উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
উমিয়া ইউনিভার্সিতেত | |
ধরন | পাবলিক, গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ |
রেক্টর | অধ্যাপক লিনা গুস্তাফসন |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪,১৪৩ |
শিক্ষার্থী | ৩৬,৭০০ |
১,৩০০ | |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
অধিভুক্তি | ইইউএ, ইউআর্কটিক |
ওয়েবসাইট | www.umu.se/english |
উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (সুইডীয়: Umeå universitet) সুইডেনের মধ্য-উত্তর অঞ্চলের উমিয়ায় অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সুইডেনের বর্তমান সীমান্তমধ্যবর্তী পঞ্চম প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১২ সালে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)-এ ৫০ বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য উত্তম বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় এটি ২৩তম স্থান দখল করে।[১] ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক গ্রাজুয়েট অন্তর্দৃষ্টি গ্রুপ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ব্যারোমিটারে এটি গোটা সুইডেনের মধ্যে প্রথম হয়।[২]
২০১৩ সালে উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট পর্যায়ে মোট নিবন্ধিত শিক্ষার্থীসংখ্যা ৩৬,০০০ (এদের মধ্যে ১৭,০০০ শিক্ষার্থী ফুলটাইম)। এর ৪,০০০ কর্মকর্তা আছেন এবং ৩৬৫ জন অধ্যাপক।
আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি পপুলাস বৃক্ষর জিনোম (জীবন-বিজ্ঞান) এর জন্য পরিচিত। এরা গ্লিসন সমস্যা এবং ফ্র্যাক্টালস-এর ওপর ফাংশন স্পেস (গণিত) এবং এর শিল্প-কারখানার নকশা তৈরি করে।
প্রতিষ্ঠান
সংস্থা
উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট চারটি অনুষদ এবং নয়টি ক্যাম্পাস স্কুল রয়েছে। সেই সাথে স্কেলেফটিয়া ও অরনস্কোল্ডসভিক-এর শহরে অতিরিক্ত ক্যাম্পাস রয়েছে। ৫০টি বিভিন্ন গবেষণার কর্মসূচী এবং ৮০০টি আলাদা কোর্সে মোট ৩৬,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট চারটি অনুষদ আছে। নিচে তাদের বর্ণাক্রমিকভাবে দেয়া হলঃ
- কলা অনুষদ
- ঔষধ অনুষদ
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি ক্যাম্পাস স্কুল রয়েছে। নিচে তাদের বর্ণাক্রমিকভাবে দেয়া হলঃ
- উমিয়া ডিজাইন ইনস্টিটিউট - হল উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের মধ্যকার একটি কলেজ। ইনস্টিটিউটটি ১৯৮৯ সালে কাজ শুরু করে এবং শিক্ষাদান ও শিল্প-কারখানার কাজের জন্য ১৯৮৯ সালে সম্পূর্ণরূপে নকশা ও সজ্জিত হয়। উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ একাডেমিক মানের কারণে সারা বিশ্বে খ্যাত। বিজনেসউইক-এর প্রথম ৬০টি ডিজাইন স্কুলের মধ্যে থাকা একমাত্র সুইডীয় স্কুল। ইনস্টিটিউটটি পরিবহন নকশা, মিথস্ক্রিয়া নকশা এবং উন্নত শিল্পকৌশল ডিজাইন এর মাস্টার ডিগ্রীও দেয়।
- উমিয়া প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট - হল উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অংশ। এই ইনস্টিটিউটটি নানারকম শিক্ষার প্রোগ্রামের আয়োজন করে এবং তার কিছু আছে যা সুইডেনের অন্য কোথাও পাওয়া যায়না। প্রকৌশল বিভাগের গবেষণা ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে অনুষদের ঐতিহাসিক শক্তিশালী অবস্থান একধরণের মঞ্চ তৈরি করে দেয় যার ওপর নতুন প্রযুক্তি নির্মিত হয়। ইনস্টিটিউটটি সিডিআইওর সদস্য।
- উমিয়া স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগ - ২০০৯ সালের শরতে শুরু হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভিন্ন মাত্রার উপর শিক্ষা অনুগমন পাশাপাশি, স্থাপত্য বিকাশের পরীক্ষাবিষয়ক গবেষণা করে ধীরে ধীরে উন্নত হয়ে উঠছে। উমিয়া ৫ বছরের স্থাপত্যবিদের প্রোগ্রামে ২৫০টি আসনের ব্যবস্থা করে।
