মর্যাদা
অবয়ব
মর্যাদা হলো একজন ব্যক্তির তার নিজের জন্য শ্রদ্ধেয় এবং সম্মানিত হওয়ার অধিকার। এর জন্য প্রয়োজন নৈতিকভাবে আচরণ করা। মর্যাদা হলো এমন একটি শব্দ যা সামাজিক এবং রাজনৈতিক আলোচনায় ব্যবহৃত হয় এটা বোঝাতে যে একটি সত্তার সম্মান এবং নৈতিক আচরণের সহজাত অধিকার রয়েছে। মর্যাদা এমন কিছু নির্দেশ করে, যেটি সকল মানুষের মাঝে উপস্থিত, যা মানুষের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা অথবা কল্পনা, স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা করার শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মর্যাদার ভিত্তি হল সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক। আর এই মর্যাদাবােধই একটি স্তরকে অন্যের থেকে পৃথক করে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- মাতৃভাষার মাধ্যম ছাড়া জাতীয় চেতনার বিকাশ সম্ভব নয়। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মাতৃভাষার মর্যাদা সম্পর্কে যে অভুতপূর্ব সচেনতা দেখা দিয়েছে তা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম অবদান।
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র- দ্বিতীয় খণ্ড, প্রকাশক- হাক্কানী পাবলিশার্স, ঢাকা, প্রকাশসাল- ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ (১৪১৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৩৬
- মর্যাদা দিতে এই পতাকার
করিল মৃত্যুপণ;
এ পতাকা তলে এসো দলে দলে
কিশোর-কিশোরীগণ।
বিদেশী শাসক দুরে অপগত,
শোষণের হ’ল শেষ,
সিংহের সাথে সংগ্রাম ক’রে
মোরা ফিরে পেনু দেশ।- পতাকা-উত্তোলন- সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা- সুনির্মল বসু, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৮
- নব চেতনার বহালে জোয়ার কোথাও পাবে না বাধা,—
বাঙালী আবার ফিরে পাবে সেই শৌর্যের মর্যাদা।- আমরা বাঙালী- সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা- সুনির্মল বসু, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৫৬
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে মর্যাদা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিঅভিধানে মর্যাদা শব্দটি খুঁজুন।