বিষয়বস্তুতে চলুন

নেপালে পর্যটন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হোটেল শঙ্কর, কাঠমন্ডু

পর্যটন নেপালের সর্ববৃহৎ শিল্পথাত এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও রাজস্ব অর্জনের সর্ববৃহৎ উৎস। বিশ্বের সর্ব্বোচ শিঙ্গের ১০টির ৮টিই নেপালেই হওয়ায়, নেপাল পর্বতারোহী, রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষদের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্য এবং নেপালের শীতল আবহাওয়াই পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণগুলো অন্যতম।

মহাকাশ থেকে হিমালয় এবং মাউন্ট এভারেস্ট এর দৃশ্য।

সংক্ষিপ্তসার

[সম্পাদনা]

নেপাল এমন এক জনপদ যেখানে মাউন্ট এভারেস্ট, পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতম পবর্তশিঙ্গ, অবস্থিত। নেপালে আগত পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূণ আকর্ষণীয় দিকগুলো হল পর্বতারোহণ ও বিভিন্ন প্রকারের রোমাঞ্চকর পর্যটন এবং ইকোট্যুরিজম। লুম্বিনি, গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান, দক্ষিণ নেপালে অবস্থিত এবং সমগ্র নেপালজুড়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থস্থান রয়েছে।

২০১২ সালের এক জরিপ মতে, নেপালে পর্যটকদের ভ্রমণের হার ছিল ৯.৮%। ২০১১ সালে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে তা ২১.৪% পৌঁছায়, যা ছিল নেপাল পর্যটন বছর (এনটিওয়াই)। নেপাল পর্যটন বোর্ডের (এনটিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালে বিমান পথে ৫৯৮,২০৪ জন বিদেশী পর্যটক নেপালে ভ্রমণের জন্য আসেন। নেপাল সরকার ২০১১ সালকে নেপাল পর্যটন বছর (এনটিওয়াই)হিসেবে ঘোষণা করে এবং এক মিলিয়ন বিদেশী পর্যটক ভ্রমণের জন্য সে বছর নেপালে আসবে বলে আশা করেছিল।[] পযর্টন খাত নেপালের দারিদ্র বিমোচনে একটি অন্যতম পন্থা এবং দেশটির বৃহত্তর সামাজিক ঐক্য অর্জনের সহায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়। নেপালের সরকার লুম্বিনি – প্রভু বুদ্ধের জন্মস্থানকে বিশ্বময় জনপ্রিয় করার প্রয়াসে ২০১২ সালকেও লুম্বিনি পর্যটন বছর ২০১২ হিসেবে ঘোষণা করেন।

পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে, ৫২৬,৭০৫ জন বিদেশী পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করেন যা আগের বছরের তুলনায় ৩৭.২% বেশি। ২০০৮ সালে প্রায় ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে পর্যটকের সংখ্যা ৫০০,২৭৭ এ দাঁড়ায়।

২০০৮ সালে, নেপালে আগত পর্যটকদেরে ৫৫.৯% ছিল এশিয়ার (ভারতের ১৮.২%), ২৭.৫% পশ্চিম ইউরোপের, ৭.৬% উত্তর আমেরিকার, ৩.২% অস্ট্রেলিয়ার এবং ২.৬% প্যাসিফিক অঞ্চল, ২.৬% পূর্ব ইউরোপের, ১.৫% মধ্যীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার, ০.৩ আফ্রিকার এবং ১.৪% অন্যান্য দেশের পর্যটক ছিল।

পর্যটক আগমনের পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]
সাল নেপালে ভ্রমণকৃত পর্যটকদের সংখ্যা [] %
সাল বিদেশী
পর্যটক
% পূর্ববর্তী বছরের
তুলনায় পরিবর্তন
১৯৯৫ ৩৬৩,৩৯৫[]
১৯৯৬ ৩৯৩,৬১৩ ৮.৩
১৯৯৭ ৪২১,৮৫৭ ৭.২
১৯৯৮ ৪৬৩,৬৮৪ ৯.৯
১৯৯৯ ৪৯১,৫০৪ ৬.০
২০০০ ৪৬৩,৬৪৬ -৫.৭
২০০১ ৩৬১,২৩৭ -২২.১
২০০২ ২৭৫,৪৬৮ -২৩.৭
২০০৩ ৩৩৮,১৩২ ২২.৭
২০০৪ ৩৮৫,২৯৭ ১৩.৯
২০০৫ ৩৭৫,৩৯৮ - ২.৬
২০০৬ ৩৮৩,৯২৬ ২.৩
২০০৭ ৫২৬,৭০৫ ৩৭৩.৩
২০০৮ ৫০০,২৭৭ -৫.০
২০০৯ ৫০৯,৯৫৬ ১.৮৯
২০১০ ৬০২,৮৫৫ [] ১৮.২
২০১১ ৭৩৬,২১৫ [] ২১.৪
২০১২ ৮০৩,০৯২[] ৯.১
২০১৩ ৭৯৮,০০০[] -০.৭

ধর্মীয় তীর্থস্থান

[সম্পাদনা]
নেপালে জানাকি মন্দির

জানাকি মন্দির, যেথানে নেপালী দেবী সীতা ভারতীয় যুবরাজ রামকে বিবাহ করেন।

নেপালের রাষ্ট্রীয় ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম এবং পশুপতিনাথ মন্দির, বিশ্বের সর্ববৃহত্তম শিব মন্দির যা কাঠমন্ডুতে অবস্থিত, যা হাজারো তীর্থযাত্রী এবং পর্যটককে আকর্ষিত করে। অন্যান্য হিন্দু তীর্থস্থানগুলো হল- স্বর্গাদ্বারী মন্দির কমপ্লেক্স যা পিয়ুথান জেলায় অবস্থিত, জানাকি মন্দির যা নেপালের মিথিলা অঞ্চলের জানাকপুরধামে অবস্থিত, গোসাইনকুন্ডা লেক, দেবঘাট মন্দির, গোরখা জেলায় মনাকামানা মন্দির এবং ফুংলিং এর নিকটে পাথিভারা, পালপা জেলার নেপাল মহামরিয়ুনযায়া শিবাসন যেখানে ভগবান শিবের সর্ব বৃহৎ ধাতব মূর্তি অবস্থিত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Nepal aims to attract 1 million foreign tourists next year Xinhua News Agency, accessed 21 November 2010
  2. Department of Tourism (Nepal)"Tourism Statistics" (পিডিএফ)। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ June 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  5. "Nepal welcomes only 730,000 visitors during Nepal Tourism Year 2011 Nepal tourism misses 1 million ..."। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৫ 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  7. "798,000 tourists visited Nepal in 2013,arrivals down by 0.7 %"। ১৩ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৫