দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এশিয়া মহাদেশের একটি অঞ্চল যা গণচীনের দক্ষিণে, ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বে ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত দেশ ও অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত।[৫] দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তর সীমানায় পূর্ব এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ওশেনিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগর অবস্থিত। অঞ্চলটির সিংহভাগ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত হলেও এর কিয়দংশ দক্ষিণ গোলার্ধেও অবস্থিত, যা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একমাত্র এশীয় মহাদেশীয় অংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে দুইটি ভৌগোলিক অঞ্চলের সমষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়:
- মহাদেশীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, যা এশিয়া মহাদেশের মূল ভূ-খণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় অবস্থিত একটি উপদ্বীপ। একে ঐতিহাসিকভাবে ইন্দোচীন নামেও ডাকা হয়। এটি কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম রাষ্ট্রগুলি নিয়ে গঠিত। এখানে মূলত তাই ও অস্ট্রো-এশীয় জাতির লোকেরা বাস করে।
- সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, যা এশিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সমুদ্রে অবস্থিত বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ ও একটি বৃত্তচাপাকৃতি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে নুসান্তারা, পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, কিংবা মালয় দ্বীপপুঞ্জ নামেও উল্লেখ করা হয়। অঞ্চলটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (ভারত), অ্যাশমোর ও কার্টিয়ার দ্বীপপুঞ্জ (অস্ট্রেলিয়া), ব্রুনাই, ক্রিসমাস দ্বীপ (অস্ট্রেলিয়া), কোকোস দ্বীপপুঞ্জ (অস্ট্রেলিয়া), পূর্ব মালয়েশিয়া, পূর্ব তিমুর, ইন্দোনেশিয়া ( পশ্চিম নতুন গিনি ব্যতীত, যাকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়), ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর। এখানে মূলত অস্ট্রোনেশীয় জাতির লোকেরা বাস করে।[৬]
আয়তন | ৪৫,৪৫,৭৯২ কিমি২ (১৭,৫৫,১৪০ মা২) |
---|---|
জনসংখ্যা | ৬৫৫,২৯৮,০৪৪ (৩য়)[১][২] |
জনঘনত্ব | ১৩৫.৬/কিমি২ (৩৫১/বর্গমাইল) |
জিডিপি (পিপিপি) | $৯.৭২৭ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার[৩] |
জিডিপি (মনোনীত) | ৩.৩১৭ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার (বিনিময় হার)[৪] |
মাথাপিছু জিডিপি | ৫,০১৭ মার্কিন ডলার (exchange rate)[৪] |
এইচডিআই | ০.৭২৩ |
জাতিগোষ্ঠী | আদিবাসী দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অস্ট্রো-এশীয়, অস্ট্রোনেশীয়, নেগ্রিতো, লোলো-বর্মী জাতি ও তাই জাতিসমূহ পূর্ব এশীয় হান, ওকিনাওয়ান এবং ইয়ামাতো |
ধর্ম | প্রাণবাদ, বৌদ্ধধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, কনফুসীয়বাদ, হিন্দুধর্ম, ইসলাম, শিন্তো, তাই লোকধর্ম, তাওবাদ and ভিয়েতনামীয় লোকধর্ম |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় |
দেশসমূহ | |
ভাষাসমূহ | সরকারী ভাষাসমূহ অন্যান্য ভাষা
|
সময় অঞ্চলসমূহ | |
ইন্টারনেট টিএলডি | .bn, .id, .kh, .la, .mm, .my, .ph, .sg, .th, .tl, .vn |
কল কোড | Zone 6 & 8 |
বৃহত্তম শহরসমূহ | রাজধানী নগরীসমূহ |
ইউএন এম৪৯ কোড | 035 – South-eastern Asia142 – Asia001 – World |
অঞ্চলটি অনেকগুলি ভূত্বক-গঠনকারী মহাদেশীয় পাত সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মূলত চারটি ধর্মের মানুষ বসবাস করে: বৌদ্ধ ধর্ম (মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম), ইসলাম ধর্ম (মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই) ও খ্রিস্টধর্ম (ফিলিপাইন এবং পূর্ব তিমুর) এবং হিন্দু ধর্ম (ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ও অন্যত্র)।
আবহাওয়া ও জলবায়ু
সম্পাদনাআদি সংস্কৃতি
সম্পাদনাজনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য সত্ত্বেও এ অঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের সাংস্কৃতিক জীবনে অনেক মিল ছিল। আদিতে সংস্কৃতি ছিল মেসোলিথিক। খ্রিস্টপূর্ব দুই বা তিন হাজার বছর আগে ইন্দোনেশীয় নরগোষ্ঠীর মানুষ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আসার পর তাদের মধ্যে নব্য প্রস্তর যুগের চতুষ্কোণ বাটালির প্রচলন দেখা গেছে। তাছাড়া নব্য প্রস্তর যুগের মৃৎপাত্র বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাওয়া গেছে। ব্রোঞ্জ-লৌহ যুগের ডোংসন সংস্কৃতির নিদর্শন ব্রোঞ্জের ড্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সর্বত্র দেখা গেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইতিহাস
সম্পাদনানামকরণঃ
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া (Southeast Asia) কথাটি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ১৮৩৯ সালে আমেরিকার একজন ধর্মযাজক হাওয়ার্ড ম্যালকমের(Howard Malcom) এর একটি ভ্রমণ বৃত্তান্তে।যিনি আমেরিকার ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি সোসাইটির উদ্যোগে নানা অজানা তথ্য আহরণের জন্য এই অঞ্চলে এসেছিলেন। তার বিবরনীটির শিরোনাম ছিলো ট্রাভেলস ইন সাউথ ইস্টার্ন এশিয়া এম্ব্রেসিং হিন্দু স্থান,মালয়,শ্যাম এন্ড চায়না এন্ড দ্যা বার্মা এম্পায়ার (Travels in south eastern Asia embracing Hindustan,Malay,Shyam and চীন and the Burma Empire)।
মূলত এ বিবরনেই প্রথম সাউথ ইষ্ট এশিয়া অর্থ্যাৎ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কথাটির সচেতন উল্লেখ পাওয়া যায়।[৭]
প্রাক ইউরোপীয় যুগ
সম্পাদনাইউরোপীয় যুগ
সম্পাদনাআধুনিক যুগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ""World Population prospects – Population division""। population.un.org। United Nations Department of Economic and Social Affairs, Population Division। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ ""Overall total population" – World Population Prospects: The 2019 Revision" (xslx)। population.un.org (custom data acquired via website)। United Nations Department of Economic and Social Affairs, Population Division। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ ASEAN Community in Figures (ACIF) 2013 (পিডিএফ) (6th সংস্করণ)। Jakarta: ASEAN। ফেব্রু ২০১৪। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 978-602-7643-73-4। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫।
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;IMF
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Klaus Kästle (১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Map of Southeast Asia Region"। Nations Online Project। One World – Nations Online। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
Southeast Asia is a vast subregion of Asia, roughly described as geographically situated east of the Indian subcontinent, south of চীন, and northwest of Australia. The region is located between the Indian Ocean and the Bay of Bengal in the west, the Philippine Sea, the South চীন Sea, and the Pacific Ocean in the east.
- ↑ Shaffer, Lynda Norene (২০১৫-০২-১৮)। Maritime Southeast Asia to 500 (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781317465201।
- ↑ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস, জহর সেন ২য় সংস্করণ ১৯৯৬/বি পৃষ্ঠা-১