- উমিয়া ব্যবসা ও অর্থনীতির বিভাগ - : ইউএসবিই-এর প্রায় ২,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুল একটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম, চারটি স্নাতক প্রোগ্রাম (সিভিলইকোনিমোপ্রোগ্রাম), সাতটি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম (কৌশলগত প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট-প্রোগ্রামে ইরাসমাস ফোটোস মাস্টার এর অন্তর্ভুক্ত) এবং ডক্টরেট প্রোগ্রাম থাকে। আন্তর্জাতিক অবস্থা স্কুলটিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে এবং সকল স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম ও ডক্টরাল প্রোগ্রামের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ইংরেজিতে করে।
- উমিয়া শিক্ষা বিভাগ - : ইউএসই, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধিত হয় প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষণ অনুষদের পরিবর্তে।
- উমিয়া কলা বিভাগ - ১৯৮৭ সালে উমে নদীর পরেই প্রাক্তন ফ্যাক্টরির স্থানে গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর ১২টি নতুন শিক্ষার্থী এই স্কুলের পড়তে পারে। মোট ৬০জন শিক্ষার্থী এই একাডেমিতে পড়ছেন।
- উমিয়া ক্রীড়া বিজ্ঞান কেন্দ্র
- উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রেস্টুরেন্ট এবং রন্ধনশিল্প বিভাগ
গবেষণা কেন্দ্র[৩]
- উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কটিক রিসার্চ সেন্টার (আরকাম)
- জৈবচিকিত্সা প্রকৌশল ও পদার্থবিজ্ঞান কেন্দ্র (সিএমটিএফ)
- পরিবেশগত ও রিসোর্স অর্থনীতি কেন্দ্র (সিইআরই)
- উমিয়ায় পরিবেশগত গবেষণা কেন্দ্র (সিএমএফ)
- অভিব্যক্তি গবেষণা কেন্দ্র (ইউসিইআর)
- জনসংখ্যা গবেষণা কেন্দ্র (সিপিএস)
- উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র (সিরাম)
- শিক্ষণ এবং শিখণ কেন্দ্র (ইউপিএস)
- জনসংখ্যা-বিষয়ক তথ্যভাণ্ডার (ডিডিবি)
- ইউরোপীয় সিবিআরএনই কেন্দ্র
- উত্তর হাই পারফরমেন্স কম্পিউটিং সেন্টার (এইচপিসি২এন)
- হামল্যাব
- উত্তর সুইডেন মাটি উপসম সেন্টার
- পরিবহন গবেষণা (ট্রাম)
- উমিয়া প্রায়োগিক ব্রেন ইমেজিং কেন্দ্র(ইউএফবিআই)
- উমিয়া লিঙ্গ গবেষণা কেন্দ্র (ইউসিজিএস)
- উমিয়া বৈশ্বিক স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র (সিজিএইচ)
- উমিয়া মাইক্রোবিয়াল গবেষণা কেন্দ্র (ইউসিএমআর)
- নিউক্লীয় ঔষধের জন্য উমিয়া কেন্দ্র (ইউসিএমএম)
- উমিয়া সামুদ্রিক বিজ্ঞান কেন্দ্র (ইউএমএফ)
- উমিয়া গণিত শিক্ষা গবেষণা কেন্দ্র (ইউএমইআরসি)
- উমিয়া চারা বিজ্ঞান কেন্দ্র (ইউপিএসসি)
- উমিয়া ক্রীড়া বিজ্ঞান কেন্দ্র (ইউএসএসএস)
- উমিয়া ট্রান্সজিন কোর ফেসিলিটি (ইউটিসিএফ)
- ভারতোই – সামি গবেষণা কেন্দ্র(সিসাম)
উমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল
- উমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ("নরল্যান্ডস ইউনিভার্সিতেরসজুখুস", "এনইউএস") হল প্রধান হাসপাতাল এবং উত্তর সুইডেনের জন্য চিকিৎসা ও ঔষধ-এর গবেষণা কেন্দ্র। এটি হল সুইডেনে ঔষধ ও দন্ত-চিকিৎসার সাতটি স্কুলের একটি।
র্যাংকিং
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং |
---|
সম্প্রতি (২০১২) বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের একাডেমিক র্যাংকিং-এ উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যকার তালিকায় ২০১-৩০০র মধ্যে অবস্থিত ছিল[৪] এবং একই সময় কিউএস বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং-এ (সর্বোপরি) বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৯৭তম হয়।[৫] ২০১২/২০১৩ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংস ২০১২/২০১৩-তে উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সকল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ২৫১-২৭৫-এর মধ্যে অবস্থিত ছিল।[৬]
