হেনরি ফোলি
হেনরি ফোলি (ইংরেজি: Henry Foley; জন্ম: ২৮ জানুয়ারি, ১৯০৬ - মৃত্যু: ১৬ অক্টোবর, ১৯৪৮) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হেনরি ফোলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ২৮ জানুয়ারি ১৯০৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৬ অক্টোবর ১৯৪৮ ব্রিসবেন, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৪২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৫) | ১০ জানুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ জানুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাওয়েলিংটন কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়েন। সেখান থেকে কলা ও বাণিজ্য বিভাগে ডিগ্রি লাভ করেন।[১]
১৯২৭-২৮ মৌসুম থেকে ১৯৩২-৩৩ মৌসুম পর্যন্ত হেনরি ফোলি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে হেনরি ফোলি’র। ১৯২৭ সালে ইংল্যান্ড সফর শেষে নিউজিল্যান্ড দল দেশে ফেরার পর বাদ-বাকী একাদশের সদস্যরূপে খেলেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় একমাত্র ইনিংসে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এরপর স্টুই ডেম্পস্টারের উইকেট পান। এক সপ্তাহ পর একই ধরনের খেলায় অংশ নিয়ে ৩ ও অপরাজিত ৩৫ রান করেন। তবে, ব্যাটিংয়ের অবস্থান পরিবর্তন করে আট নম্বরে নেমেছিলেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ পর প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় ওয়েলিংটনের পক্ষে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন করেন। ইনিংসের উদ্বোধনে নামেন ও অপরাজিত ২৮ রান তুলে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে দলকে পাঁচ উইকেটে জয় এনে দেন। পরের খেলায় ওতাগোর বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত একমাত্র সেঞ্চুরি করেন। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ও ওয়েলিংটনকে ইনিংস ব্যবধানে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখেন।[২] প্রথম চার খেলায় ১৪৩.০০ গড়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
১৯২৭-২৮ মৌসুমের শেষদিকে ভিক রিচার্ডসনের নেতৃত্বাধীন সফরকারী শক্তিধর অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে উভয় খেলায় অংশ নেন। প্রথম খেলায় ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।[৩] দ্বিতীয় খেলায় তিন নম্বরে নেমে ২৪ ও ৪২ রান তুলেন। [৪] জাতীয় দলের পক্ষে খেলার মাধ্যমে প্রথম মৌসুম শেষ করেন। এ পর্যায়ে ৫২.৬৬ গড়ে রান পেয়েছিলেন।[৫]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ১০ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর তাকে আর নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেললেও পরবর্তী বছরগুলোয় শুরুরদিকের প্রতিশ্রুতিশীলতা আর ধরে রাখতে পারেন। এছাড়াও, দূর্বল স্বাস্থ্যের কারণে খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্ত করে ফেলতে হয়েছিল।[৬] ১৯২৮-২৯ মৌসুমে তিন খেলায় ২৯.২৫ গড়ে ১১৭ রান করেন। এরফলে, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের জন্যে মনোনীত হন।
জানুয়ারি, ১৯৩০ সালে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন। কিন্তু, ঐ টেস্টে তার দল পরাজিত হয়। উভয় ইনিংসে ২ রান করে সংগ্রহ করেছিলেন।[৭] প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে আউট হন। পরবর্তীতে জ্যাকি মিলস তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
১৯৩২-৩৩ মৌসুমে ডগলাস জারদিনের নেতৃত্বাধীন মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেন ও ৩৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে চলে আসার পর অস্ট্রেলিয়া কমার্শিয়াল ব্যাংকে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার পূর্ব-পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। এ সময়ে স্ত্রী ও পুত্র ব্রিসবেনের নিউমার্কেট এলাকায় বসবাস করতেন।[৮] ১৬ অক্টোবর, ১৯৪৮ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন এলাকায় হেনরি ফোলি’র দেহাবসান ঘটে।
তার স্মরণে উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, তিনি অত্যন্ত সুন্দর ও অসীম ধৈর্য্যের বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, স্লিপ ফিল্ডার হিসেবেও তিনি অতুলনীয় ছিলেন।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Wisden 1950, p. 915.
- ↑ Otago v Wellington 1927-28
- ↑ New Zealand v Australia, Auckland 1927-28
- ↑ New Zealand v Australia, Dunedin 1927-28
- ↑ Henry Foley batting by season
- ↑ Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 387.
- ↑ New Zealand v England, Christchurch 1929-30
- ↑ The Courier-Mail, Brisbane, 18 October 1948, p. 6.
- ↑ Wisden 1950, p. 915.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে হেনরি ফোলি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে হেনরি ফোলি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)