অন্নদাচরণ তর্কবাগীশ
তর্কবাগীশ অন্নদাচরণ | |
---|---|
জন্ম | ১৮৭৫ ফরিদপুর, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৯৪৩ |
পরিচিতির কারণ | সংস্কৃত পণ্ডিত ও নৈয়ায়িক |
পিতা-মাতা | প্রসন্নচন্দ্র ভট্টাচার্য |
অন্নদাচরণ তর্কবাগীশ হলেন একজন বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত ও নৈয়ায়িক। ন্যায়, ব্যাকরণ, সাংখ্য ও বেদান্তশাস্ত্রে বিশেষ পান্ডিত্যের জন্য তিনি পর্যায়ক্রমে ‘‘ব্যাকরণতীর্থ’’, ‘‘তর্করত্ন’’ ও ‘‘তর্কবাগীশ’’ উপাধী লাভ করেন।[১]
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
[সম্পাদনা]অন্নদাচরণ ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে (১২৮২ বঙ্গাব্দ) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার ইদিলপুর পরগনার মূলগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা প্রসন্নচন্দ্র ভট্টাচার্যও ছিলেন একজন সংস্কৃত পণ্ডিত।[৩]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]তিনি সংস্কৃত ভাষার প্রাথমিক পাঠ পিতার কাছে ও পরে স্থানীয় চতুষ্পাঠীতে গ্রহণের পর তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার শিবচরণ সিদ্ধান্তবাগীশের কাছে কলাপব্যাকরণ অধ্যয়ন করে সরকারি পর্যায়ে পরীক্ষায় পাশ করে ‘‘কাব্যতীর্থ’’ উপাধি লাভ করেন।[২] এরপর নবদ্বীপের বঙ্গবধুজননী সভা থেকে ন্যায়শাস্ত্রে পরীক্ষা দিয়ে স্বর্ণপদক-সহ ‘‘তর্করত্ন’’ উপাধি পেয়ে কাশীতে গিয়ে সীতারাম শাস্ত্রী কাছে ন্যায় শাস্ত্র শিখে ‘‘তর্কবাগীশ’’ উপাধি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে কাশীর মহামহোপাধ্যায় সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর কাছে সাংখ্য ও বেদান্ত অধ্যয়ন করেন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]অন্নদাচরণ ১৮৯৬ হতে ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কাশীর বাঙালিটোলায় একটি চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপনা করে ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে নিজগ্রামে ফিরে এসে কিছু ছাত্র সংগ্রহ করে পাঠদান শুরু করেন।[২] ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে নদী ভাঙনে তার বসতবাড়ি বিনষ্ট হলে তিনি পাশের গ্রাম ধীপুর গিয়ে সেখানে একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করে আমৃত্যু তাতে শিক্ষাদান করেন।[৩]
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে 'ইদিলপুর হিতৈষণী সভা' নামক একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়; এতে তিনি আমৃত্যু সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে (৪ কার্তিক ১৩৫০ বঙ্গাব্দ) ফরিদপুরের ধীপুরে মৃত্যুবরণ করেন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ চরিতাভিধান : অন্নদাচরণ তর্কবাগীশ। ইবাংলালাইব্রেরি ডটকম।
- ↑ ক খ গ ঘ সংসদ বাঙালি অভিধান। প্রথম খণ্ড। সাহিত্য সংসদ। জানুয়ারি ২০০২।
- ↑ ক খ গ ঘ সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী (জানুয়ারি ২০০৩)। "তর্কবাগীশ, অন্নদাচরণ"। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।