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র
অনুষদ
- রনি অ্যাম্বজর্নসন, বিজ্ঞান ও চিন্তা ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক (১৯৮১-২০০১)
- লিন্ডা বার্গকভিস্ট, হামল্যাবের ডিজিটার শিল্পী
- টমাস ব্লোমকভিস্ট, ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক
- জান বোডিন, মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক
- মাথিয়াস ডালগ্রেন, উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ রেস্টুরেন্ট ও রন্ধনশিল্পর সহযোগী অধ্যাপক
- ক্লায়েস-ক্রিস্টান এলার্ট
- গানার এরিকসন, বিজ্ঞান ও চিন্তা ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক (১৯৭০-১৯৮১)
- হেনরিক গ্রোনবার্গ
- ক্রিস্টো আইভানভ, ইনফোরম্যাটিক অধ্যাপক এমেরিটাস (১৯৮৪-২০০২)
- লার্স লিন্ডবার্গ, ইউএসবিই-এর ডীন (২০০৭–)
- কার্ল-গুস্তাফ লফগ্রিন, অর্থনীতির অধ্যাপক, রয়েল সুইডীয় বিজ্ঞান একাডেমীর সদস্য
- আগনেটা মারেল, ইউএসবিই-এর প্রাক্তন ডীন (২০০৪-২০০৭)
- স্টেলান নিলসন, আর্থিক হিসাববিজ্ঞান, অডিটিং এবং আর্থিক বিশ্লেষণ-এর অধ্যাপক
- তনু পু, অর্থনীতির অধ্যাপক
- মার্কাস স্যামুয়েলসন, উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ রেস্টুরেন্ট ও রন্ধনশিল্পর সহযোগী অধ্যাপক
- লিনার্ট স্টিনফ্লো, পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক
- মাইক স্কট
- হাকান উইবার্গ
- এসভার্কার সোরলিন, অধ্যাপক
- ক্রিস্টিয়ান আল্টম্যান, গ্রাফিক ডিজাইন এবং লেখনীর গৃহশিক্ষক
অনারারি ডক্টরেটসমূহ
- বার্টিল অ্যান্ডারসন - ইউরোপীয় বিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক
- সি. ওয়েস্ট চার্চম্যান
- ক্রিস্টোফার মার্টিন ডবসন
- কার্স্টিন একম্যান, লেখক
- অ্যান্ডারস ইংলান্ড
- ক্রিস্টার ফাগলেসাং, মহাকাশে যাওয়া প্রথম সুইডীয় নাগরিক
- রবার্ট এইচ. হ্যাভম্যান, অধ্যাপক
- লার্স হেইকেন্সট্যান, সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্ণর
- রজার জোয়েল
- কার্ল কেম্পে, সুইডীয় ব্যবসায়ী
- রজার ডি. কর্নবার্গ, ২০০৬ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন
- সারা লিডম্যান, লেখক
- জন লফলিন, রাজনীতির অধ্যাপক
- জিন-পিয়েরে মাখ
- ডেনিশ মুকওয়েগে, কঞ্জোলিজ স্ত্রীরোগবিশারদ, পাঞ্জি হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা
- এসভের্কার ওলফসন
- পি. এন. রমাচন্দ্রন নাইর
- বার্নহার্ড সুইংহেডাউ
- টম ট্রাভেস - ডালহাউসি বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধ্যাপক
- বিওম জুন কিম - সুংকেয়ানকোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধ্যাপক
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "THE 100 Under 50 university rankings: results"। Times Higher Education। ৩১ মে ২০১২।
- ↑ "Umeå University ranked 1st in International Student Satisfaction: results"। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে গবেষণা কেন্দ্রসমূহ
- ↑ "ARWU World University Rankings 2012"।
- ↑ "QS World University Rankings 2012 (overall)"।
- ↑ "Times Higher Education World University Rankings"।
বহিঃসংযোগ
- উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় - অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
- উমিয়া ডিজাইন ইনস্টিটিউট - অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
- উমিয়া স্থাপত্যের স্কুল - অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
- উমিয়া ব্যবসা ও অর্থনীতির স্কুল - অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
- উমিয়া জনস্বাস্থ্যর আন্তর্জাতিক স্কুল - অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
টেমপ্লেট:সুইডীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