বিষয়বস্তুতে চলুন

নন্দীকেশ্বরী মন্দির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার বর্তমান সংস্করণ, যা Niasoh (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৩:৪৪, ৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (লিঙ্কের পরামর্শ: ৩টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক।

(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
নন্দিকেশ্বরী মন্দির

নন্দীকেশ্বরী মন্দির, যা নন্দীকেশ্বরী তলা নামেও পরিচিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলাসাঁইথিয়া শহরে অবস্থিত। এই মন্দির ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত শক্তিপীঠের একটি।

দেবীর নামটি 'নন্দী' থেকে উৎপন্ন , যে শিবের বাহন, অনুসরণকারী এবং ঈশ্বরী মানে দেবী। যার অর্থ নন্দী দ্বারা যিনি পূজিত।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

নন্দীকেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস তার পিতার দক্ষ যজ্ঞের সভায় সতীর আত্মত্যাগের ঘটনার সাথে যুক্ত। কারণ দক্ষ সতী ও তার স্বামী শিবকে অপমান করেছিলেন। সতী দেবী তার স্বামীর প্রতি পিতার এ অপমান সহ্য করতে না পেরে যোগবলে আত্মাহুতি দেন। শোকাহত মহাদেব রাগান্বিত হয়ে দক্ষর যজ্ঞ ভণ্ডুল করেন এবং সতী দেবীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। অন্যান্য দেবতা অনুরোধ করে এই নৃত্য থামান এবং বিষ্ণুদেব তার সুদর্শন চক্র দ্বারা সতী দেবীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখণ্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং পবিত্র পীঠস্থান (শক্তিপীঠ) হিসেবে পরিচিতি পায়।

বর্তমান মন্দির ১৯১৩ সালে নির্মিত হয়েছিল (বাংলা ১৩২০ সন)।[]

প্রতিমা

[সম্পাদনা]
মা নন্দিকেশ্বরীর মূর্তি।

মন্দিরের প্রধান মূর্তিটি কালো পাথরের, যা এখন প্রায় লাল। কারণ ভক্তরা প্রার্থনার জন্য পাথরের গায়ে সিন্দুর দেন। দেবীর একটি রূপালী মুকুট এবং তিনটি সোনালী চোখ ।[]

মন্দির প্রাঙ্গণ

[সম্পাদনা]

রাম-সীতা মন্দির, শিব মন্দির, মহা সরস্বতী মন্দির, মহা লক্ষ্মী-গণেশ মন্দির, লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দির, রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভৈরব নন্দীকেশ্বরী মন্দির, হনুমান মন্দির সহ উল্লেখযোগ্য কিছু মন্দির রয়েছে। একটি বিশাল পবিত্র গাছ রয়েছে যেখানে ভক্তেরা তাদের ইচ্ছা পূরণের জন্য লাল এবং হলুদ সুতা বাঁধেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Nandikeshwari Temple, Sainthia - Info, Timings, Photos, History" 
  2. India, Pilgrimage Tourism in। "Nandikeshwari Temple, Saithia - Pilgrimaide.com"www.pilgrimaide.com। ২৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]