বেগমপেট বিমানবন্দর
বেগমপেট বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সামরিক/পাবলিক | ||||||||||
পরিচালক | ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ | ||||||||||
অবস্থান | বেগমপেট, হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ভারত | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১,৭৪২ ফুট / ৫৩১ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ১৭°২৭′১১″ উত্তর ০৭৮°২৮′০৩″ পূর্ব / ১৭.৪৫৩০৬° উত্তর ৭৮.৪৬৭৫০° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | aai.aero/allAirports/... | ||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
|
বেগমপেট বিমানবন্দর (আইএটিএ: বি.পি.এম., আইসিএ: ভিওহাই) হল হায়দ্রাবাদের একটি বিমানবন্দর, এটি হায়দ্রাবাদ পুরোনো বিমানবন্দর নামেও পরিচিত বেগুমপেটের একটি বেসামরিক এনক্লেভ। বিমানবন্দরটিতে রাজিব গান্ধী এভিয়েশন একাডেমী বা "রাজীব গান্ধী বিমান চলাচল একাডেমীর" (আরজেএএ) এবং ভারতীয় বিমানবাহিনীর বেগপেট এয়ার ফোর্স স্টেশন অবস্থিত। এখানে অবস্থিত প্রশিক্ষণ কমান্ডের ন্যাভিগেশন ট্রেনিং স্কুল, ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স, যা প্রথমে ন্যাভিগেশন এবং সিগন্যাল স্কুল (এনএন্ডএসএস) নামে পরিচিত ছিল। বেগুমপেট বিমানবন্দর ২৩ শে মার্চ ২০০৮ সালে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন হওয়ার আগে পর্যন্ত হায়দরাবাদের আন্তর্জাতিক ও অন্তর্দেশীয় বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা পরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২২ মার্চ ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড এয়ারওয়েজের ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে উড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক উড়ান " টি জি ৩৩০" বিমানবন্দরটির শেষ বাণিজ্যিক উড়ান ছিল।
বেগমপেট এখন সামরিক বিমানচালনা প্রশিক্ষণ এবং ভিআইপিদের বহনকারী উড়ানগুলির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় বেগুমপেট বিমানবন্দরে একটি এ টি সি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বেগমপেট বিমানবন্দরটি হায়দ্রাবাদের শেষ নিজাম দ্বারা "হায়দরাবাদ এ্যারো ক্লাব"য়ের সঙ্গে ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে এটি হায়দ্রাবাদের নিজাম দ্বারা একটি অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল, নিজামের ডেকান এয়ারওয়েজের বিমান সংস্থার মাধ্যে। এটি ব্রিটিশ ভারতে প্রারম্ভিক এবং প্রথম বিমানের একটি। বিমানবন্দরটির টার্মিনাল ভবন ১৯৩৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল। [১] একটি নতুন টার্মিনাল ভবন দক্ষিণ দিকে ১৯৭২ সালে নির্মিত এবং পরে এটি প্রধান বিমানবন্দর হয়ে ওঠে। বেগুমপেটে পুরনো টার্মিনালকে 'পুরনো বিমানবন্দর' বলা হয়। নতুন টার্মিনাল ভবন দুটি চেক-ইন টার্মিনাল দ্বারা গঠিত।
বেগুমপেট বিমানবন্দরটি বন্ধের সময়, এটি ভারতে ৬ ম ব্যস্ততম বিমানবন্দর ছিল। এটি একটি এ৩২০ এবং বোয়িং ৭৩৭ হ্যান্ডেল করতে সক্ষম, টার্মিনাল ব্লকে ১৩ টি পার্কিং বে ছিল এবং পাঁচটি "রাতের পার্কিং বে" উত্তর দিকে রয়েছে। বিমানবন্দর ছিল সীমিত ভাবে রাতের অবতরণ সুবিধা যুক্ত এবং সরাসরি উড়ানের অভাবের কারণে অন্ধ্রপ্রদেশের আন্তর্জাতিক উড়ানের শুধুমাত্র ৩০% বিমানবন্দরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হত। [২]
বেগমপেট বিমানবন্দরটির সম্ভাব্যতার কারণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে যাত্রী পরিবহনের প্রবৃদ্ধি হারে অনুমান করা হয় ৪৫%, যা ভারতীয় বিমানবন্দরগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। বিমানবন্দরটি থেকে ১৬ টি আন্তর্জাতিক এবং ১০ টি অন্তর্দেশীয় বিমানসংস্থা দ্বার প্রায় ৩০০ উড়োজাহাজের গতিবিধি নিয়ে প্রতিদিন ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন য়ের বিমানবাহিনী এক বেগমপেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে ২০০০ সালের প্রথম দিকে হায়দ্রাবাদ সফরের সময়।
ভারত বেসামরিক বিমান পরিবহন বিমান প্রদর্শনি
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Begumpet Airport History"। ২১ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৮।
- ↑ "Airports in Andhra Pradesh" (পিডিএফ)। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। (4.53 KiB)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Hyderabad Airport at Airports Authority of India web site
- VOHY সম্পর্কিত বিমানবন্দর তথ্যাদি - ওয়ার্ল্ড এ্যারো ডাটা
- HYD-এর দুর্ঘটনার ইতিহাস - এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক