রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র | |
---|---|
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
অঞ্চল | হবিগঞ্জ |
সমুদ্রতীরাতিক্রান্ত/ডাঙাবর্তী | ডাঙাবর্তী |
স্থানাঙ্ক | ২৪°১৭′৪৩″ উত্তর ৯১°৩৫′১২″ পূর্ব / ২৪.২৯৫২২২৭° উত্তর ৯১.৫৮৬৭২৮৯° পূর্ব |
পরিচালক | সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড |
অংশীদার | গাজপ্রম |
ক্ষেত্রের ইতিহাস | |
আবিষ্কার | ১৯৬০ |
উৎপাদন সূচনা | ১৯৯৩ |
রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের হবিগঞ্জে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি এটি আবিষ্কার করে।[১] ১৯৭৫ সালে এই গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন হয়।[২] সরকারি কোম্পানি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড এটি পরিচালনা করছে।[৩][৪]
ভূগোল
[সম্পাদনা]১৯৪৬ সালে সর্বপ্রথম বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের রশিদপুর নামক পাহাড়ী এলাকায় একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়।[৫] রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুরে অবস্থিত।[৬] ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে এখানে ১টি কূপ খনন করা হয় ও ২টি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।[৫] নর্থ-সাউথ পাইপলাইন কোম্পানির গ্যাসের চাহিদা মেটাতে মোট ৮টি কূপ খনন করা হয় এবং সংযুক্ত করা হয়। ২০১৫ সালে গাজপ্রমকে শ্রীকাইল ও বাখরাবাদের পাশাপাশি রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রও খনন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অনুসন্ধান
[সম্পাদনা]১৯৯৩ সালে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৭টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।[৭][৮] ২০১১ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাপেক্স একটি ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ পরিচালনা করে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ নতুন করে শনাক্ত করে৷[৯][১০] ২০১৪ সালে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৮নং কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।[৭] ২০১৫-এর এক হিসেব অনুসারে, এই গ্যাসক্ষেত্রের মজুদের পরিমাণ ৫ দশমিক ২ টিসিএফ।[৪] ২০১৬ সালে এখান থেকে অকটেন উৎপাদন করার কথা জানানো হয়।[১১] রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের পাঁচটি কূপের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট থাকলেও ২০১৯ সালে তা হ্রাস পেয়ে ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে আসে।[১২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "জ্বালানি খাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ছে"। দৈনিক মানবকণ্ঠ। ৫ মার্চ ২০২০। ৪ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস আজ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৯ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সুনেত্র ও রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র সম্পর্কে পেট্রোবাংলার ব্যাখ্যা"। ৩ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ "চার গ্যাসক্ষেত্র চায় হ্যালিবার্টন"। kalerkantho। ১৬ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "প্রাকৃতিক সম্পদ"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "দেশের অর্ধেকের বেশি গ্যাস মজুদ হবিগঞ্জে!"। দৈনিক যুগান্তর। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "প্রতিদিন দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন"। dailykalbela। আগস্ট ৩, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আগামী মাসেই রশিদপুরের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে! (বাংলাদেশ প্রতিদিন)"। প্রিয়.কম। ৩ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির লংমার্চ"। ডিডাব্লিউ বাংলা। ২৮ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "'ঢাকা-সুনেত্র' লং মার্চ করবে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি"। bdnews24। ৮ অক্টোবর ২০১১। ২৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "দেশে ৩ বছরের মধ্যে চাহিদার বেশি অকটেন উৎপাদন হবে"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ডিসেম্বর ১০, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার, ইওআই আহ্বানের নির্দেশ"। সারাবাংলা.নেট। এপ্রিল ২৮, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।