পদবি
পদবি হলো নামের শেষ অংশ
বাঙালি হিন্দুদের পদবি
[সম্পাদনা]ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালি হিন্দু পদবিসমূহ বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। এখানে যেমন ধর্মীয় জাতিভেদ প্রথার প্রভাব বিদ্যমান তেমনই ঐতিহ্যবাহী পেশা হতে পদবি গ্রহণের রেওয়াজ বিদ্যমান। বৈদিক যুগে কোনও পদবি হতো না। এগুলির সৃষ্টি প্রায় ১০০০ বছর আগে মাত্র। বাঙালি হিন্দুরা বহুবার নিজেদের পদবি পরিবর্তন করেছেন, কখনও পেশাভিত্তিক কারণে আবার কখনও বর্ণ প্রথার জন্য। বাঙালি হিন্দুদের পদবিসমূহ হিন্দুধর্মের চার বর্ণ যথা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র এর মাঝে ভাগ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও পরবর্তীকালে নতুন একটি বর্ণ যা কায়স্থ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে হিন্দু সমাজে, তাদের পদবিসমূহের মাঝেও বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া ব্রিটিশ শাসন আমলে ভূ-স্বামীদের আলাদা পদবি প্রদান করতেও দেখা যায়[১]।
বাঙালি মুসলিম পদবি
[সম্পাদনা]ইসলাম ধর্মের মতে কোন পদবি নেই। মুসলিমদের জাতির পিতা ইব্রাহিম। তার সময়কালে কোন পদবি ছিলো না। মূলত পিতার নামেই বংশের পরিচয় হয় বলে মুসলিমদের মাঝে পদবির ভিন্নতা দেখা যায়। লেখক ও গবেষক এস এম শাহনূর প্রণীত পদবীর সাতকাহন এ লেখেন বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত বাঙালি মুসলমানদের পদবিসমূহ বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। এখানে যেমন ধর্মীয় প্রভাব বিদ্যমান তেমনই ঐতিহ্যবাহী পেশাকেও পদবি হিসেবে গ্রহণের রেওয়াজ বিদ্যমান। অনেক হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তাদের পূর্ব পদবি পরিত্যাগ করেনি তাই অনেক মুসলিম পদবির সাথে হিন্দু পদবির মিল পাওয়া যায়।
বাঙালি খ্রিষ্টানদের পদবি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত বাঙালি খ্রিষ্টানদের পদবিসমূহ বেশ বৈচিত্রপূর্ণ। এখানে যেমন ধর্মীয় প্রভাব বিদ্যমান তেমনই ঐতিহ্যবাহী পেশাকেও পদবি হিসেবে গ্রহণের রেওয়াজ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্র আবার দেখা যায় যে, ভিনদেশীয় পদবিকে গ্রহণ করা হচ্ছে কিছুটা পরিমার্জন করে। অনেক হিন্দুরা খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণের পর তাদের পূর্ব পদবি পরিত্যাগ করেনি তাই অনেক খ্রিষ্টানদের পদবির সাথে হিন্দু পদবির মিল পাওয়া যায়। যেমন অনেক নিজের পূর্ব নামের প্রথমে শুধু একটি মাইকেল যুক্ত, উদাস্বরূপ মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
আরো পড়ুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ desk, kolkata24x7 online (২০১৬-০১-২৯)। "জানুন আপনার পদবীর রহস্য"। Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৮।