নাইম কাসেম
নাইম কাসেম | |
|---|---|
| نعيم قاسم | |
.jpg) ২০০৯ সালে কাসেম | |
| হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল | |
দায়িত্বাধীন | |
| অধিকৃত কার্যালয় ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | |
| পূর্বসূরী | হাসান নাসরুল্লাহ |
| হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল | |
| কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১৯৫৩ (বয়স ৭০–৭১) কেফার ফিলা, লেবানন |
| রাজনৈতিক দল | হিজবুল্লাহ |
| দাম্পত্য সঙ্গী | "পরিচয় অজানা" |
| সন্তান | ৬ |
| শিক্ষা | লেবানিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
নাইম কাসেম (আরবি: نعيم قاسم; জন্ম ১৯৫৩) হলেন লেবাননের একজন রাজনীতিবিদ ও শিয়া ধর্মীয় নেতা। তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১][২][৩][৪]
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]কাসেম ১৯৫৩ সালে কাফার ফিলায় একটি শিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৫][৬] তিনি ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেছিলেন এবং তার শিক্ষক ছিলেন আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ হুসেইন ফাদলাল্লাহ।[৫] তিনি লেবানিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[৫]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৭০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত লেবানিজ মুসলিম ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন কাসেম।[৬] ইমাম মুসা সদরের নেতৃত্বে তিনি আমল আন্দোলনে যোগ দেন।[৫][৩] কাসেম ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইসলামিক ধর্মীয় শিক্ষা সমিতির প্রধান ছিলেন[৬] তিনি আল মুস্তফা স্কুলের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন।[৬] কাসেম হিজবুল্লাহর ভিত্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৯১ সালে, গ্রুপের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল হন।[৫][৭] ২০২৪ সালে হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর তিনি সংগঠনটির সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।[১]
কাজ এবং দৃশ্য
[সম্পাদনা]২০০৬ সালে, কাসেম হিজবুল্লাহ: দ্য স্টোরি ফ্রম উইদিন নামে একটি বই প্রকাশ করেন।আইএসবিএন ৯৭৮০৮৬৩৫৬৫১৭৫।[৮] আগস্ট ২০১১ সালে, কাসেম তার বইয়ের অষ্টম সংস্করণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন যে "বঞ্চিত দক্ষিণ লেবাননের পুনর্গঠনের জন্য আমাদেরকে বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং বিনিময়ে আমাদের অস্ত্র সমর্পণ করা হয়েছে এবং এর কাজ বন্ধ করার জন্য। কিন্তু আমরা তাদের বলেছি আমাদের [তাদের অর্থের] প্রয়োজন নেই এবং ফলাফল যাই হোক না কেন প্রতিরোধ চলবে।"[৯]
২০০৯ সালে, মুস্তাফা বদরেদ্দিন হিজবুল্লাহর সামরিক কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে ইমাদ মুগনিয়াহকে প্রতিস্থাপন করেন।[১০] কাসেম তার আত্মীয় সামির শেহাদেকে সমর্থন করে এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেননি।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ ডেস্ক, স্টার অনলাইন (২০২৪-১০-২৯)। "হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাঈম কাশেম"। The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-২৯।
- ↑ Andrew Coombes in Beirut (২০০৭)। "Interview: Naim Qassem"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ ক খ "Who is Sheikh Naim Qassem, Hezbollah's deputy leader who spoke on Monday?"। Reuters।
- ↑ "Who is Sheikh Naim Qassem, Hezbollahs deputy leader who spoke on Monday?"। LBCIV7 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-৩০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Sayyed Nasrallah re-elected for another term"। The Weekly Middle East Reporter। ৫ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ Dominique Avon; Anaïs-Trissa Khatchadourian (১০ সেপ্টেম্বর ২০১২)। Hezbollah: A History of the "Party of God"। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 210। আইএসবিএন 978-0-674-06752-3। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৩ – books.google.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Hizbullah Renews Nasrallah as Head of Shiite Party; Forms A New Shura Council"। The Daily Middle East Reporter। ২০ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Glass, Charles (১৭ আগস্ট ২০০৬)। "Learning from Its Mistakes: Charles Glass on Hizbullah"। ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Hezbollah offered billions to disarm: Qassem"। The Daily Star। ১ আগস্ট ২০১১। ৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ ক খ Barel, Zvi (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "Who's breathing down Hezbollah leader's neck?"। Haaretz। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৩।