মাদানী সূরা
অবয়ব
পবিত্র কুরআনে মাদানী সূরা বলতে নবি মুহাম্মাদের হিজরতের পরে অবতীর্ণ সূরাগুলোকে বোঝানো হয়। মুহাম্মাদের হিজরতের পরে অর্থাৎ মদীনায় আগমনের পর অবতীর্ণ হওয়া সকল সূরাই মাদানী সূরা। ইয়াহিয়া ইবনে সালামের মতে, "মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মদিনায় হিজরতের পর মদিনার বাইরে সফরে থাকাকালীন সময়ে নাজিল হওয়া সূরাগুলোও মাদানি সূরা হিসাবে গণ্য হবে।"
সংখ্যা ও তালিকা
[সম্পাদনা]মাদানী সূরার সংখ্যা মোট ২৮ টি। মাদানী সূরাসমূহের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো:
- সূরা আল-বাকারা
- সূরা আল-ইমরান
- সূরা আন-নিসা
- সূরা আল-মায়িদাহ
- সূরা আল-আনফাল
- সূরা আত-তাওবাহ
- সূরা আত-তাগাবুন
- সূরা আত-তালাক
- সূরা আত-তাহরীম
- সূরা আত্ব-তূর
- সূরা আদ-দাহর
- সূরা আন-নূর
- সূরা আর-রাদ
- সূরা আর-রাহমান
- সূরা আল-আহযাব
- সূরা আল-জুমুআ
- সূরা আল-ফাত্হ
- সূরা আল-মুজাদালাহ
- সূরা আল-মুনাফিকুন
- সূরা আল-মুমতাহিনাহ
- সূরা আল-হাদীদ
- সূরা আল-হাশর
- সূরা আল-হুজুরাত
- সূরা আস-সাফ
- সূরা মুহাম্মদ
- সূরা বাইয়্যিনাহ
- সূরা যিলযাল
- সূরা নাসর
বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]- মাদানী সূরায় ইবাদত, সামাজিক আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি, পরস্পরের লেনদেন, ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ-অবৈধ, উত্তরাধিকার আইন, জিহাদ, ব্যবসা-বাণিজ্য, পররাষ্ট্রনীতি, বিচার ব্যবস্থা, দন্ডবিধি, পারিবারিক, আর্থ সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও সমষ্টিগত জীবনের যাবতীয় সমাধানের উল্লেখ রয়েছে।
- মাদানী সূরায় বিশেষভাবে আহলে কিতাব তথা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের প্রতি ইসলাম গ্রহণের জন্য আহবান জানান হয়েছে।
- মাদানি সূরাসমূহে আহলে কিতাবদের সত্যবিমুখতার কথা এবং তাদের কিতাব বা ধর্মগ্রন্থসমূহের বিকৃতি সাধনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
- মাদানি সূরাসমূহে মুনাফিকদের কপট আচরণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটন করা হয়েছে।
- মাদানি সূরাগুলো সাধারণত দীর্ঘ। কারণ এতে শরিয়তের বিধি-বিধানকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
- জয়-পরাজয়, বিপদ-শান্তি, নিরাপত্তা, ভীতি ইত্যাদি অবস্থায় মুসলমানদের কর্তব্য সম্পর্কে এই সূরাসমূহে অবগত করা হয়েছে।