বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ
বাংলাদেশের নদী
নদীমাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদীর মধ্যে অনেকগুলো আকার এবং গুরুত্বে বিশাল। এসব নদীকে বড় নদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের বৃহৎ নদীসমূহকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। প্রথম ভাগে রয়েছে অভ্যন্তরীণ বড় প্রবাহসমূহ, যেগুলোর সংখ্যা ৩৪টি। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মায়ানমারের আন্তঃসীমান্ত প্রবাহসমূহ। এগুলোর সংখ্যা ৫৭টি।[১] নিম্নে এসব নদীর তালিকা যুক্ত করা হলো।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদীপ্রবাহ
সম্পাদনা- করতোয়া
- শিব-বারনাই
- ছোট যমুনা-তুলশীগঙ্গা
- গৌর- গুমানি
- বড়াল
- ঘাঘট-বাঙ্গালী-হুরাসাগর
- ইছামতি
- কুমার-নবগঙ্গা
- চিত্রা-ভৈরব
- ভদ্রা-শ্রী
- শিবসা
- পুশুর
- গড়াই-মধুমতি
- চন্দনা-বারাসিয়া
- কুমার-ভুবনেশ্বর
- পদ্মা
- আড়িয়াল খাঁ
- কচা-বলেশ্বর
- বিষখালী
- বুড়িশ্বর
- তেঁতুলিয়া
- যমুনা
- বংশী
- ধলেশ্বরী
- ব্রহ্মপুত্র
- শীতলক্ষ্যা
- মগড়া
- ঘোড়াউত্রা
- কালনী
- মেঘনা
- তিতাস
- ডাকাতিয়া-নোয়াখাল
- কুতুবদিয়া-মহেশখালী
বাংলাদেশ-ভারত-মায়ানমার সীমান্ত নদী প্রবাহ
সম্পাদনা- রায়মঙ্গল
- ইছামতী-কালিন্দী
- বেতনা-কোদালিয়া
- ভৈরব-কপোতাক্ষ
- মাথাভাঙ্গা
- গঙ্গা
- পাগলা
- আত্রাই
- পুনর্ভবা
- তেতুলিয়া
- টাংগন
- কুলিক বা কোকিল
- নাগর
- মহানন্দা
- ডাহুক
- করতোয়া
- তালমা
- ঘোড়ামারা
- দিওনাই-যমুনেশ্বরী
- বুড়িতিস্তা
- তিস্তা
- ধরলা
- দুধকুমার
- ব্রহ্মপুত্র
- জিঞ্জিরাম
- চিল্লাখালি
- ভোগাই
- সোমেশ্বরী
- দামালিয়া/যালুখালী
- নয়াগাঙ
- উমিয়াম
- যাদুকাটা
- ধলা
- পিয়াইন
- শারি-গোয়াইন
- সুরমা
- কুশিয়ারা
- সোনাই-বারদল
- জুরি
- মনু
- ধলাই
- লংলা
- খোয়াই
- সুতাং
- সোনাই
- হাওড়া
- বিজনী
- সালদা
- গোমতী
- কাকরাই-ডাকাতিয়া
- সিলোনিয়া
- মুহুরী
- ফেনী
- কর্ণফুলি
- নিতাই
- সাংগু
- মাতামুহুরী
- নাফ[২]
বৃহৎ নদীপ্রবাহের একটি ছক
সম্পাদনাবৃহৎ নদী হিসেবে উল্লেখ করা যায় এমন নদীসমূহ হচ্ছে: পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলি, শীতলক্ষ্যা, গোমতী ইত্যাদি। নিম্নে বৃহৎ নদীগুলোর একটি সারণি দেয়া হলও।
নদীর নাম | দৈর্ঘ্য (কি.মি.) | প্রবাহিত এলাকা ও দৈর্ঘ্য |
---|---|---|
আড়িয়াল খাঁ | ১৬০ কি.মি. | ফরিদপুর (১০২) বরিশাল (৫৮) |
বংশী নদী | ২৩৮ কি.মি. | ময়মনসিংহ (১৯৮) ঢাকা (৪০) |
বেতনা-খোলপটুয়া | ১৯১ কি.মি. | যশোর (১০৩) খুলনা (৮৮) |
ভদ্রা নদী | ১৯৩ কি.মি | যশোর (৫৮) খুলনা (১৩৫) |
ভৈরব নদী | ২৫০ কি.মি | যশোর, খুলনা |
কংস (নদী) | ২২৫ কি.মি | ময়মনসিংহ (২২৫) |
