বিষয়বস্তুতে চলুন

লুই আরাগোঁ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লুই আরাগোঁ
জন্মLouis Andrieux
(১৮৯৭-১০-০৩)৩ অক্টোবর ১৮৯৭
প্যারিস
মৃত্যু২৪ ডিসেম্বর ১৯৮২(1982-12-24) (বয়স ৮৫)
প্যারিস
জাতীয়তাফ্রান্স
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিলে লেত্র ফ্রঁসেজ (Les Lettres françaises), পুর আঁ রেয়ালিজম সোসিয়ালিস্ত (Pour un réalisme socialiste)
লুই আরাগোঁএবং এলসা ট্রায়োলেটের সমাধি

লুই আরাগোঁ (ফরাসি: Louis Aragon) ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট ফরাসি রোমান্টিক কবি, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৩রা অক্টোবর প্যারিস শহরে তাঁর জন্ম হয়। তিনি বড় হয়েছেন মা ও মাতামহের কাছে। তার পিতা লুই অঁদ্রিও ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের ফরকালকিয়ে শহরের পৌর কর্মকর্তা। তবে অঁদ্রিও আরাগোঁকে সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেননি, যা পরবর্তী সময়ে আরাগোঁর কাব্যকর্মকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল।

আরাগোঁ ১৯১৯ থেকে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শিল্প-সাংস্কৃতিক আন্দোলন দাদাবাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত ছিরেন। তিনি ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে পরাবাস্তববাদী শিল্পকলা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই তিনি ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে পার্টির পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। আরাগোঁ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় রূপবন্ধে কবিতা লিখেছেন। প্রচলিত ঘরানার কবিতা এবং নিরীক্ষাধর্মিতা উভয়েরই সমান গুরুত্ব ছিল তাঁর কাছে। এ দুটি ধারাতেই তিনি নবপ্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে তিনি প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।[] আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ কবি বিষ্ণু দে লুই আরাগোঁর অনুরাগী ছিলেন; তাঁর কবিতা বাংলায় তর্জমা করেছেন; তাঁর বিষয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন। এছাড়াও বাংলার আর এক কবি, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক লোকনাথ ভট্টাচার্যও তাঁর বহু কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেছেন। ভট্টাচার্য তাঁর বাংলা কবিতা ফরাসি ভাষায় তর্জমা করে তার লের্ত্র ফ্রাসেজ পত্রিকায় "সূর্য সেন" ছদ্মনামে প্রকাশ করেন। কবি লুই আরাগোঁর একটি প্রসিদ্ধ উক্তি হলো: “পুরুষের ভবিষ্যত হচ্ছে নারী।” ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে রুশ-বংশোদ্ভূত ফরাসি লেখিকা এলসা ত্রিওলে-র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বহু কবিতায় আরাগোঁ তার স্ত্রী এলসা-র জয়গাথা রচনা করেছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ইমরান হাসান সংকলিত তথ্যকণিকা"। ৬ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]