বিষয়বস্তুতে চলুন

পল ডাউনটন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পল ডাউনটন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
পল রুপার্ট ডাউনটন
জন্ম (1957-04-04) ৪ এপ্রিল ১৯৫৭ (বয়স ৬৭)
ফার্নবোরা, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
সম্পর্কজর্জ ডাউনটন (পিতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৮৮)
১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৩০ জুন ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪১)
২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৭ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২৩ মে ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৭ – ১৯৭৯কেন্ট
১৯৮০ – ১৯৯১মিডলসেক্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩০ ২৮ ৩১৪ ২৯৭
রানের সংখ্যা ৭৮৫ ২৪২ ৮,২৭০ ৩,৩৪৯
ব্যাটিং গড় ১৯.৬২ ১৬.১৩ ২৫.১৩ ২২.৬২
১০০/৫০ ০/৪ ০/০ ৬/৪৫ ০/৯
সর্বোচ্চ রান ৭৪ ৪৪* ১২৬* ৮০*
বল করেছে ৫৫
উইকেট
বোলিং গড় ৯.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭০/৫ ২৬/৩ ৬৯০/৮৯ ২৮১/৬৪

পল রুপার্ট ডাউনটন (ইংরেজি: Paul Downton; জন্ম: ৪ এপ্রিল, ১৯৫৭) কেন্ট মেট্রোপলিটনের ফার্নবোরায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি কেন্টের ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এরপূর্বে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সাল থেকে এপ্রিল, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন পল ডাউনটন

শৈশবকাল

[সম্পাদনা]

কেন্ট মেট্রোপলিটনের ফার্নবোরায় জন্মগ্রহণকারী পল ডাউনটন তার শিক্ষাজীবন সেভেনওকস প্রিপ স্কুলে, সেভেনওকস স্কুলে ও এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পন্ন করেছেন। আইনে স্নাতক, কোচিং সার্টিফিকেট এবং ক্রিকেট ও রাগবি ইউনিয়নে যুব পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্মাননা লাভ করেছেন।[]

তার পিতা জর্জ ডাউনটন যুদ্ধ পরবর্তী সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে কেন্টের পক্ষে খেলেছিলেন। পল ডাউনটনের কাউন্টি ক্রিকেটের শুরুটাও একই কাউন্টিতে হয়েছিল।

কাউন্টি ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৭৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল পল ডাউনটনের। তন্মধ্যে, ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত কেন্ট ও ১৯৮০ থেকে ১৯৯১ সালে পর্যন্ত মিডলসেক্সের পক্ষে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেছেন। ১৯৭৭ সালে যৌথভাবে ও ১৯৭৮ সালে এককভাবে কেন্ট কাউন্টির চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভ করে। স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে মিডলসেক্সে বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন। এ দলটিতেই খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময় পাড় করে দেন। ১৯৭৯ সালে কেন্টের ক্যাপ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে জন মারের অবসর গ্রহণের পর থেকে শূন্যতা পূরণে নটের সাথে প্রায়শঃই সংঘাতের সৃষ্টি হতো। তবে, ঐ বছরই অ্যালান নটের সহকারী হিসেবে অবস্থানের জের ধরে দল ত্যাগ করেন ও ১৯৮০ সালে মিডলসেক্সে চলে যান। পরবর্তীকালে জন মারে ইংল্যান্ড দলের নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে পল ডাউনটনকে বব টেলরের সহযোগী হিসেবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সফরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৮০-এর দশকে মিডলসেক্সের সফলতায় পল ডাউনটন তার বিশ্বস্ততা, মিশুকে মনোভাব নিয়ে দলের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হয়েছিলেন। মিডলসেক্সের পক্ষে অভিষেক ঘটা প্রথম-শ্রেণীর খেলায় দলীয় অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলি তাকে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে মাঠে নামান। এ দুজন উদ্বোধনী জুটিতে ১৬০ রান তুলেছিলেন।[] ১৯৮০ সালে মিডলসেক্সকে চ্যাম্পিয়নশীপ/জিলেটের দ্বৈত শিরোপা এনে দেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে মাইক ব্রিয়ারলির অধিনায়কের দায়িত্বে থাকাকালে পল ডাউনটন মিডলসেক্সের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকতেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সাবেক পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার পল ডাউনটন তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩০ টেস্ট ও ২৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ অ্যালান নট ও বব টেলরের ন্যায় অসাধারণ উইকেট-রক্ষকের পরই দলে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ফলে, দলে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পাননি।

১৯৮০ সালের শীতকালে ক্যারিবীয় সফরের জন্য মনোনীত হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। ত্রিনিদাদে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। জ্যামাইকায় ২৬ রান করে দলকে রক্ষা করার ন্যায় ভূমিকা পালন করে ঐ সফর শেষ করেন। ১৯৮১ সালে সালের গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজের প্রথম টেস্টের পর ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়েন। প্রথম টেস্টে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়ে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়। ফলশ্রুতিতে পরের টেস্টেই বব টেলর তার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত আসা-যাওয়ার পালায় তাকে থাকতে হন।

১৯৮৪ সালের গ্রীষ্মকালের পূর্ব-পর্যন্ত আর কোন টেস্টে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ঐ বছর বব টেলরের অবসর গ্রহণের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করতে পুনরায় তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর থেকে পরবর্তী তেইশ টেস্টে একনাগাড়ে খেলতে থাকেন।[] ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনিই ইংল্যান্ডের প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক ছিলেন। এ সময়ে ব্যাটিংয়েরও উত্তরণ ঘটান; বিশেষ করে দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলিংয়ের বিপক্ষে বেশ সফলতা পেয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম তিন টেস্ট পর্যন্ত খেলেন। কিন্তু, রান সংগ্রহে তার নিম্নমূখীতায় দল নির্বাচকমণ্ডলী বাদ দেন।

চোখের অল্প আঘাত থেকে আরোগ্য লাভ করতে না পারায় ১৯৯১ সালে পল ডাউনটনের ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। ১৯৯০ সালে বেসিনস্টোকে সানডে লীগের খেলায় স্ট্যাম্পের বেইল চোখে লাগে।[] ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কেজনোভ এন্ড কোম্পানির স্টকব্রোকারের দায়িত্ব পালন করেন।[] এ সময়ে তিনি চোখের আঘাতে ভুগছিলেন। ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের পর সিটিতে সফলতম অধ্যায় অতিবাহিত করেন।

১৬ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপক পরিচালক পদে মনোনীত করা হয়। গ্ল্যামারগনের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হিউ মরিসের শূন্যতা পূরণে ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে তিনি স্থলাভিষিক্ত হন।[] ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর ৮ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে তিনি এ দায়িত্বভার ত্যাগ করেন।[] ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে কেন্ট কর্তৃপক্ষ পল ডাউনটনকে ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে মনোনীত করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 54–55। আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. Hughes, Simon (১৯ অক্টোবর ২০১৩)। "England have picked a diamond in decent, dignified and debonair Paul Downton as managing director"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৩ 
  3. "ECB names Paul Downton as new managing director in reshuffle"BBC Sport। BBC। ১৬ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  4. "ECB: Paul Downton leaves ECB role after dismal World Cup"BBC Sport। BBC। ৮ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]