওয়াগন ৪৮টি ফিল্ড গান ২৪টি মাউন্টেইন গান পরবর্তীতে:[৩] ৮৫,০০০ সৈন্য |
প্রাথমিকভাবে:[৩] ~৮,০০০ নিয়মিত তুর্কি সৈন্য ~২০,০০০ স্থানীয় অনিয়মিত সৈন্য পরবর্তীতে:[৩] ~৪০,০০০ তুর্কি ও স্থানীয় আরব সৈন্য | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
১,৪৩২ সৈন্য নিহত[৪] ১,৯৪৮ সৈন্য রোগের কারণে মৃত[৪][৫] ৪,২৫০ সৈন্য আহত[৫] |
~১৪,০০০ সৈন্য হতাহত[৬] ১০,০০০ সৈন্য নিহত (প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ও প্রাণদণ্ডে)[৭] |
তুর্কি–ইতালীয় যুদ্ধ (তুর্কি: Trablusgarp Savaşı, যেটি ইতালিতে Guerra di Libia বা "লিবীয় যুদ্ধ" নামে পরিচিত) ছিল ১৯১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯১২ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালি ও অটোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে ইতালি অটোমান সাম্রাজ্যের কাছ থেকে ত্রিপোলিতানিয়া ও দোদেকানিজ দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেয়। দখলকৃত ত্রিপোলিতানিয়া পরবর্তীতে ইতালীয় লিবিয়া নামে পরিচিত হয়।
এই যুদ্ধটির পরিসর ক্ষুদ্র হলেও এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, এই যুদ্ধে ইতালীয়দের নিকট তুর্কিদের শোচনীয় পরাজয় বলকান অঞ্চলে উগ্র জাতীয়তাবাদের বিস্তার ঘটায়। অটোমান সাম্রাজ্যের সামরিক দুর্বলতার সুযোগে ইতালির সঙ্গে অটোমানদের যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই বলকান লীগ অটোমান সাম্রাজ্যের ওপর আক্রমণ চালায় এবং প্রথম বলকান যুদ্ধের সূচনা ঘটায়।
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৮৭৭–১৮৭৮ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার নিকট তুরস্কের পরাজয়ের পর ১৮৭৮ সালে অনুষ্ঠিত বার্লিন কংগ্রেসে ইতালি অটোমান-নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ার ওপর কর্তৃত্ব দাবি করে। এসময় যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স যথাক্রমে অটোমান-নিয়ন্ত্রিত তিউনিসিয়া ও সাইপ্রাস দখল করে নিলে ইতালীয় কূটনীতিকরা সম্মেলনে এ ব্যাপারে তাঁদের সরকারের আপত্তির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ফরাসিরা জবাব দেয় যে, অটোমান-নিয়ন্ত্রিত ত্রিপোলির ওপর ইতালির কর্তৃত্ব মেনে নিতে তারা প্রস্তুত। ১৯০২ সালে ইতালি ও ফ্রান্স একটি গোটন চুক্তিতে স্বাক্ষর করর এবং চুক্তির মাধ্যমে একে অপরকে ত্রিপোলিতানিয়া ও মরক্কোয় ইচ্ছেমতো হস্তক্ষেপ করার স্বাধীনতা প্রদান করে[৮]। কিন্তু ইতালীয় সরকার এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে গড়িমসি করে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে লিবিয়ার ভূগোল ও সম্পদ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান সীমিতই থেকে যায়।
ইতালীয় প্রচারমাধ্যম ১৯১১ সালের মার্চের শেষদিকে লিবিয়া আক্রমণের সমর্থনে একটি বড় ধরনের প্রচারাভিযান আরম্ভ করে। তারা কল্পিতভাবে লিবিয়াকে খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ, পানিসমৃদ্ধ এবং মাত্র ৪,০০০ অটোমান সৈন্য দ্বারা সুরক্ষিত বলে বর্ণনা করে। তারা লিবিয়ার জনসাধারণ অটোমানদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ও ইতালীয়দের প্রতি বন্ধুসুলভ বলেও প্রচারণা চালায়। সম্ভাব্য আক্রমণাভিযানটি কেবল "সামরিক কুচকাওয়াজে"র চেয়ে একটু বেশি হবে বলে তারা মত প্রকাশ করে।
ইতালীয় সরকার প্রথমদিকে দ্বিধান্বিত ছিল, কিন্তু সেবছরের গ্রীষ্মে তারা আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং প্রধানমন্ত্রী জিওভান্নি জিওলিত্তি লিবিয়ায় সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মনোভাব যাচাই করেন। ইতালীয় জনমতের ওপর সমাজতান্ত্রিক দলের ব্যাপক প্রভাব ছিল। কিন্তু দলটি বিরোধী দলে ছিল এবং এই বিষয়ে নিজেরাও দ্বিধাবিভক্ত ছিল। দলটি অকার্যকরভাবে লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কাজ করে। ইতালির ভবিষ্যৎ ফ্যাসিবাদী নেতা বেনিতো মুসোলিনি এসময় একজন বামপন্থী সমাজতন্ত্রী ছিলেন এবং শক্তভাবে যুদ্ধবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন। গায়েতানো সালভেমিনি এবং লিওনে কায়তানি ইতালীয় সংসদেও অনুরূপভাবে যুদ্ধের বিরোধিতা করেন।
সামরিক অভিযান
[সম্পাদনা]প্রাথমিক রণকৌশল
[সম্পাদনা]লিবিয়ায় ইতালীয় সৈন্যবাহিনীর অবতরণ
[সম্পাদনা]পরিখা যুদ্ধ
[সম্পাদনা]নৌযুদ্ধ
[সম্পাদনা]গেরিলা যুদ্ধ
[সম্পাদনা]যুদ্ধাপরাধ
[সম্পাদনা]লুজান চুক্তি
[সম্পাদনা]আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://books.google.com/books?id=UoMPAQAAIAAJ&pg=PA1223&dq=Italy+Asir+Turkish+forces&hl=en&sa=X&ved=0ahUKEwjQupiu_oHSAhUF0oMKHWeRBcYQ6AEIGjAA#v=onepage&q=Italy%20Asir%20Turkish%20forces&f=false
- ↑ Italy. Esercito. Corpo di stato maggiore (১৯১৪)। The Italo-Turkish War (1911-12)। Franklin Hudson Publishing Company। পৃষ্ঠা 13।
- ↑ ক খ গ The History of the Italian-Turkish War, William Henry Beehler, p.13-36
- ↑ ক খ World War I: A Student Encyclopedia, Spencer C. Tucker,Priscilla Mary Roberts, page 946
- ↑ ক খ Emigrant nation: the making of Italy abroad, Mark I. Choate, Harvard University Press, 2008, আইএসবিএন ০-৬৭৪-০২৭৮৪-১, page 176.
- ↑ James C. Bradford: International Encyclopedia of Military History, Routledge 2006, page 674
- ↑ Spencer Tucker, Priscilla Mary Roberts: World War I: A Student Encyclopedia, ABC-CLIO, 2005, আইএসবিএন ১-৮৫১০৯-৮৭৯-৮, page 946.
- ↑ "Alliance System / System of alliances"। thecorner.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-০৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Turco-Italian War at Turkey in the First World War website
- Johnston, Alan (২০১১-০৫-১০)। "Libya 1911: How an Italian pilot began the air war era"। BBC News Online। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-১০।
- Map of Europe during Italo-Turkish War at omniatlas.com
এই নিবন্ধটি বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ঐ নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |