বিষয়বস্তুতে চলুন

ফ্রান্সেস ওল্ডহ্যাম কেলসি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রান্সেস ওল্ডহ্যাম কেলসি
জন্ম(১৯১৪-০৭-২৪)২৪ জুলাই ১৯১৪
মৃত্যু৭ আগস্ট ২০১৫(2015-08-07) (বয়স ১০১)
অন্টারিও, কানাডা
মাতৃশিক্ষায়তনব্রিটিশ কলাম্বিয়া ভিক্টোরিয়া কলেজ
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাফার্মাকোলজিস্ট, চিকিৎসক

ফ্রান্সেস ওল্ডহ্যাম কেলসি, সিএম (ইংরেজি: Frances Oldham Kelsey; [২৪ জুলাই, ১৯১৪ - ৭ আগস্ট, ২০১৫) ছিলেন একজন কানাডীয়-মার্কিন[] ফার্মাকোলজিস্ট ও চিকিৎসক। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) পর্যালোচক হিসাবে, তিনি বাজারজাতের জন্য থ্যালিডোমাইড অনুমোদন করতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ তিনি ওষুধটির নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।[] তার উদ্বিগ্ন সমর্থনলাভ করে যখন গবেষকরা প্রমাণিত করেন যে থ্যালিডোমাইড গুরুতর জন্ম ত্রুটি সৃষ্টিকারী।[] তার এই কাজের জন্যে কেলসি শুধমাত্র দ্বিতীয় নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট'স অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্টিংগুইসেদ ফেডারেল সিভিলিয়ান সার্ভিস পুরস্কার পান।[] পুরস্কারটি তাকে প্রদান করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জন এফ. কেনেডি[] এই কাজের জন্যেই তার সম্পর্কে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট দৈনিক পত্রিকা তাদের সামনের পাতাতে লেখা ছাপিয়েছিল।[] তার কর্মজীবনে কেলসি এফডিএ-এর ডাক্তারি ঔষধের পরীক্ষা, নজরদারি ও আইন কঠোর করার কাজ করেছেন।[][][]

কেলসি কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন।[] সেখানকার একটি স্থানীয় বিদ্যালয় ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।[১০] ১৯৩৪ সালে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে তিনি ফার্মাকোলজিতে ব্যাচেলর অব সাইয়েন্স এবং তার পরের বছর সেই একই শাখায় স্নাতকোত্তর লাভ করেন।[] তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগে কাজ করেন এবং তার ঔষধের উপর আগ্রহ জাগে।[১১] ১৯৩৮ সালে তিনি সেই শাখাতেই পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[১০] তিনি ১৯৫০-এর দশকে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব পান, যাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তার চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চা অবিরত রাখতে পারেন।[] তিনি এফডিএ-তে ৪৫ বছর সেবা করেছিলেন (১৯৬০ থেকে ২০০৫; ৯০ বছর বয়সে তিনি অবসর গ্রহণ করেন)।[১২] ২০১০ সালে এফডিএ তার নামে তাদের কর্মচারীদের জন্যে বার্ষিক পুরস্কার চালু করে।[১৩] ২০১৫ সালে কেলসি ১০১ বছর বয়সে মারা যান।[]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. McFadden, Robert (আগস্ট ৭, ২০১৫), Frances Oldham Kelsey, F.D.A. Stickler Who Saved U.S. Babies From Thalidomide, Dies at 101 (ইংরেজি ভাষায়), The New York Times, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৭, ২০১৫ .
  2. Peritz, Ingrid (নভেম্বর ২৪, ২০১৪), Canadian doctor averted disaster by keeping thalidomide out of the U.S. (ইংরেজি ভাষায়), The Globe and Mail, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৭, ২০১৫ .
  3. Simpson, Joanne Cavanaugh (সেপ্টেম্বর ২০০১), "Pregnant Pause", Johns Hopkins Magazine (ইংরেজি ভাষায়), 53 (4), সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০০৬ .
  4. Women of the Hall – Frances Kathleen Oldham Kelsey, Ph.D., M.D. (ইংরেজি ভাষায়), National Women's Hall of Fame, ২০০০, আগস্ট ২১, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ মে ১, ২০০৬ .
  5. Kennedy, John F. (১৯৬২), Remarks Upon Presenting the President's Awards for Distinguished Federal Civilian Service (ইংরেজি ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ মে ১, ২০০৬ .
  6. Bernstein, Adam; Sullivan, Patricia (আগস্ট ৭, ২০১৫), Frances Oldham Kelsey, FDA scientist who kept thalidomide off U.S. market, dies at 101 (ইংরেজি ভাষায়), The Washington Post, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৭, ২০১৫ .
  7. "The Story Of The Laws Behind The Labels", FDA Consumer (ইংরেজি ভাষায়), জুন ১৯৮১, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০০৯ .
  8. Frances Oldham Kelsey (ইংরেজি ভাষায়), Chemical Heritage Foundation, জুলাই ১২, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৩, ২০১৪ 
  9. "Frances Kelsey", Canada Heirloom Series (ইংরেজি ভাষায়), Heirloom Publishing Inc., ৯৮৬, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০০৯ .
  10. Bren, Linda (মার্চ–এপ্রিল ২০০১), "Frances Oldham Kelsey: FDA Medical Reviewer Leaves Her Mark on History", FDA Consumer (ইংরেজি ভাষায়), অক্টোবর ২০, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০০৯ .
  11. Spiegel, Rachel, Research in the News: Thalidomide (ইংরেজি ভাষায়), আগস্ট ২২, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০০৯ .
  12. Rouhi, Maureen (জুন ২০, ২০০৫), "Top Pharmaceuticals: Thalidomide", Chemical & Engineering News (ইংরেজি ভাষায়), 83 (25), সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০০৬ .
  13. Layton, Lyndsey (সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১০), "Physician to be honored for historic decision on thalidomide", The Washington Post (ইংরেজি ভাষায়) .
  14. Gold Key Award Recipients (ইংরেজি ভাষায়), The University of Chicago The Medical & Biological Sciences Alumni Association, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৪, ২০০৬ .
  15. Geraghty, Karen (জুলাই ২০০১), "Profile of a Role Model – Frances Oldham Kelsey, MD, PhD", Virtual Mentor – American Medical Association Journal of Ethics (ইংরেজি ভাষায়), 7 (7), সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০০৯ .
  16. 2006 Foremothers Awards Luncheon (ইংরেজি ভাষায়), National Research Center for Women & Families, মে ১৪, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০০৯ .
  17. "FDA honors one of its own"CNN blog (ইংরেজি ভাষায়)। সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০। সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৯, ২০১৫ 
  18. "Honorary doctor of science degree from Vancouver Island University", Nanaimo News Bulletin (ইংরেজি ভাষায়), Black Press, Inc., ২০১২-০৬-০৬, ২০১৪-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০২ .
  19. Ingrid Peritz (জুলাই ১, ২০১৫), "Doctor who opposed thalidomide in U.S. named to Order of Canada", The Globe and Mail (ইংরেজি ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১, ২০১৫ .

