দ্বিকক্ষ আইনসভা
আইনসভা |
---|
কক্ষ |
সংসদ |
সংসদীয় পদ্ধতি |
ধরন |
রাষ্ট্র অনুযায়ী আইনসভা |
দ্বিকক্ষ আইনসভা একধরনের আইনসভা যা দুটি পৃথক কক্ষ বা সদনে বিভক্ত। অনেকসময় এই দুই কক্ষের সদস্যদের পৃথকভাবে নির্বাচিত বা মনোনীত করা হয়, যা এক্তিয়ারভেদে ভিন্ন হতে পারে। এর ফলে দুই কক্ষের সদস্যসংখ্যা অনেকসময় ভিন্ন হয়। ২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] বিশ্বের জাতীয় আইনসভার প্রায় ৪০% দ্বিকক্ষ এবং ৬০% এককক্ষ এবং প্রাদেশিক স্তরে এককক্ষ আইনসভা বেশি প্রচলিত।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]যুক্তরাজ্যের সংসদকে অনেকসময় "সংসদের জননী" (ইংরেজি: Mother of Parliaments) বলা হয়, কারণ যুক্তরাজ্যের সংসদ বেশিরভাগ সংসদীয় ব্যবস্থার আদর্শ হিসাবে কাজ করে এবং এর প্রণীত আইনসমূহের মাধ্যমে বেশিরভাগ সংসদ গড়ে উঠেছে।[২] ১৩৪১ সালে প্রথমবার ইংল্যান্ডের সংসদের সাধারণ লোকেরা প্রথমবার অভিজাত ও যাজকদের থেকে আলাদাভাবে সভার আয়োজন করেছিল। এর ফলে সংসদে কার্যত উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ গড়ে উঠেছিল। ১৫৪৪ সাল থেকে ইংল্যান্ডের সংসদের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স নামে পরিচিত।
সংসদীয় ব্যবস্থা রয়েছে এমন অনেক রাষ্ট্র, বিশেষ করে ইউরোপীয় ও কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ব্রিটেনের ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থাকে অনুসরণ করেছে। এই ব্যবস্থাটি একটি নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান, এক বড় নির্বাচিত নিম্নকক্ষ এবং ব্রিটেনের তুলনায় ছোট উচ্চকক্ষ নিয়ে গঠিত, যেখানে রাষ্ট্রপ্রধান সংসদের অধিবেশন চালু ও বন্ধ করার জন্য দায়বদ্ধ।[৩][৪]
পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত
[সম্পাদনা]প্রত্যেক রাজ্য বা অঞ্চলের মধ্যে সমভাবে বণ্টিত ক্ষমতা এবং আরও গণতান্ত্রিক আনুপাতিক আইনসভার মধ্যে এক সমঝোতা হিসাবে মৈত্রীতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো অনেকসময় দ্বিকক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।[৫]
বর্তমান উদাহরণ
[সম্পাদনা]এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] বিশ্বের জাতীয় আইনসভার প্রায় ৪০% দ্বিকক্ষ এবং ৬০% এককক্ষ এবং প্রাদেশিক স্তরে এককক্ষ আইনসভা বেশি প্রচলিত।[১]
জাতীয়
[সম্পাদনা]যুক্তরাষ্ট্রীয়
[সম্পাদনা]দেশ | দ্বিকক্ষ প্রতিষ্ঠান | টীকা | |
---|---|---|---|
উচ্চকক্ষ | নিম্নকক্ষ | ||
নেপাল | সংসদ | বাকি সমস্ত প্রাদেশিক আইনসভা এককক্ষ।[৬] | |
রাষ্ট্রীয় সভা | প্রতিনিধি সভা | ||
পাকিস্তান | সংসদ | বাকি সমস্ত প্রাদেশিক আইনসভা এককক্ষ। | |
সেনেট | জাতীয় সভা | ||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | কংগ্রেস | নেব্রাস্কা ব্যতীত বাকি সমস্ত রাজ্যের আইনসভা দ্বিকক্ষ। পুয়ের্তো রিকোর আইনসভা দ্বিকক্ষ। ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার আইনসভা এককক্ষ। | |
সেনেট | প্রতিনিধি সভা | ||
ভারত | সংসদ | ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ৬টি রাজ্যের আইনসভা দ্বিকক্ষ, যা উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ ও নিম্নকক্ষ বিধানসভা নিয়ে গঠিত। বাকি ২২টি রাজ্য এবং জম্মু ও কাশ্মীর, দিল্লি ও পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইনসভা এককক্ষ। | |
রাজ্যসভা | লোকসভা |
এককেন্দ্রিক
[সম্পাদনা]দেশ | দ্বিকক্ষ প্রতিষ্ঠান | টীকা | |
---|---|---|---|
উচ্চকক্ষ | নিম্নকক্ষ | ||
ফ্রান্স | সংসদ | বাকি সমস্ত আঞ্চলিক আইনসভা এককক্ষ। | |
সেনেট | জাতীয় সভা | ||
যুক্তরাজ্য | সংসদ | স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সংসদ এককক্ষ। | |
হাউস অব লর্ডস | হাউস অব কমন্স |
প্রাক্তন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "IPU PARLINE database: Structure of parliaments"। ipu.org। ২০২২। ৩ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Seidle, F. Leslie; Docherty, David C. (২০০৩)। Reforming parliamentary democracy। McGill-Queen's University Press। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 9780773525085।
- ↑ Julian Go (২০০৭)। "A Globalizing Constitutionalism?, Views from the Postcolony, 1945–2000"। Arjomand, Saïd Amir। Constitutionalism and political reconstruction। Brill। পৃষ্ঠা 92–94। আইএসবিএন 978-9004151741।
- ↑ "How the Westminster Parliamentary System was exported around the World"। University of Cambridge। ২ ডিসেম্বর ২০১৩। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ Wirls, D. (২০২১)। The Senate : From White Supremacy to Governmental Gridlock। University of Virginia Press। আইএসবিএন 978-0-8139-4689-4।
- ↑ "Constitution of Nepal" (পিডিএফ)। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।