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা (যমুনা ২০৭) | ২৭৬ কি.মি | রংপুর (১৪০) পাবনা (১৩৬) |
বুড়িগঙ্গা | ২৭ কি.মি | ঢাকা |
চিত্রা | ১৭০ কি.মি | কুষ্টিয়া (১৯) যশোর (১৫১) |
ডাকাতিয়া নদী | ২০৭ কি.মি | কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর |
ধলেশ্বরী নদী | ১৬০ কি.মি | ময়মনসিংহ, ঢাকা |
ধনু-বাউলাই-ঘোড়াউত্রা | ১৩৫ কি.মি | ময়মনসিংহ (১২৬) সিলেট (১০৯) |
যমুনেশ্বরী-করতোয়া | ৪৫০ কি.মি | রংপুর (১৯৩), বগুড়া (১৫৭), পাবনা (১০০) |
গঙ্গা-পদ্মা (গঙ্গা ১৫৮, পদ্মা ১২০) | ৩৭৮ কি.মি | রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর, কুমিল্লা, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, |
গড়াই-মধুমতি-বলেশ্বর | ৩৭১ কি.মি | কুষ্টিয়া (৩৭), ফরিদপুর (৭১), যশোর (৯২), খুলনা (১০৪), বরিশাল (৬৭) |
ঘাঘট নদী | ২৩৬ কি.মি | রংপুর (২৩৬) |
করতোয়া নদী-আত্রাই-গুড় নদী-গুমানি নদী-হুরাসাগর নদী | ৫৯৭ কি.মি | দিনাজপুর (২৫৯), রাজশাহী (২৫৮), পাবনা (৮০) |
কর্ণফুলী নদী | ১৮০ কি.মি | পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম |
কপোতাক্ষ নদ | ২৬০ কি.মি | যশোর (৮০) খুলনা (১৮০) |
কুমার নদী | ১৬২ কি.মি | যশোর, ফরিদপুর |
কুশিয়ারা নদী | ২২৮ কি.মি | সিলেট |
ফেনী-ডাকাতিয়া | ১৯৫ কি.মি | ফেনী, চট্টগ্রাম,- চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা |
কীর্তনখোলা নদী | ১৬০ কি.মি | বরিশাল |
মাতামুহুরি | ২৮৭ কি.মি | পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম |
মাথাভাঙা | ১৫৬ কি.মি | রাজশাহী (১৬), কুষ্টিয়া (১৪০) |
নবগঙ্গা | ২৩০ কি.মি | কুষ্টিয়া (২৬) যশোর (২০৪) |
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র | ২৭৬ কি.মি | ময়মনসিংহ (২৭৬) |
পুনর্ভবা | ১৬০ কি.মি | দিনাজপুর (৮০) রাজশাহী (৮০) |
রূপসা-পশুর | ১৪১ কি.মি | খুলনা (১৪১) |
সাঙ্গু | ১৭৩ কি.মি | চট্টগ্রাম (৮০), পার্বত্য চট্টগ্রাম (৯৩) |
সুরমা নদী-মেঘনা নদী | ৬৭০ কি.মি | সিলেট, সুনামগঞ্জ,- কুমিল্লা, চাঁদপুর, বরিশাল |
তিস্তা নদী | ১১৫ কি.মি | রংপুর (১১৫) |
হালদা নদী | ৮১ কি.মি | চট্টগ্রাম (৮১) |
শীতলক্ষ্যা নদী | ১০৮ কি.মি | নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও ঢাকা |
আরো দেখুন
সম্পাদনা- বাংলাদেশের নদীর তালিকা
- বাংলাদেশের ১০টি বড় নদীর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ মার্চ ২০২১ তারিখে নাম ও পরিচিতি
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ম ইনামুল হক, বাংলাদেশের নদনদী, অনুশীলন ঢাকা, জুলাই ২০১৭, পৃষ্ঠা ২৭, ৬৭।
- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।