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]
  • Bren, Linda (মার্চ–এপ্রিল ২০০১), "Frances Oldham Kelsey: FDA Medical Reviewer Leaves Her Mark on History", FDA Consumer (ইংরেজি ভাষায়), অক্টোবর ২০, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০০৯ 
  • Harris, Gardiner (সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১০), The Public's Quiet Savior From Harmful Medicines (ইংরেজি ভাষায়), The New York Times .
  • Harris, Steven B. (১৯৯২), The Right Lesson to Learn from Thalidomide (ইংরেজি ভাষায়), ২০০১-০৪-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা .
  • Kelsey, Frances O. (১৯৯৩), Autobiographical Reflections (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়) . This was drawn from oral history interviews conducted in 1974, 1991, and 1992; presentation, Founder's Day, St. Margaret's School, Duncan, B. C., 1987; and presentation, groundbreaking, Frances Kelsey School, Mill Bay, B. C., 1993.
  • Mintz, Morton (১৯৬৫), The therapeutic nightmare; a report on the roles of the United States Food and Drug Administration, the American Medical Association, pharmaceutical manufacturers, and others in connection with the irrational and massive use of prescription drugs that may be worthless, injurious, or even lethal. (ইংরেজি ভাষায়), Boston: Houghton Mifflin, এলসিসিএন 65015156 . Library of Congress catalog entry.
  • McFadyen, R. E. (১৯৭৬), "Thalidomide in America: A Brush With Tragedy", Clio Medica (ইংরেজি ভাষায়), 11 (2): 79–93 .
  • Mulliken, J. (আগস্ট ১০, ১৯৬২), "A Woman Doctor Who Would Not be Hurried", Life Magazine (ইংরেজি ভাষায়), 53: 28–9, এলসিসিএন 37008367 .
  • Perri III, Anthony J.; Hsu MD, Sylvia (২০০৩), "A review of thalidomide's history and current dermatological applications", Dermatology Online Journal (ইংরেজি ভাষায়), 9 (3): 5, পিএমআইডি 12952752, সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৪, ২০০৬ .
  • Seidman, Lisa A.; Warren, Noreen (সেপ্টেম্বর ২০০২), "Frances Kelsey & Thalidomide in the US: A Case Study Relating to Pharmaceutical Regulations", The American Biology Teacher (ইংরেজি ভাষায়), 64 (7): 495, ডিওআই:10.1662/0002-7685(2002)064[0495:FKTITU]2.0.CO;2, 7 .
  • Stamato, Linda (ডিসেম্বর ১৭, ২০১২), "Thalidomide, after fifty years: A tribute to Frances Oldham Kelsey and a call for thorough, responsible federal drug regulation and oversight", NJ Voices (ইংরেজি ভাষায়), NJ.com .